দীঘিনালায় কাঁচা মরিচ কেজি ২শত ৮০টাকা
॥ মোঃ সোহেল রানা, দীঘিনালা ॥
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় কাঁচা মরিচ ক্রেতার নাগালে বাহিরে ২শত ৮০টাকা কেজি ধরে খুচরা বাজারের বিক্রি করছে বিক্রেতারা। শনিবার (৬জুলাই) উপজেলার বোয়ালখালী নতুন বাজারের হাটের দিন গিয়ে সরেজমিনে কয়েকজন বিক্রেতার সাথে কথা বলে জানাযায়, স্থায়ীভাবে কাঁচা মরিচ উৎপাদন কম থাকা সমতল থেকে মরিচ পাইকারী কিনে এনে দীঘিনালায় বিক্রি করতে হয়।
উপজেলার বড়াদম এলাকার মরিচ ব্যববসায়ী সুজন চাকমা বলেন, বন্যার কারনে স্থানীয় কাঁচা মরিচ উৎপাদন নাই বললেই চলে। সমতল থেকে ২শত৫০টাকা ধরে পাইকারী কিনে এনে দীঘিনালায় কাঁচা মরিচ বিক্রি করতে হয়। অনেক সময় ক্রেতারা রাগ করে কাঁচা মরিচের দাম এত বেশি কেন বলে।
আরেক ব্যবসায়ী সম্পদ চাকমা ও মোঃ করিম বলেন, দেশি কাঁচা মরিচ ২শত ৮০টাকা আর পাহাড়ে উৎপাদিত ধান্য মরিচ ৩শত ২০টাকা ধরে বিক্রি করছি, তবে আমারা কেজির দাম না বলে পোয়া/২শত৫০ গ্রাম ৭০/৮০টাকা ধরে খুচরা বিক্রি করছি। এক কেজির দাম বললে ক্রেতা হতবম্ব হয়ে যায়। বোয়ালখালী বাজারের হাটের দিনে এসে কামাল হোসেন বলেন, গত দুই সপ্তাহ আগে কাঁচা মরিচ কিনেছি এক কেজি ৭০/৮০টাকা আর দুই সপ্তাহ ব্যবধানে আজকের বাজারে এসে দেখি ১পোয়া/২৫০গ্রাম ৭০/৮০টাকা। সবকিছুর দাম বেড়েছে এতে করে সাধারন মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাহিরে চল গেছে।
১পোয়া কাঁচা মরিচের নিয়ে মরিয়ম বেগম বিক্রেতাকে ২০টাকা দেয়, ব্যবসায়ী বলে ৭০টাকা পোয়া কি কইন (কি বলেন) গত সপ্তায় ২০টেহা পোয়া নিছি। এখন কইন ৭০টেহা রাইখা দেইন আমি ভিক্ষা কইরা এত টেহা কই পামু। মরিচ না কিনে চলেন যান।