[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
খাগড়াছড়িতে অপহৃত ৫শিক্ষার্থীর মধ্যে লংঙি ম্রো বান্দরবান উপজেলা আলীকদমেরখাগড়াছড়ির রামগড়ে দুই কোচিং সেন্টারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাখাগড়াছড়ির রামগড়ে দুই বসতবাড়ি আগুনে ভষ্মিভুতদীঘিনালায় গার্ল গাইডস এসোসিয়েশনের ৫দিনব্যাপি বিজ্ঞপাখি মৌলিক প্রশিক্ষণ সম্পন্নখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বাড়ির সদস্যদের অজ্ঞান করে দূর্ধষ চুরিগুণগত শিক্ষা জাতিগত ভেদাভেদ ভুলিয়ে দিতে পারবে: রাঙ্গামাটিতে জলখেলি অনুষ্ঠানে সুপ্রদীপনৃ-গোষ্ঠীর আগে ক্ষুদ্র শব্দটি ব্যবহার করতে চাই না: জলকেলীতে উপদেষ্টা সুপ্রদীপবান্দরবানের আলীকদমে মার্মা সম্প্রদায়ের মাহাঃ সাংগ্রাই পোয়েঃ-২০২৫ উৎসব পালনপুরোনো দিনের গ্লানি মুছে যাক সাংগ্রাইয়ের মৈত্রীময় জলেবান্দরবানের থানচিতে খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের গুড ফ্রাইডের উপহার দিলেন সেনাবাহিনী
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

খাগড়াছড়িতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের আষাঢ়ী পূর্ণিমা পালন

৩৭

॥ দহেন বিকাশ ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি ॥

যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়িতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের আষাঢ়ী পূর্ণিমা পালন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (১২জুলাই) সকাল থেকে খাগড়াছড়িতে য়ংড বৌদ্ধ বিহার, জনবল বৌদ্ধ বিহার, ধর্মপুর আর্য বন বিহারসহ জেলার বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। পূণ্যার্থীরা বুদ্ধ পূজা, অষ্ট পরিস্কার দান, বুদ্ধমর্তি দান, বর্ষাবাসের জন্য চীবর দান, পঞ্চশীল, অষ্টশীল গ্রহণ করেছে।

বৌদ্ধ ধর্মীয় উৎসব গুলোর মধ্যে আষাঢ়ী পূর্ণিমা তিথিতে বর্ষাবাস হল অন্যতম। ৬ষ্ঠ স্মৃতি বিজরিত এই আষাঢ়ী পূর্ণিমা। এ তিথিতে গৌতম বুদ্ধ মাতৃগর্ভে প্রতিসন্ধি লাভ, এ তিথিতে জন্ম, জরা, ব্যাধি, মৃত্যু ও সন্ন্যাসী-এর চার দৃশ্য দেখে রাজপ্রাসাদ ছেড়ে নির্বাণের খোঁজে গৃহত্যাগ করেন, ৬ বছর কঠোর তপস্যার মাধ্যমে বুদ্ধত্ব লাভ, বুদ্ধত্ব লাভের পর পঞ্চবর্গীয় শিষ্যদের উদ্দেশে প্রথম ধর্মের বাণী প্রচার করেন, নিজ মাতাকে ধর্মদেশনার জন্য তাবতিংস স্বর্গে গমন করেন, পবিত্র এ পূর্ণিমায় তথাগত বুদ্ধ শ্রাবস্তী নগরে গন্ডম্ব বৃক্ষমূলে যকম প্রতিহার্য ঋদ্ধি প্রদর্শন করেন। এ পূর্ণিমাতেই বৌদ্ধ ভিক্ষুসংঘ ত্রৈমাসিক বর্ষাব্রত অধিষ্ঠান গ্রহণ করেন।

এ আষাঢ়ী পূর্ণিমার পরে তিন মাস বৌদ্ধ ভিক্ষুরা বর্ষাবাস শুরু করেন। এ সময় ভিক্ষুরা জরুরি কোনো কারণ ছাড়া বিহারের বাইরে রাত্রিযাপন করতে পারেন না। এ তিন মাস বৌদ্ধ ভিক্ষুরা ধর্ম বিনয় অধ্যায়ন ও ধ্যান চর্চা করে থাকেন। তিন মাস বর্ষাবাস শেষ হওয়ার পর প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে মাসব্যাপী কঠিন চীবর দানোৎসব।