জুরাছড়ির দূর্গম সীমান্ত এলাকায় বিদ্যালয় পরিদর্শন
॥ জুরাছড়ি উপজেলা প্রতিনিধি ॥
রাঙ্গামাটি জুরাছড়ি উপজেলার দূর্গম দুমদুম্যা ইউনিয়নে সীমান্তবর্তী এলাকার জনগণ শিক্ষা এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে অত্যন্ত পিছিয়ে। বাস্তব সত্য এখানকার দূর্গম জায়গায় কাজ করাও অত্যন্ত কঠিন বিষয়। বর্তমান সরকার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর শিক্ষার মানোন্নয়ন করার লক্ষে যথাযথভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প (চঊউচ৪) এর আওতায় বিদ্যালয় গুলো পুনঃনির্মাণ করা হচ্ছে।
সীমান্ত এলাকায় কাজ করতে কোন ঠিকাদারের পক্ষে সম্ভব নয়। সম্ভব না হলে ও জনগণের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস পেয়ে বিদ্যালয়গুলো কাজ করার সম্মতি জানিয়েছেন জুরাছড়ি উপজেলার স্থানীয় ঠিকাদার মংচিং রাখাইন।
গত মঙ্গলবার জুরাছড়ি হইতে নৌপথে ঠেগামুখ হয়ে সীমান্ত এলাকা ছোট কুড়াইদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিমাই তুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আনন্দ পাড়া সরকরি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন ও পূনঃনির্মাণের লক্ষে লে আউট দেওয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জুরাছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কৌশিক চাকমা, এলজিইডি প্রতিনিধি সন্তোষ চাকমা,দুমদুম্যা ইউনিয়নে ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার পূণ্য রঞ্জন চাকমা, ঠিকাদার মংচিং রাখাইন, জুরাছড়ি উপজেলার স্থানীয় সাংবাদিক স্মৃতি বিন্দু চাকমা সহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষা ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
কৌশিক চাকমা বিদ্যালয়ের অভিবাবক ও স্থানীয় মুরুব্বীদের সাথে শিক্ষার মানোন্নয়ন বিষয়ে আলাপকালে বলেন, এসব দূর্গমতা এলাকায় উন্নয়ন মূলক কাজ করা খুবই কঠিন, কিন্তু বর্তমান সরকারের উন্নয়নের কোন ঘাটতি নেই প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অধম্য সাহসিকতায় প্রত্যেক বিদ্যালয় পুনঃনির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু এসব এলাকায় কোন ঠিকাদার কাজ করতে আগ্রহী নয়। একমাত্র মংচিং রাখাইন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে এ দূর্গমতা এলাকায় কাজ করার সম্মতি জানিয়েছেন। তাও এলাকার জনগণের পক্ষ থেকে যদি ঠিকাদারকে সার্বিক সহযোগিতা করা না হয় তার পক্ষে ও কোনভাবে কাজ করা সম্ভব নয়।
এসব বিদ্যালয় গুলো পুনঃনির্মাণের কাজ সুস্থভাবে সম্পাদন করা হয় তাহলে দুমদুম্যা ইউনিয়নে শিক্ষার মান আরো একধাপ এগিয়ে যাবে, পরিবর্তন ঘটবে শিক্ষার ব্যবস্থা।
স্থানীয়রা জানান, বিগত সময়ের চাইতে বর্তমানে শিক্ষার ব্যবস্থা কিছুতা পরিবর্তন হয়েছে। বগাখালী এলাকা থেকে এবার চারজন ছেলে শিক্ষক নিয়োগ পাওয়ার জন্য এ প্রথমবারের মত আবেদন করেন। স্থানীয়রা বলেন, রাঙ্গামাটি জেলাপরিষদ যদি দূর্গমতা এলাকা বিবেচনা করে তাদেরকে নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার প্রদান করে তাহলে দূমদুম্যা ইউনিয়নে শিক্ষার আমূল-পরিবর্তন ঘটবে।
আনন্দ পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি কিনাধন তংঙ্গ্যা জানান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান প্রবর্তক চাকমার প্রতি আমরা চির কৃতজ্ঞ, তার আন্তরিকতায় ইউএনডিপি অর্থায়নে এসব বিদ্যালয়গুলো স্থাপন করা হয়েছিল বলে তিনি উল্লেখ করে কৃতজ্ঞতা জানান।