ফটিকছড়ির গৃহবধূ অন্তরাকে হত্যার প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন
॥ খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি ॥
ফটিকছড়িতে গৃহবধূ অন্তরা দে (২১) কে হত্যার প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী ও পরিবারবর্গ। মঙ্গলবার সকালে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে আনন্দ নগর কালীমন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি অজিত নন্দী সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সনাতন সমাজ কল্যান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সজল বরণ সেন, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার দে, সনাতন ছাত্র যুব পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লিটন ভট্টাচার্য, সাবেক পৌর কমিশনার নাসির উদ্দীন তালুকদার, নারী নেত্রী চিংমেপ্রু মারমা, খাগড়াপুর মহিলা কল্যাণ সমিতির সদস্য পিংকি বড়ুয়া প্রমূখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ঘটনার ছয়দিন পরেও পুলিশ এখনো অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। অথচ যৌতুকের কারণে একটা মেয়েকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে। প্রতিবেশীরাই স্বাক্ষী দিচ্ছে ঘটনার দিনও অন্তরার শ্বাশুড়ি অন্তরাকে মারধর করেছে। বর্তমানে দেশে বিচারহীনতা কারনে নারী নির্যাতন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ মানববন্ধন থেকে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।
অন্তরা দে এর পিতা বাবলু দে বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে অন্তরার শ্বশুর বাড়ি থেকে ফোনে জানানো হয় অন্তরা বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে একজনের সাথে। অথচ তাকে পাওয়া গেছে শনিবার সকালে বাড়ির পাশে পুকুর থেকে। আমার মেয়েকে নির্মমভাবে হত্যার করেও শান্তি দেননি অপবাদ দেওয়া হয়েছে। দুই বছর আগে ১০ভরি স্বর্ণ ও নগদ ৫ লাখ টাকা দিয়ে বিয়ে দিই মেয়েকে। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় নানা অজুহাতে অন্তরাকে দিয়ে স্বামী, শাশুড়ী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন টাকা চাইতে পাঠাতো। আমিও সাধ্যমতো মেয়েকে টাকা পাঠাতাম মেয়ের সুখের জন্য। সর্বশেষ এক সপ্তাহ আগে খাগড়াছড়ি শহরের আনন্দ নগর বাড়িতে আসলে জামাই যীশু গুপ্তকে ৩০ হাজার টাকা ও নানা সামগ্রী দেওয়া হয়। ফটিকছড়ি ভূজপুর নারায়ণহাট ইউনিয়নের নেপচুন চা বাগান সংলগ্ন মুস্তারখীল এলাকা থেকে নিখোঁজের দুই দিন পর পুকুরে ভাসমান অবস্থায় অন্তরা দের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। খাগড়াছড়ি আনন্দ নগর এলাকার মেয়ে অন্তরা দে। তার দুই বছর আগে বিয়ে হয়। এক বছরের একটি সন্তান রয়েছে।
ফটিকছড়ির ভূজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন ফারুকী জানান, শনিবার অন্তরা দে এর পিতা বাদী হয়ে অন্তরার স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।