[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

আলীকদম সদর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জমি দখলরে অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

৩৫

॥ আলীকদম উপজেলা প্রতিনিধি ॥

বান্দরবানের আলীকদমে সদর ইউপি চেয়ারম্যান নাছির উদ্দীন ও পুলিশের বিরুদ্ধে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে হয়রানি মূলক মামলা,হুমকি, নারীদেরকে মারধরের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করলেন ঠান্ডা মিয়ার পরিবারের সদস্যরা।

শনিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে একটি রিসোর্টের হলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঠান্ডা মিয়ার ওয়ারিশরা সদরের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন ও পুলিশের এস আই আল আমিনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনে ন্যায় বিচার দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য ঠান্ডা মিয়ার ওয়ারিশ উম্মে শেলী বলেন, মন্ত্রীর প্রতিনিধি ও চেয়ারম্যানের পদবী ব্যবহার করে নাছির উদ্দিন নিজের অনুসারী দিয়ে আমাদের নামীয় জায়গা দখলে অপচেষ্টা করছেন। তার হুমকি ও হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে পুলিশের শরণাপন্ন হলে পুলিশ আমাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আমরা আদালতের শরণাপন্ন হয়। কিন্তু নাছির উদ্দিন আমাদের হয়রানি করতে নিজেদের লোকজন দিয়ে ঘর ভাঙ্গচুর করে আমাদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করান। পুলিশ ও নাছির উদ্দিন চেয়ারম্যান আমাদের প্রায় হুমকি ধুমকি দেন। ছোট ছোট বিষয়েও পুলিশ আমাদের উপর মারমুখী আচরণ করেন। এমন অনেক সময় সারারাত থানায় বসিয়ে রেখে পরের দিন ছাড়ার নজিরও আছে। আমাদের পরিবারের দুই নারী সদস্যকে কোন কারণ ছাড়া সারারাত থানায় আটকে রেখে পরের দিন ছেড়ে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গত ১৯ জুলাই রাত সাড়ে দশটায় আলীকদম থানার এস আই আল আমিন ও নাছির উদ্দিন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে পুলিশ আমাদের বাড়ী ঘিরে ফেলে। এস আই আল আমিন গালাগালি করতে করতে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ইউনি ফরম ছাড়া হাতে দা নিয়ে ঘরে ঢুকে আবারও সবাইকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। ঘর থেকে আমরা বের না হওয়ায় এসআই আল আমিন নিজে ও তার সাথে যাওয়া পুলিশরা আমাদের লাঠিচার্জ করেন। এক পর্যায় ঘরে থাকা নারীদের চড় থাপ্পড় দেন এস আই আল আমিন। এস আই আল আমিন নেতৃত্বে পুলিশ কোন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই সবাইকে টেনে হিঁচড়ে গাড়ীতে তুলে থানায় নিয়ে আসে। পরে বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করা আমাদের পরিবারের ১১ জন নারী পুরুষকে থানায় নিয়ে এসে এক ঘন্টা অমানুষিক নির্যাতন করে আমাদের নাম ঠিকানা নিয়ে থানায় এক ঘন্টা আটক রাখার পর আমাদের ৩১ জন নারী পুরুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ে করেন। ঘর ভাঙ্গা মামলায় দীর্ঘদিন ধরে ৪ জন আলীকদম উপজেলার বাইরে অবস্থান করছে। তার মধ্যে বয়স্ক নারী,দুগ্ধ শিশুর মা, স্কুল পড়ুয়াসহ ১৭ জন মহিলাকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে উম্মে শেলী আরও বলেন, আমাদের ১১ জনকে থানায় আটক করে নাছির উদ্দিন চেয়ারম্যান ও পুলিশের নেতৃত্বে মিথ্যা মামলা প্রমাণ নেওয়ার জন্য নিজেরা নিজেদের ঘর ভাঙ্গচুর করে। কিন্তু সম্পূর্ণ দোষ আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়। নাছির উদ্দিন চেয়ারম্যানের ক্ষমতার পুতুল হিসেবে নাচছে আলীকদম থানার পুলিশ কর্মকর্তারা।

তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে আরও মামলার আসামি করা হবে মর্মে নাছির উদ্দিন চেয়ারম্যান ও পুলিশের এস আই আল আমিন হুমকি দিয়েছে। পাশাপাশি মামলা না চাইলে জায়গায় ছেড়ে দিতে বলেছে। আমরা চরম নিরপত্তা হীনতায় দিন কাটাচ্ছি। আমরা পুলিশের নিরপেক্ষ ভুমিকা ও ন্যায় বিচার কামনা করছি।

এবিষয়ে আলীকদম থানার এস আই আল আমিন বলেন, পুলিশ ইউনি ফরম ছাড়া অভিযানে যাওয়ার নিয়ম আছে। কোন মহিলার গায়ে হাত তুলিনি শুধু এক বয়স্ক মহিলার হাতে থাকা কাপড় গুলো কেড়ে নিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।