বরকল রাগীব রাবেয়া কলেজ কর্তৃক এমপি দীপংকর কে সংবর্ধনা
অতি শীঘ্রই বরকল রাগীব রাবেয়া কলেজ জাতীয়করণ করা হবে: দীপংকর তালুকদার এমপি
॥ বরকল উপজেলা প্রতিনিধি ॥
রাঙ্গামাটির বরকল উপজেলায় বরকল রাগীব রাবেয়া কলেজটি অতি শীঘ্রই জাতীয়করণ করা হবে। শনিবার (৩০ জুলাই) সকালে বরকল রাগীব রাবেয়া কলেজ এমপিওভুক্তিতে বিশেষ অবদান রাখায় আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্য এসব কথা বলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি।
বরকল রাবেয়া কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি সন্তোষ কুমার চাকমার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্বত্য রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, সদস্য সবির কুমার চাকমা,বরকল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নাছির উদ্দীন। বরকল রাগীব রাবেয়া কলেজের প্রফেসর রাসেল চাকমার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন পার্বত্য রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ প্রাক্তন চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, ৪৫ বিজিবি জোন অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ মতিউল ইসলাম মন্ডল, বরকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুয়েল রানা প্রমুখ।
তিনি আরও বলেন,কলেজ হোক বা বিশ্ববিদ্যালয় হোক টিকিয়ে রাখাটা জরুরি। বরকলের মতো জায়গায় কলেজ বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখা বড় কঠিন ব্যাপার। তবে সকলের আন্তরিকতা থাকায় বরকল কলেজ এমপিওভুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। বরকল কলেজ প্রতিষ্ঠার পেছনে রাগীব আলীর অবদান আছে। সে কথাটি বরকলের মানুষ এখনও ভোলেনি। তাই বরকলবাসী রাগীব আলীর প্রতি কৃতজ্ঞ। তিনি এটাও বলেন,প্রতিষ্ঠানটি এমপিও হওয়া মানে ড়হব ঝঃবঢ় ভড়ৎধিৎফ। শুধু তাই নয় শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তুলতে বরকল কলেজে একাডেমি ভবন নির্মাণে উদ্যোগ নেওয়া হবে। সেই সাথে এই অর্থবছরে ছাত্রীবাস নির্মাণ করে দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন। যদি ভবিষ্যতে আওয়ামীলিগ সরকার ক্ষমতায় আসে আর সকলের ঐক্যতা থাকলে ব্রীজ,রাস্তাঘাট সবকিছু উন্নয়ন করা হবে। আলোকিত মানুষ হতে গেলে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। তাই শিক্ষাকে গুরুত্ব দেয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দেন এমপি দীপংকর তালুকদার।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী বলেন,বঙ্গবন্ধু ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিশ্বাসী। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে। এখন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা বজায় রেখে প্রধানমন্ত্রীর সাথে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো সমাজের সম্পদ। এ সম্পদকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়ন করতে হবে। তার আগে স্থিতিশীল সমাজ,স্থিতিশীল পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন,দীর্ঘ ২২ বছর মাথায় ঘাগড়া কলেজ এমপিওভুক্ত হয়েছে।কিন্তু বরকল রাগীব রাবেয়া কলেজ ৯বছরের মাথায় এমপিওভুক্ত হয়েছে।যা অসম্ভব ব্যাপার ছিলো।শিক্ষার্থীদের ছাত্রাবাস ও কলেজের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা এমপি দীপংকর দাদা ও জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
৪৫ বিজিবি জোন অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ মতিউল ইসলাম মন্ডল বলেন,জ্ঞান অর্জন না করলে জীবন স্বার্থক হবে না। যেহেতু বরকল রাগীব রাবেয়া কলেজ এমপিওভুক্ত হয়েছে।এখানে শিক্ষার পাশাপাশি অনেক সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে।তাই শিক্ষার্থীদের মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করার পরামর্শ প্রদান করেন মতিউল।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুয়েল রানা বলেন,সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বরকল রাগীব রাবেয়া কলেজ এমপিওভুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। এমন কলেজ রয়েছে যেখানে দীর্ঘবছর পর্যন্ত চালু থাকার স্বত্বেও পাঠদান,এমপিওভুক্ত করা সম্ভব হয়নি। শুধু এমপিওভুক্তর মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বরকল রাগীব রাবেয়া কলেজটি সরকারি কলেজ নামকরণে সহযোগিতা প্রদানে এমপি মহোদয়ের এর মাধ্যমে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
এসময় উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান শ্যাম রতন চাকমা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুচরিতা চাকমা,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সুলতান আহমদ ও একাডেমি সুপারভাইজার মোঃ তানভীর মাহমুদ সহ বরকল রাগীব রাবেয়া কলেজ শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, প্রথাগত নেতৃবৃন্দ, ভূমিদাতাগণ, অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।