রোহিঙ্গা নাগরিককে সনদ প্রদানে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন
বাংলাদেশে মিয়ানমারের আশ্রিত নাগরিকরা সরকারের দেয়া আশ্রয়ন প্রকল্পে না থেকে তারা নানা বে-আইনী কাজে জড়িত হয়ে পড়ছে বলে দেশের বিভিন্নস্থান থেকে অভিযোগ নিত্য রয়েছে। রোহিঙ্গা নাগরিকরা তাদের নিদিষ্ঠস্থান থেকে বের হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে এক শ্রেনীর প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের অপকটে অথবা দারালের মাধ্যমে জেলা উপজেলার পৌরসভা ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান এবং কাউন্সিলরদের নিকট থেকে সনদ গ্রহন করে নাগরিকত্ব দাবি করতে কাজ করে যাচ্ছে। তারা প্রশাসনের অগচোরে দালালদের দিয়ে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত সহ পাসপোর্ট তৈরীতেও কাজ করে যাচ্ছে।
তেমনি একটা ঘটনা হলো বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে চিহ্নিত রোহিঙ্গা মোঃ ফরিদ আলম। বর্তমানে ৯নং ওয়ার্ডের বাঁশখাইল্যা পাড়ায় বসবাস করেন। গাড়ি চালিয়ে তিনি জীবিকা নির্বাহ করেন। মায়ানমারের এই নাগরিক ৭/৮ বছর আগে লামায় এসে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড কুমারী বাজার এলাকার মির আহামদের মেয়ে ফাতেমা আক্তার কে বিবাহ করেন। দুই বছর আগে তাদের তালাকও হয়ে যায়। তালাকের আগেই সে ভোটার হওয়ার জন্য শশুর বাড়ির সকলের আইডি কার্ড ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে রাখে। সারা দেশের ন্যায় গত ২৫ জুন থেকে লামা উপজেলায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হয়। এই সুযোগে রোহিঙ্গা নাগরিক মোঃ ফরিদ আলম শশুর মির আহামদকে বাবা, শাশুড়ি জমিলা বেগমকে মা, শ্যালক আব্দুর রহিম, রশিদ আহমদকে বড় ভাই এবং শালিকা মাহমুদা আক্তারকে বড় বোন বানিয়ে উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইয়াংছা নতুন পাড়ার ঠিকানায় ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। এর সাথে ভোটার হতে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন, হালনাগাদ চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট, রোহিঙ্গা নয় সনদ, নিজের চাচা ফুফু থাকা সত্ত্বেও নাই মর্মে প্রত্যায়ন, বিলম্ব ভোটার হওয়ার প্রত্যায়ন পত্র, ভূমিহীন সনদ, হোল্ডিং করের রশিদ সহ অন্যান্য কাগজপত্র সংযুক্ত করে আবেদন করেন। প্রতিটি কাগজ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান দ্বারা সত্যায়িত করেছেন। ইতিমধ্যে তার আবেদনের কপি তথ্য সংগ্রহকারী কর্তৃক পূরণ করে সুপারভাইজার নিকট জমাও হয়েছে।
দায়িত্বরত সুপারভাইজার মোঃ নাজেম উদ্দিন সন্দেহবশত কয়েকটি ফরম সরজমিনে তদন্তে গেলে বিষয়টি বেরিয়ে আসে। আবেদনে ফরিদ আলম বাবার নাম মির আহামদ লিখলেও সরজমিনে গিয়ে এলাকার সবার সাথে কথা বলে জানা যায় তার বাবার নাম নূর ইসলাম। তারা রোহিঙ্গা নাগরিক। রোহিঙ্গা সন্দেহে যাচাইবাচাই এর জন্য ৯নং ওয়ার্ডের ২০টি, ৭নং ওয়ার্ডের ১০টি ও ৮নং ওয়ার্ডের ৮টি আবেদন তথ্য সংগ্রহকারীদের কাছ থেকে আমি নিয়েছে। ইতিমধ্যে অনেক গুলো রোহিঙ্গা নাগরিক বলে নিশ্চিত হয়েছি। এভাবে বিভিন্ন এলাকায় এসব ঘটনা ঘটছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। রোহিঙ্গারা সকল কাগজপত্র কিভাবে যোগাড় করল ? বিষয়টি নিয়ে আমরা বিব্রত। তাই প্রমাসনের সংশ্লিষ্ট সকলের এ বিষয়ে সজাগ থাকার াাহ্বান করেছেন তিনি। এসব এলাকার অনেকেই জানিয়েছেন পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদের দালালের মাধ্যমেও রোহিঙ্গা নাগরিক অনেকে দেশের নাগরিক হতে প্রানপন চেষ্টা করে যাচ্ছে। রোহিঙ্গা নাগরিকদের সনদ প্রদানে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে দেশ ও দশের স্বার্থে।