[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

ফাটা কপাইল্লাগোর কপাল হরদম ফাটাই হইয়া বসে, বিনয় জেঠাও সুযোগ বুঝিয়া শিক্ষার্থীগোর কপাল ফটাইয়াছে

১৩০

ক্রিং ক্রিং, এ্যঁ…লো, কি গো জেঠা তুমি ঠিক আছোতো, গত সপ্তাহের খবরাখবর লইয়া তোমাগোর দরবারে-দরবারে, টেবিলে-টেবিলে কারেন্ট হাজির হইয়াছি। আমাগো শেখ হাসিনা জেঠিতো ব্যাটা করোনার টুঁটি চাপিয়া ধরিয়াছে। এই বজ্জাতের হাড্ডি গোটা পৃথিবীর জেঠা-জেঠির অস্থিমজ্জাও চুষিয়া খাইতেছে। লাখ লাখ জেঠা-জেঠিগোর জীবন সাঙ্গ করিয়া বন্ধন ছিন্ন করিয়াছে। এইবার নাকি জোট বাধিঁয়াছে ওমিক্রন। তার মইধ্যে সমাজের দু¯ৃ‹তকারী, ধর্ষক, বখাটে, ইভটিজার, লুটপাটকারী, মাদক বিক্রেতা, টেন্ডারবাজ, তেলবাজ, অস্ত্রবাজ, দালালবাজ, ভুমিদস্যু, চাঁপাবাজগোর বিষয়ে দু-চারটি কথা লিখিয়াই যাইতেছি। ভাই পো-রে, আইন আছে, কঠোর দমন নাই, নিপীড়ণ, নির্যাতন, বিতারণ আছে ভালো শাসন নাই। পাহাড়ের চুড়ায়, খাদে, চিপায়, নালায়, ঝিড়িতে, হ্রদের ধারের অভাগা জেঠা জেঠিরা কোন দুনিয়ায় তাইনেরা বসবাস করিতেছে বলিয়া খালি আপুত্তি-বিপত্তি। আমি জেঠাও সর্ব বেকায়দায়। ভক্তরাও খালি কহেন অ-জেঠা আমরা বাঁচি, মরি আর ঝুলিয়া থাকি আপনে অন্তত ভালা থাকিবেন। ঐ জেঠা জেঠিগোরে কি বলিব আমিও বিপদ সামলাইতেই পারিতেছিনা। বুড়ো বুড়িরাই কহিত যে নাকি সহে সে নাকি বরকত পাইয়া থাকে। বহু হর্তাকর্তা আইজ দিতাছি কাইল দিতাছি বলিয়া চড়কার মতন ঘুরাইতেছে, আবার দুই চাইর কলম লেখিলেই খালি কহেন অ জেঠা, গা তো পোড়াইতেছে। আমিওযে পুড়িয়া মরিতেছি, সইতেও পারিতেছি না, বরকতও পাইতেছি না, কিছু বলিতেও পারিতেছিনা, জমাজাটিও করিতে পারিতেছিনা, খালি চিন্তা, আর চিন্তা….

ভাই পো-রে পুরানে বুড়ো-বুড়িরা কহিতো ওজন বুঝে ভোজন দে, মন বুঝে ধন দে, লা-আ-ভ বুঝে ঝাঁপ দে। এক দিকে জেঠা জেঠিগোর ঠেলাগুতো অন্য দিকে ভাই পো আর জেঠা-জেঠিগোর ওয়েটিং, এইসব চিন্তা লইয়া অধিক সময় চোখের পাতা রাইতেও খাড়াইয়া থাকে। আবার ফিজিসিয়ান কহিলেন জেঠির প্রেসার নাকি এখন হাই, তয় তাইনের চিল্লা-ফাল্লাও হাইফাই। আমি কি সমাজের জেটা জেঠিগোর সুখ দুঃখের বয়ান লিখিব নাকি জেঠিরে সামাল দিব ঐ হিসাবও মিলাইতে পারিতেছি না। প্রতিদিনই ভোর সকালেও দেখি জেঠি বুকে হাত দুইখান লইয়া ঘুমের ঘোরেও যেন জেঠারে ঘায়েল করিতে পরিকল্পনা করিতেছে। জেঠাও হ¹ল মানুষ-আমানুষগোর খবরাখবর লইয়া বাড়ি ফিরিলেও রাইতে তাইনের সেবাও করিতে হইতেছে। আবার বহুত জেঠা-জেঠি কহিলো তাইনেগোরে নাকি প্রেসক্রাইব করিতে, জেঠি হইতে কিভাবে রক্ষা পাওন যায়। এই হইলো কাটা ঘা’এ নুন ছিটানো। আরে জেঠার নিজের প্রেসক্রাইব কারে জমা করিবো হেই চিন্তা লইয়া উপর ওয়ালার দেয়া ব্ল্যাক চুল হোয়াইট হইতেছে তার মইধ্যে জেঠা-জেঠিগোর যত তালিমালি। রাইতে জেঠিরে দুই চাইর কথা শুনাইয়া দিলেই পেট্রোল বোমার মতন ঢাস ঢাস করিতে করিতে জীবনটারে ঠাঁসা বানাইয়া দেয়। হেই সময় মনে হয় লাইফটা রেস্টুরেন্টের পরটার মতন হইতেছে। সকালে বিছানা ছাড়িতে দেরি। পাহাড় পর্বতের মানুষ অ-মানুষগোর সুখ দুঃখের বয়ান উত্তাপন করিতে হিমশিমও খাইতেছি। করোনা-১৯তো কারো কথাই হুনিতে চাহে না। বহু ভাইরাসের মানবতা কিছুটা থাকিলেও এই ভাইরাসের দেখি মানবতার মা-ও নাই, বাপও নাই। আবার কুঞ্জ হইতে বাহির হইলেই ভাইপোগোর নজরবন্দি, তার মইধ্যে বিনা বেতনে চাকুরী ব্যাটা ছোট্ট জেঠার পাঠশালায় কামিং গোইং এখন হরদম। বেকার এই ছোট্ট জেঠাও দেখি করোনার বান লইয়া খালি প্রশ্নের রান করিতে ওস্তাদ, বায়না ধরে জঙ্গল দেখিবো, পাহাড়-নদী-নালা দেখিবো, আমি জেঠা যে কোন খানে লুকাইবো, খুবই চিন্তায় আছি… যাউ¹া…

মং জেঠা কহিলো বান্দরবানের ছাইগ্যাপাড়া এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর তৈরীতে নিম্নমানের নির্মান সামগ্রী কাজের লাঘনের আভিযোগ উঠিয়াছে। গরের আশায় যারা রহিয়াছে হেইসব জেঠা-জেঠিরা কহিলো এইসব গরে যাইতেতো ডর লাগিতেছে। আমাগো জাতির পিতা শেখ মুজিবের জন্মশত বর্ষ লইয়া প্রধানমুন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ঘর উপহার দিলেও দুর্নীতি আর অবহেলায় পড়িয়া ঘর নির্মান। কথা হইলো এইসব ঘর তৈরীতে ঠিকাদার হোক আর ব্যবসায়ী হোক লাভ না করিয়া হইলেও ঘর মজুবত করনের দরকার, চিন্তায় আছি…

হাসেম জেঠা কহিলো, তাইনের মাটিরাঙ্গা উপুজিলায় অস্ত্রধার দুই দলের মইধ্যে গোলাগুলিতে উত্তম ত্রিপুরা জেঠা নিহত হইয়াছেন। গেল সমবার পহর শুর হইলেই এই আকাম ঘটাইয়া বসে। পরে এলাকার জেঠা-জেঠিরা প্রান বাঁচাইতে অন্যের আশ্রয় লইয়াছেন। যা মনে হইতেছে পাহাড়ে অস্ত্রের গুলির মেয়াদও শেষ হইয়াছে। না হইলে এইভাবে টানা ফুটাইতেছে ক্যান, চিন্তায় আছি…

কবির জেঠাও কহিলো কাপ্তাইয়ের চিৎমরম গাঁয়ে দুই দরে বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটিলেও কারো প্রান যাওনের খবর পাওয়া যায় নাই। গেল সমবার তাইনের উপুজিলার ঐ গাঁয়ে অস্ত্রদারী দুই দলের মইধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটিয়াছে। ঘটনার পর হইতে হেইখানের ব্যবসায়ীরা তাইনেগোর দোকান পাট খুলিতে ভয় পাইতেছে। হেইখানের বহুতে পলাইতেছে। যা মনে হইতেছে অস্ত্রধারী জেঠারা হঠাৎ চটিয়া বসিয়াছে কখন কারে শেষ করিয়া দিতাছে হেই চিন্তায় বহুতের চোখে ঘুমও না, চিন্তায় আছি…

ইউপিডিএফ এর নারী কর্মীরাতো শহরের সন্ত্র জেঠার আফিসের সামনেই সন্তু জেঠা বিরুদ্ধে মানববন্ধ চালাইয়াছে। নানান ব্যানার আর কিচিমের প্রেল কার্ড লইয়া দাঁড়াইয়া জেলার জেঠা-জেঠিগোরে বহুত কিছু হুনাইয়া দিয়াছে। সন্তু জেঠারে গদি ছাড়িয়া জুম্ম জাতির অধিকার আদায়ে আন্দোলনে নামিতে ওয়ার্ডার করিয়াছে। এই ঘটনা লইয়া আমাগো পাহাড়ের নেতা-নেত্রীগোর মইধ্যে ভিতরে ভিতরে চরম উত্তেজনা লাগিয়াছে। যা মনে হইতেছে পাহাড়ে লাগাতার আকাম ঘটিতে যাইতেছে, চিন্তায় আছি…

মির জেঠা কহিলো, মহালছুড়ির উপুজিলা নির্বাহী কর্তার বিরুদ্ধে হেইখানের ব্যবসায়ীরা আন্দোলনে নামিয়াছে। ব্যবসায়ী জেঠা-জেঠিরা আপুত্তি জানাইয়াছে নির্বাহী কর্তা জেঠি বিনা করনে তাইনেগেরে খালি জরিমানা করিতেছে। আকাম করে একে ধরে আরেকেরে এই ঘটনায় হেইখানের প্রশাসনের পুরিস্থিও শান্তিতে নাই। পাহাড়ের যা শুরু হইয়াছে বিজ্ঞ বহুত জেঠা-জেঠির ঘুমও হারাম হইয়া গিয়াছে, চিন্তায় আছি…

সোহেল জেঠা কহিলো, দীঘিনালা উপুজিলায় বহুত শিক্ষাথীরে পরীক্ষায় উত্তির্ণ আর চাকুরী পাইয়ে দেওনের কথা কহিয়া বিনয় চাকমা জেঠা নাকি অর্ধকুটি টাকা আত্মসাত করিয়াছে। এই আকামের ঘটনা লইয়া চাকুরী প্রার্থী শিক্ষার্থীরা চরম চটিয়াছে। কথা হইলো ফাটা কপাইল্লাগোর কপাল হরদম ফাটাই হইয়া বসে, বিনয় জেঠাও সুযোগ বুঝিয়া শিক্ষার্থীগোর কপাল ফটাইয়াছে, চিন্তায় আছি…

ইসমাইল জেঠা কহিলো মানিকছড়ি উপুজিলার যোগ্যাছোলা ইউনিয়নে কিশোরী রুমি ত্রিপুরারে এইকই গাঁয়ের বদুক্তি ত্রিপুরা নির্মমভাবে জবাইয়া করিয়া হত্যার পরে মাথা ন্যাড়া করিয়া উলঙ্গাবস্থায় মাটি চাপা দিয়াছে। এই মর্মান্তিক লোমহর্ষক ঘটনা লইয়া হেইখানের জেঠা-জেঠিগোর মইধ্যে চরম হতাশার জন্ম হইয়াছে। কি কারনে বেচারীরে এইভাবে হত্যা করিয়া তাও পুরিস্কার তথৗ তলাশ নাই। এত্তদিন হুনিতাম জল্লাদ নর-ই হয় এইবার হুনিলাম নারীও জল্লাদ হয়, চিন্তায় আছি…

হক জেঠা কহিলো গোটা দেশে শয়তানের জোর বাড়িয়াছে। একদিকে সনাতনীগোর উপুর নানান কিচিমের অত্যাচার নির্যাতন চলিতেছে। দেশের বহুতস্থানে নারীরা ধর্ষণই হইতেছে। বহুতে খালি টাকা টাকা, কাই কাই অবস্থা, বহুতে টাকা পাচার করনের তালে রহিয়াছে। নিত্য জিনিষের দাম খালি বাড়িতেই আছে। এইভাবে চলিতে থাকিলে দেশে হ¹ল পুরিস্থিই দিন দিন খারাই হইয়া বসিবে, চিন্তায় আছি…

আকাশ জেঠা কহিলো, গেল শুক্রুবার মইধ্য রাইতে অস্ত্রধারীর দল বান্দরবনের সদরের বাঘমারা গ্রামে গলা কাটিয়া শৈচিমং মারমারে হত্যা করিয়াছে। হেইখানের জেঠা-জেঠিরা কহিলো কি কারনে এই যুবকের হত্যা করিয়াছে অজানা। রাইতে নিজ ঘরে ঘুমাইতেচিল শৈচিমং প্রাকৃতিক কাজ সারিয়া ঘরে ঢুকিলেই কে-বা কাহারা তারে হত্যা করিয়া পলায়ন করিয়াছে। ঐ ঘটনা লইয়া হেইখানের জেঠা-জেঠিরা ডরে ভয়ে দিন যাপন করিতেছে। যা মনে হইতেছে শষ্যের ভিতর ভুত রহিয়াছে, চিন্তায় আছি…

আবার আমাগো মাত্তাল লেদু কহিলো ক্ষেমতার অধিকারীরাতো রাজনৈতিক লেজুরভিত্তি চালাইয়া শহর নগরের অসহায় জেঠা-জেঠিরে ভালবাসার পল্টি মারিয়া লাগাতারই ছেঁচড়াইতেছে। জন্ম নিবন্ধন লইয়া বহুতে কহিলো যেই অত্যাচারিত হইতেছি তয় মানবকুলে আর জন্ম লওনের দরকার নাই। ঢের ভালা পাখি হইয়া জন্মিলে গোটা পুত্থিবী ঘুরিলেও, পাসপোর্ট, ভিসা, পুরিচয়পুত্র, জন্ম নিবন্ধুনের দরকার হইবে না। এই কামে, হেই কামে বহুতে ফিরিকশন লাগাইয়া দিয়া চুইংগামের মতন লম্বা করিতেছে, আবার নানান কিছিমের আকাম লইয়াও দৌড়াইতেছে। লেদু কহিলো খালি জনগনরে ল্যাং মারনের তালে। ক্ষেমতারে ললিপপ ভাবিয়া লুটপাট-সুবিধা চালাইতে বহুতেরে পাঁটায় তুলিয়া ছেঁচিতেছে। লুটেরার দল আছমকা গন্ডোগোল আর আবোল তাবোল দল বাঁধাইয়া হ¹লই হাতাইয়া নিতে গোল পাকাইতেছে। তয় কি ভালোভাসা, বহুতেতো বাসাবাড়িও দখল করিতেছে। যা মনে হইতেছে মাত্তাল লেদু মধু খাইলেও হুঁস জ্ঞান ঠিকই আছে, চিন্তায় আছি…

ভাইপো-রে পার্বত্য এলাকায় আর কতো রকম-বেরকমের কান্ডকারখানা দেখিতে হুনিতে হইবো বুঝিতে পারিতেছিনা। রাজনীতির মাঠতো হঠাৎ করিয়া চুড়ান্ত গরম হইয়া পড়িবে। ঐ গরমে কে পোড়া আর কে আধপোড়া হইবে পাবলিক জেঠারা ডরে ভয়ে দিনাতিপাত করিতেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক জেঠা জেঠি কহিলেন সন্ধ্যার পর অনেকে ডরে ভয়ে স্থান ত্যাগ করিয়াও রাত্রি যাপন করিতেছে। আধিপত্য, চাঁন্দাপত্য, ঘায়েলপত্য, খাদ্যপত্য নানান অপকর্মপত্যর বিস্তার লইয়া কয়েক গ্রুপতো ফটর ফটর করিয়া খালি মানুষ মারিতে ওস্তাদ, ভাই-পো রে খালি দুঃখ আর দুঃখ আমি জেঠাও কখন জেলে ঢুকি এই চিন্তা লইয়া আরো বহুত ঘটনা বাকি থাকিলেও আইজ এই পর্যন্ত লিখিয়া ইতি টানিতেছি, তবুও চিন্তায় আছি….

ইতি-
পা.স.চি.জে.মি.ব.
২৪জুলাই, ২০২২ খ্রিঃ