দীঘিনালা জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্বোধন
॥ মোঃ সোহেল রানা,দীঘিনালা ॥
নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ প্রতিপাদ্য বিষয়কে ধারণ করে খাগড়াছড়ি দীঘিনালা উপজেলায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্বোধন উপলক্ষে র্যালি, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।
রবিবার (২৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা মৎস্য দপ্তরের আয়োজনে উপজেলার মৎস্য চাষীদের অংশ্র গ্রহনে জাতীয় মৎস্য উদ্বোধন উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স চত্বর থেকে এক বর্নাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। পরে উপজেলা অঢিটরিয়াম সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মাছ চাষী মোঃ বিল্লাল হোসেন এর সঞ্চালনায় উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সীমা দেওয়ান এর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ কাশেম। এতে স্বাগত বক্তব্যে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অর্বনা চাকমা বলেন, দীঘিনালা উপজেলায় ১২শত ৪৩টি পুকুর, ৬১টি ক্রিক বাঁধ পুকুর রয়েছে। বেশিভাগ মৌসুমী পুকুর হওয়া শুকনো মৌসুমে মাছ চাষ করতে না আর বর্ষা মৌসুমে বন্যা পানি অনেক ঢুবে চাষীদের অনেক ক্ষতি হয়। ক্ষতিগ্রস্থ চাষীদেরকে সরকারী ভাবে কোন প্রনোদনা দেয়া হয় না। উপজেলা মাছের চাহিদা রয়েছে ১৮শত মেক্টিক টন, উৎপাদন হয় ১৭শত মেক্টিক টন ঘাড়তি রয়েছে ১শত মেক্টিক টন। খাদ্যের দাম বেশি, স্থানীয় ভাবে মাছের খাদ্য উৎপাদন করতে পারলে দীঘিনালায় মাছে ঘাড়তি থাকবে না। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দীঘিনালা প্রেসক্লাব সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নুরে আলম ছিদ্দিকী, উপজেলা মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি দিপংকর প্রসাদ চাকমা প্রমূখ।
আলোচনা সভায় কৃষি কর্মকর্তা নুর আলম ছিদ্দিকী বলেন, মাছের আমিষ স্বাস্থ্য জন্য কোন ক্ষতি করে না। পুষ্টি চাহিদা পূরনের জন্য বেশি বেশি মাছ চাষ করতে হবে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ কাশেম বলেন, অল্প জায়গাতেও পরিকল্পিত ভাবে মাছ করা যায়, সঠিক পরিকল্পনা আস্থা বিশ্বাস থাকলে সকল কাজে সফল হওয়া সম্ভব। প্রশিক্ষন নিয়ে সঠিক ভাবে পরিচর্চা করে মাছ চাষ করলে মাছ চাষে কোন লোকশান নাই। আলোচনা সভাশেষ উপজেলা সফল ৫জন মাছ চাষিকে পুরস্কার বিতরন ও উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।