[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় গার্ল গাইডস এসোসিয়েশনের ৫দিনব্যাপি বিজ্ঞপাখি মৌলিক প্রশিক্ষণ সম্পন্নখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বাড়ির সদস্যদের অজ্ঞান করে দূর্ধষ চুরিগুণগত শিক্ষা জাতিগত ভেদাভেদ ভুলিয়ে দিতে পারবে: রাঙ্গামাটিতে জলখেলি অনুষ্ঠানে সুপ্রদীপনৃ-গোষ্ঠীর আগে ক্ষুদ্র শব্দটি ব্যবহার করতে চাই না: জলকেলীতে উপদেষ্টা সুপ্রদীপবান্দরবানের আলীকদমে মার্মা সম্প্রদায়ের মাহাঃ সাংগ্রাই পোয়েঃ-২০২৫ উৎসব পালনপুরোনো দিনের গ্লানি মুছে যাক সাংগ্রাইয়ের মৈত্রীময় জলেবান্দরবানের থানচিতে খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের গুড ফ্রাইডের উপহার দিলেন সেনাবাহিনীদীঘিনালায় রাতের আধাঁরে পাহাড় কাটার অভিযোগে ২লাখ টাকা জরিমানাখাগড়াছড়ির রামগড়ে গরু ঘাঁস খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ৮অক্সিজেনের অভাবে বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ মাস বয়সের শিশুর মৃত্যু
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

থানচিতে জাতীয় শোক দিবস পালিত

৬৫

॥ চিংথোয়াই অং মার্মা, থানচি ॥

নানান কর্মসূচির মাধ্যমে যথাযোগ্য মর্যাদায় বান্দরবানে থানচিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।

সোমবার (১৫ আগষ্ট) সকালে উপজেলা পরিষদের বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পনে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে কর্মসূচি অনুযায়ী পর্যাক্রমে উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয় সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনে শেষে থানচি বাজারে অলিগলি প্রদক্ষিনে শোক র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পরে দুপুরে উপজেলা টাউনহলে ইতিহাসের মহানায়ক স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে উপলক্ষে আলোচনা সভা ও এতিম অসহায় দুঃস্থ মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি উবামং মারমা সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সভাপতি থোয়াইহ্লা মং মারমা।

এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সভাপতি থোয়াইহ্লা মং মারমা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সকল ত্যাগ, সংগ্রাম, বীরত্বপূর্ণ নেতৃত্ব, অদম্য স্পৃহা, দৃঢ় প্রত্যয়, বাঙালি জাতির প্রতি গভীর ভালোবাসা, মমত্ববোধ, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও আদর্শের দ্বারা সমগ্র বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা অর্জনে চূড়ান্ত আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তির প্রতীক। তিনি বাংলার মাটি ও মানুষের পরম আত্মীয় এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা। উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এ শোককে শক্তিতে পরিণত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে যেতে হবে।

আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জর্জ কলিন্স ত্রিপুরা সঞ্চালনায় গেষ্ট অফ অনার হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বান্দরবান জেলা পরিষদের প্রাথমিক শিক্ষা ও ক্রিড়া বিষয়ক সদস্য বাশৈচিং চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো উপস্থিত আছেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মালিরাং ত্রিপুরা, সহ-সভাপতি মোঃ মহসিন, সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান অংপ্রু ম্রোঃ, সাংগঠনিক সম্পাদক শিমন ত্রিপুরা প্রমূখ। এছাড়াও উপজেলা সরকারি বেসরকারি অধিদপ্তরে কর্মকর্তা, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ, মহিলা আওয়ামীলীগ, শিক্ষার্থীবৃন্দসহ সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠনে সকল নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট এই দিনে ঘাতকচক্রের হাতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়। সেদিন জাতির পিতার সঙ্গে তার সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসের, জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, দ্বিতীয় পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলসহ সপরিবার ও বঙ্গবন্ধুর প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিল উদ্দিন আহমেদও এ ঘাতকচক্রের হাতে নিহত হন। তারা আরো বলেন, জাতির পিতা এ দেশের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা গড়তে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জনগণের মুক্তির যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যকে জয় করে বিশ্বসভায় একটি উন্নয়নশীল, মর্যাদাবান জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ। সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। এবং জাতির পিতা কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত সরকার বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে নিয়মতান্ত্রিক বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সোনার বাংলার মাটিতে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির রায়ের বিচার করতে হবে।