[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানের থানচিতে ১৩মাস পর পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আংশিক প্রত্যাহারজিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে কাপ্তাইয়ে দুস্থদের মাঝে চাল বিতরণবান্দরবানে খুলে দেয়া হয়েছে লামা উপজেলার সকল রিসোর্টসীমান্তে পুশইন ও চোরাচালান ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বাঘাইহাট বিজিবিলংগদু উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবির টহল জোরদার: লে. কর্ণেল নাহিদ হাসানরাঙ্গামাটিতে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক আটকপুশইন ও চামড়া পাচার রোধে রামগড় ৪৩ বিজিবির নিরাপত্তা জোরদাররাজস্থলীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালনচামড়া পাচার ও সীমান্ত দিয়ে পুশইন ঠেকাতে বিজিবি টহল বাড়িয়েছেমাটিরাঙ্গা সেনা জোন কর্তৃক ঈদ উপহার ও মানবিক সহায়তা প্রদান
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

ঈদের চতুর্থ দিনে বান্দরবানে পর্যটকের ঢল

৫৮

॥ আকাশ মারমা মংসিং, বান্দরবান ॥

ঈদের গত তিনদিনের তুলনায় চতুর্থ দিনের পাহাড় কণ্যা বান্দরবানের পর্যটকের আগমন ছিল চোখে পড়ার মতন। প্রত্যেক বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে আজ সকাল হতে পর্যটক ছিল আশানুরুপ। প্রত্যাশিত পর্যটকরা এক পলক দেখতে বান্দরবানে ছুটে এসেছে চতুর্থ দিনেও।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিলাচল সহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গেল ঈদের তিন দিন চেয়ে আজ চতুর্থ দিনের পর্যটকের ঢল ছিল চোখের পড়ার মতন। সকাল থেকে পর্যটকরা ছুটে যাচ্ছেন পছন্দের পর্যটনকেন্দ্র গুলোতে। যেখানে পর্যটক বেশী সেখানে চাঁদের গাড়ি কিন্তু কম নয়। পর্যটকদের নিয়ে চাঁদের গাড়ি উড়াল দিচ্ছেন বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে। মেঘলা, নিলাচল, শৈলপ্রপাত, দেবতাকুমসহ নীলগিরিতে গত তিনদিনের তুলনায় চতুর্থ দিনে পর্যটক ছিল অনেকগুন। মেঘের গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি থাকলেও আনন্দের মাতোয়ারা কাছে যেন হার মেনেছে। একদিকে গুড়ি বৃষ্টি অন্যদিকে আপনজন কিংবা আত্বীয়দের নিয়ে ছবি তোলা। এ যেন বলা যায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা থাকলেও পাহাড়ের প্রাকৃতিক মাঝে হারিয়ে যেতে চান পর্যটকরা। এই আনন্দকে ভাসাতে দুর- দুরান্ত থেকে পাড়ি দিয়ে এসেছেন প্রকৃতিক কণ্যা বান্দরবানে।

কিশোরগঞ্জ থেকে আসা পর্যটক আসমাউল হোসেন দিপু জানান, ঈদের তিন দিনের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছেন। বান্দরবান প্রথম আসা তার। ৭ জন বন্ধু নিয়ে শহরের মেঘলা,শৈলপ্রপাত ঘুরে নীলাচল এসেছেন। প্রকৃতিক সৌন্দর্য দেখে খুশীতে আত্বহারা বইছে তার।

টাঙ্গাইল থেকে আসা শিক্ষার্থী উম্মে সালমা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কয়েক দিন বন্ধ রয়েছে। এর ফাঁকে বন্ধু বান্ধবীদের নিয়ে বান্দরবান ঘুরতে এসেছি। প্রাকৃতিক আর পাহাড় দেখে মুগ্ধ আমি।

অন্যদিকে ঈদের গত তিনদিনের পর্যটকদের আগমন ছিল আশানুরুপ। চতুর্থ দিনের মাথায় পর্যটকরা হোটেল – মোটেল গুলোতে উঠেছে ৫০- ৬০ শতাংশ মত। যেটি তিনদিনের চেয়ে আজকের দ্বিগুন পর্যটক হয়েছে বলে জানান হোটেল কতৃপক্ষরা।

এদিকে বান্দরবান জীপ ও মাইক্রোবাসে মালিক সমিতি টিকেট কাউন্টার দেওয়া তথ্য মতে, ঈদের তিনদিন চেয়ে আজ পর্যটকের আগমন ছিল বেশী। সারাদিনে ষ্টেশন থেকে বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের নিয়ে চান্দের গাড়ি ছেড়েছে ২শত ৫০ টি। এর আগের দিন ছিল ৮০টি, ২য় দিন ছিল ৬৪ ও ঈদের প্রথম দিন ছিল ৯০টি।

রোয়াংছড়ি পর্যটক গাইডের সভাপতি পলাশ জানান, ঈদের দুইদিনে রোয়াংছড়ি উপজেলার অবস্থিত দেবতাকুম কেন্দ্রে পর্যটকের আগমন ঘটেছে প্রায় দ্বিগুণ। তবে দুইদিন তুলনায় আজকের দেবতাকুমের কেন্দ্রে পর্যটকের আগমন ঘটেছে ৪শত উপরে।

নিলাচল ও মেঘলা কেন্দ্রে টিকেট কাউন্টার আদীব বড়ুয়া ও সুকুমার তংচগ্যা জানান, গত তিন দিন তুলনায় আজ চতুর্থ দিনে পর্যটকের এসেছে দ্বিগুন। যা সকাল থেকে এ পর্যন্ত নিলাচলের টিকিট বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৫শত। মেঘলায় টিকিট বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ও বেশী। যা তিনদিনের তুলনায় চতুর্থ দিনেও বেশি পরিমানে টিকিট বিক্রি হয়েছে বলে জানান তারা।

বান্দরবান ট্যুরিষ্ট পুলিশ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, গত তিনদিনের তুলনায় আজকের পর্যটকদের বেশী দেখা গেছে। পর্যটকদের যাতে কোন আপত্তিকর দুর্ঘটনা না ঘটে সেজন্য নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।