[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বহুতে কহিলো যেই অত্যাচারিত হইতেছি তয় মানবকুলে আর জন্ম লওনের দরকার নাই

১৭০

ক্রিং ক্রিং, এ্যঁ…লো, কি গো জেঠা তুমি ঠিক আছোতো, গত সপ্তাহের খবরাখবর লইয়া তোমাগোর দরবারে-দরবারে, টেবিলে-টেবিলে কারেন্ট হাজির হইয়াছি। আমাগো শেখ হাসিনা জেঠিতো ব্যাটা করোনার টুঁটি চাপিয়া ধরিয়াছে। এই বজ্জাতের হাড্ডি গোটা পৃথিবীর জেঠা-জেঠির অস্থিমজ্জাও চুষিয়া খাইতেছে। লাখ লাখ জেঠা-জেঠিগোর জীবন সাঙ্গ করিয়া বন্ধন ছিন্ন করিয়াছে। এইবার নাকি জোট বাধিঁয়াছে ওমিক্রন। তার মইধ্যে সমাজের দু¯ৃ‹তকারী, ধর্ষক, বখাটে, ইভটিজার, লুটপাটকারী, মাদক বিক্রেতা, টেন্ডারবাজ, তেলবাজ, অস্ত্রবাজ, দালালবাজ, ভুমিদস্যু, চাঁপাবাজগোর বিষয়ে দু-চারটি কথা লিখিয়াই যাইতেছি। ভাই পো-রে, আইন আছে, কঠোর দমন নাই, নিপীড়ণ, নির্যাতন, বিতারণ আছে ভালো শাসন নাই। পাহাড়ের চুড়ায়, খাদে, চিপায়, নালায়, ঝিড়িতে, হ্রদের ধারের অভাগা জেঠা জেঠিরা কোন দুনিয়ায় তাইনেরা বসবাস করিতেছে বলিয়া খালি আপুত্তি-বিপত্তি। আমি জেঠাও সর্ব বেকায়দায়। ভক্তরাও খালি কহেন অ-জেঠা আমরা বাঁচি, মরি আর ঝুলিয়া থাকি আপনে অন্তত ভালা থাকিবেন। ঐ জেঠা জেঠিগোরে কি বলিব আমিও বিপদ সামলাইতেই পারিতেছিনা। বুড়ো বুড়িরাই কহিত যে নাকি সহে সে নাকি বরকত পাইয়া থাকে। বহু হর্তাকর্তা আইজ দিতাছি কাইল দিতাছি বলিয়া চড়কার মতন ঘুরাইতেছে, আবার দুই চাইর কলম লেখিলেই খালি কহেন অ জেঠা, গা তো পোড়াইতেছে। আমিওযে পুড়িয়া মরিতেছি, সইতেও পারিতেছি না, বরকতও পাইতেছি না, কিছু বলিতেও পারিতেছিনা, জমাজাটিও করিতে পারিতেছিনা, খালি চিন্তা, আর চিন্তা….

ভাই পো-রে পুরানে বুড়ো-বুড়িরা কহিতো ওজন বুঝে ভোজন দে, মন বুঝে ধন দে, লা-আ-ভ বুঝে ঝাঁপ দে। এক দিকে জেঠা জেঠিগোর ঠেলাগুতো অন্য দিকে ভাই পো আর জেঠা-জেঠিগোর ওয়েটিং, এইসব চিন্তা লইয়া অধিক সময় চোখের পাতা রাইতেও খাড়াইয়া থাকে। আবার ফিজিসিয়ান কহিলেন জেঠির প্রেসার নাকি এখন হাই, তয় তাইনের চিল্লা-ফাল্লাও হাইফাই। আমি কি সমাজের জেটা জেঠিগোর সুখ দুঃখের বয়ান লিখিব নাকি জেঠিরে সামাল দিব ঐ হিসাবও মিলাইতে পারিতেছি না। প্রতিদিনই ভোর সকালেও দেখি জেঠি বুকে হাত দুইখান লইয়া ঘুমের ঘোরেও যেন জেঠারে ঘায়েল করিতে পরিকল্পনা করিতেছে। জেঠাও হ¹ল মানুষ-আমানুষগোর খবরাখবর লইয়া বাড়ি ফিরিলেও রাইতে তাইনের সেবাও করিতে হইতেছে। আবার বহুত জেঠা-জেঠি কহিলো তাইনেগোরে নাকি প্রেসক্রাইব করিতে, জেঠি হইতে কিভাবে রক্ষা পাওন যায়। এই হইলো কাটা ঘা’এ নুন ছিটানো। আরে জেঠার নিজের প্রেসক্রাইব কারে জমা করিবো হেই চিন্তা লইয়া উপর ওয়ালার দেয়া ব্ল্যাক চুল হোয়াইট হইতেছে তার মইধ্যে জেঠা-জেঠিগোর যত তালিমালি। রাইতে জেঠিরে দুই চাইর কথা শুনাইয়া দিলেই পেট্রোল বোমার মতন ঢাস ঢাস করিতে করিতে জীবনটারে ঠাঁসা বানাইয়া দেয়। হেই সময় মনে হয় লাইফটা রেস্টুরেন্টের পরটার মতন হইতেছে। সকালে বিছানা ছাড়িতে দেরি। পাহাড় পর্বতের মানুষ অ-মানুষগোর সুখ দুঃখের বয়ান উত্তাপন করিতে হিমশিমও খাইতেছি। করোনা-১৯তো কারো কথাই হুনিতে চাহে না। বহু ভাইরাসের মানবতা কিছুটা থাকিলেও এই ভাইরাসের দেখি মানবতার মা-ও নাই, বাপও নাই। আবার কুঞ্জ হইতে বাহির হইলেই ভাইপোগোর নজরবন্দি, তার মইধ্যে বিনা বেতনে চাকুরী ব্যাটা ছোট্ট জেঠার পাঠশালায় কামিং গোইং এখন হরদম। বেকার এই ছোট্ট জেঠাও দেখি করোনার বান লইয়া খালি প্রশ্নের রান করিতে ওস্তাদ, বায়না ধরে জঙ্গল দেখিবো, পাহাড়-নদী-নালা দেখিবো, আমি জেঠা যে কোন খানে লুকাইবো, খুবই চিন্তায় আছি… যাউ¹া…

আগষ্ট হলো জাতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর শাহাদাৎ বরণের মাস, জাতর শোকের মাস। মানব কল্যালে বিশ্ব দরবারে স্বার্ণাক্ষরে লেখা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মই যেন মানবতা এবং অধিকার রক্ষার। যে পিতা এদেশের মানুষের মুক্তির জন্য জীবন দিতে ফাঁসির কাঠগড়াতেও দাঁড়াতে দ্বিধাবোধ করেন নি। সেই পিতা নিজের জীবনকেও উৎসর্গ করে দিয়েছেন মানুষের অধিকার এবং মানবতার জন্য। তিনি জাতিকে শিখিয়ে দিয়ে গেছেন কোন অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করতে। খামছে ধরা হানাদারদের কাছ থেকে আমাদের ভাষা, ভাত কাপড়ের অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে মানুষের মুখে হাঁসি ফুটিয়েছেন তিনিই মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই শোকের মাসে তাঁকে জানাই নতশিরে শ্রদ্ধা, তাঁর জন্য ভালোবাসা থাকবে আমৃত্যু।

দহ জেঠা কহিলো, স্কুলের গেইট খুলে পড়িয়া ছয় বছরের শ্রাবণ প্রাণ হারাইয়াছে। গেল বুধবার খাগড়াছড়ির খবং পুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটিয়াছে। হ¹লের মতনই শ্রাবণ মায়ের সহিত স্কুলে গিয়ে মুল ফটকের লোহার দরজা ছুটে তার মাথার উপর পড়িলে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটিয়াছে। আমাগো অভিভাবক জেঠা-জেঠিরা স্কুল কর্তৃপক্ষরে দায়ি করিয়া আইন বিচার চাহিয়াছে। যা দেখিয়াছি স্কুলের শিক্ষাক, ঠিকাদার, প্রকৌশল পুতিষ্ঠান খালি নিজেগোর লাভের তালে আছিল। আমাগো ছোট্ট জেঠা শ্রাবণের মৃত্যু অপ মৃত্যু নয় এইটি হত্যা হিসাবেই গন্য করিতে হইবে, চিন্তায় আছি…

আরিফ জেঠা কহিলো, রাঙ্গামাটি শহরের অটোরিক্সা ভাড়া নতুন করিয়া নির্ধারণ করিয়াছেন জেলা প্রশাসন। তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে নতুন করিয়া ভাড়া বাড়িয়াছে। কথা হইলো রাঙ্গামাটিবাসীতো অটোগোর কাছে জিম্মীই রহিয়াছে। আমাগো মেয়র জেঠাতো সেদিন কহিলো তাইনেও নাকি ছোট কাল হইতেই দেখিতেছে এই অবস্থা। তয় এখন ক্ষমতা পাইয়াও কেন অপ-অবস্থার পুরিবর্তন করিতে পারিতেছেনা। যা মনে হইতেছে আমাগো শহরের বহু নেতা যুবক জেঠা বৃদ্ধ হইয়া গেলেও নগরবাসী জিম্মীদশা হইতে মুক্ত হইবে না, চিন্তায় আছি…

মুবিন জেঠা কহিলো, বান্দরবানের আলিকদমে রোহিঙ্গ্যারে ভুয়া সনদ দেওনের কারনে হেইখানে ইউপি চেয়ারমন লগে তাইনের কর্তা-কর্মচারী সহ আট জনের বিরুদ্ধে মামলা কিরয়াছেন র্বিাচন কর্মকর্তা। বান্দরবানের আরো বহুত ইপুজিলাতেও তলে তলে বহুত চোরাকাম চলিতেছে। রোহিঙ্গ্যাগোর লাগি পিরিত দেখাতেই গিয়া শেষ মেষ নিজের বসার পিড়িও টান পড়িতেছে। কথা হইলো আমাগোর সরকারের নিয়ম না মানিলে উচিৎ শাস্তি হওনের দরকার, চিন্তায় আছি…

বাবলু জেঠা কহিলো, মুজিব জন্মশতবর্ষে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেওনের নামে প্রতারণার অভিযোগে খাগড়াছড়ির দুই প্রতারকরে এলাকাবাসী পুলিশের হাতে তুলিয়া দিয়াছে। প্রতারকরা হইলো নাঈম উদ্দিন ও মোঃ সালমান। এই দুই চোরা নাকি জেলা পুরিষদের অফিস সহায়ক। কথা হইলো চোরের দশ দিন হইলেও গৃহস্থের একদিন এই প্রবাদ মনে হয় নাঈম-সালমান ভুলিয়া গিয়াছে। তয় তাগোরে চাম ফাটা শাস্তি দিতে হইবে, চিন্তায় আছি…

রফিক জেঠা কহিলো, গেল ২০১২সালে বন্ধুত্ব করিয়ায়া বিয়ার প্রলোভন দেখাইয়া কিশোরী বন্ধুরা সহ ধর্ষণ করনের অপরাধে মামলার পলাতক প্রধান আসামীরে র‌্যাব-৭ এর কর্তারা আটক করিয়াছে। ধর্ষক সাদেক হোসেন মুন্না দীর্ঘ ১০ বছর ধরিয়া পলাতক আছিল। লোমহর্ষক এই ঘটনায় ধর্ষিতা বাদী হইয়া মামলা করিলে মুন্না পলাতক হইয়া যায়। কিন্তু শেষ রক্ষা হইলোনা ধর্সক মুন্না এইবার হ¹লই ধরা পড়িবে। কথা হইলো আমাগো আইনসৃঙ্খলা বাহিনী যত বড় অপরাধী হউক গর্ত হইতো টানদিয়া বহির করিতে পারিবে। অপরাধীরা অপরাধ করিতে বহু চিন্তা করিবে। তয় এইসব বেঈমানদের উচিৎ শিক্ষা দেওনের দরকার, চিন্তায় আছি…

বাবুল জেঠা কহিলো, খাগড়াছড়ির গুইমারায় পাহাড় খেকোদের অত্যাচারে হেইখানের জেটা-জেঠিরা অতিষ্ট হইয়াছে। হেইখানের নানান পাহাড়ে আইজ এই হইলে কাইল আরেক পাহাড় কাটিয়া মাটি পাচার করিতেছে। আমাগো প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট জেঠারা শত চেষ্টা করিয়াও পাহাড় কাটা ঠেকাইয়া রাখিতে পারিতেছেনা। কথা হইলো দ্ইু চাইরটারে লম্বা জেল করিয়ায়া দিতে হইবে, চিন্তায় আছি…

আবার আমাগো মাত্তাল লেদু কহিলো তুমি বন্ধু কালা পাখি, আমি যেন কি-ই। সারা বছর জেঠা-জেঠিগোরে চুষিয়াই খাইলি। ক্ষেমতার অধিকারীরাতো রাজনৈতিক লেজুরভিত্তি চালাইয়া শহর নগরের অসহায় জেঠা-জেঠিরে ভালবাসার পল্টি মারিয়া লাগাতারই ছেঁচড়াইতেছে। জন্ম নিবন্ধন লইয়া বহুতে কহিলো যেই অত্যাচারিত হইতেছি তয় মানবকুলে আর জন্ম লওনের দরকার নাই। ঢের ভালা পাখি হইয়া জন্মিলে গোটা পুত্থিবী ঘুরিলেও, পাসপোর্ট, ভিসা, পুরিচয়পুত্র, জন্ম নিবন্ধুনের দরকার হইবে না। এই কামে, হেই কামে বহুতে ফিরিকশন লাগাইয়া দিয়া চুইংগামের মতন লম্বা করিতেছে, আবার নানান কিছিমের আকাম লইয়াও দৌড়াইতেছে। লেদু কহিলো খালি জনগনরে ল্যাং মারনের তালে। ক্ষেমতারে ললিপপ ভাবিয়া লুটপাট-সুবিধা চালাইতে বহুতেরে পাঁটায় তুলিয়া ছেঁচিতেছে। লুটেরার দল আছমকা গন্ডোগোল আর আবোল তাবোল দল বাঁধাইয়া হ¹লই হাতাইয়া নিতে গোল পাকাইতেছে। তয় কি ভালোভাসা, বহুতেতো বাসাবাড়িও দখল করিতেছে। যা মনে হইতেছে মাত্তাল লেদু মধু খাইলেও হুঁস জ্ঞান ঠিকই আছে, চিন্তায় আছি…

ভাইপো-রে পার্বত্য এলাকায় আর কতো রকম-বেরকমের কান্ডকারখানা দেখিতে হুনিতে হইবো বুঝিতে পারিতেছিনা। রাজনীতির মাঠতো হঠাৎ করিয়া চুড়ান্ত গরম হইয়া পড়িবে। ঐ গরমে কে পোড়া আর কে আধপোড়া হইবে পাবলিক জেঠারা ডরে ভয়ে দিনাতিপাত করিতেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক জেঠা জেঠি কহিলেন সন্ধ্যার পর অনেকে ডরে ভয়ে স্থান ত্যাগ করিয়াও রাত্রি যাপন করিতেছে। আধিপত্য, চাঁন্দাপত্য, ঘায়েলপত্য, খাদ্যপত্য নানান অপকর্মপত্যর বিস্তার লইয়া কয়েক গ্রুপতো ফটর ফটর করিয়া খালি মানুষ মারিতে ওস্তাদ, ভাই-পো রে খালি দুঃখ আর দুঃখ আমি জেঠাও কখন জেলে ঢুকি এই চিন্তা লইয়া আরো বহুত ঘটনা বাকি থাকিলেও আইজ এই পর্যন্ত লিখিয়া ইতি টানিতেছি, তবুও চিন্তায় আছি….

ইতি-
পা.স.চি.জে.মি.ব.
৭আগষ্ট, ২০২২ খ্রিঃ