মানিকছড়িতে কিশোরীকে হত্যার ঘটনায় স্বীকারক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে আটক নারী
॥ মোঃ ইসমাইল হোসেন, মানিকছড়ি ॥
মানিকছড়ি উপজেলাধীন যোগ্যাছোলা ইউনিয়নের আওতাধীন গরমছড়ি গদিচন্দ্র পাড়া এলাকার জীবন মালা ওরফে রুমি ত্রিপুরা (১৮) নামের এক কিশোরীকে গত ১৭ জুলাই সকালে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার পর মাথা ন্যাড়া করে বিবস্ত্র অবস্থায় মাটি চাপা দেয় প্রতিবেশী এক নারী। ঘটনা জড়িত ঐ নারী বদুক্তি ত্রিপুরা (৩০)কে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের বোন ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী চাম্পা বালা ত্রিপুরা বাদী হয়ে ঘাতক নারী বদুক্তি ত্রিপুরাকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন ( যার মামলা নং-৭, তারিখ-১৭.৭.২২খ্রি. ধারা ৩০২,২০১)
গত রবিবার (১৭ জুলাই) পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত বদুক্তি ত্রিপুরাকে খাগড়াছড়ি আদালতে প্রেরণ করলে সেখানকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন মানিকছড়ি থানার এসআই শংকর।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলাধীন যোগ্যাছোলা ইউনিয়নের ৮নং গরমছড়ি ওয়ার্ডের গদিচন্দ্র পাড়ার মৃত রশীরাম ত্রিপুরার দুই কন্যা সন্তানের কনিষ্ঠ কন্যা জীবনমালা ওরফে রুমি ত্রিপুরা। রবিবার সকাল ১০টার দিকে প্রতিবেশী বুদক্তি ত্রিপুরা উঠান থেকে রুমি ত্রিপুরাকে ডেকে নিয়ে ধারালো অস্ত্র (দা) দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর মাথা ন্যাড়া করে বিবস্ত্র অবস্থায় রক্তাক্ত কাপড়-চোপড় আলাদা করে বাড়ির পার্শের মাটিতে পুঁতে রাখে!
ঘটনা জানা জানির পর স্থানীয় লোকজন বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করলে সহকারি পুলিশ সুপার মানিকছড়ি সার্কেল একেএম কামরুজ্জামান ও ওসি মোহাম্মদ শাহনূর আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে হত্যাকান্ডের শিকার কিশোরী জীবনমালার মাটিতে পুঁতে রাখা লাশ উদ্ধারসহ আলামত সংগ্রহ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত বদুক্তি ত্রিপুরাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।
থানার ওসি মোহাম্মদ শাহনূর আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত বদুক্তি ত্রিপুরাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়। সোমবার বিকেলে খাগড়াছড়ি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারিক মোঃ নাজমুল হোসেন চৌধুরীর আদালতে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ফলে বিজ্ঞ আদালত আসামিকে জেল-হাজতে প্রেরণ করেন।