[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

রাঙ্গামাটিতে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টায় ৮ বছর কারাদণ্ড

৪৭

॥ আদালত প্রতিবেদক॥

রাঙ্গামাটিতে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় দুই আসামিকে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। বুধবার (৬ জুলাই) দুপুরে রাঙ্গামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ.ই.এম. ইসমাইল হোসেন এ রায় প্রদান করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯ (৪) (খ) ধারার অপরাধে মামলার প্রথম আসামি মোঃ সাখাওয়াত হোসেনকে (২৮) আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। অপরদিকে মামলার দ্বিতীয় আসামি মোঃ শাহজাহান উদ্দীন প্রকাশ শাহীন আলমকে (২২) ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোঃ সাখাওয়াত হোসেন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ১২ নম্বর পূর্বকোদালা ইউনিয়নের সিংহঘোনা গ্রামের মোঃ আকবর হোসেনের ছেলে এবং শাহীন আলম একই এলাকার মৃত আবু বক্কর ছিদ্দিকের ছেলে। এরমধ্যে সাখাওয়াত পেশায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক।

মামলার নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর ভিকটিম কলেজছাত্রী রাজস্থলী থেকে কাপ্তাই বরইছড়ি যাওয়ার জন্য গাড়ি অপেক্ষা করছিলো। এসময় অটোরিকশা চালক মোঃ সাখাওয়াত হোসেন ও তার সহযোগী মোঃ শাহজাহান উদ্দীন প্রকাশ শাহীন আলম বাঙ্গালহালিয়া বাজার থেকে কলেজছাত্রীকে চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাট নিয়ে আসার কথা বলে সিএনসিতে তোলেন। অটোরিকশা চলন্ত অবস্থায় এক পর্যায়ে অটোরিকশা চালক যাত্রীর আসনে বসে সহযোগীকে অটোরিকশা চালাতে দেন। অটোরিকশা চালক পেছনে গিয়ে ধর্ষণ চেষ্টা করেন। এসময় আরেক আসামি শাহীন আলম সিএনজি অটোরিকশা চালকের আসনে বসে গাড়ি চালান এবং পুরো ঘটনায় সহায়তা করে।

একপর্যায়ে ভিকটিম চিৎকার করে চলন্ত গাড়ি থেকে লাফ দেন। এতে তিনি মাথা, কাঁধে ও হাঁটুতে আঘাত পান। ওইদিনই ভিকটিমের পিতা চন্দ্রঘোনা থানায় মামলা করলে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে মামলার রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল রাঙ্গামাটির বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোঃ সাইফুল ইসলাম অভি।

তিনি বলেন, বিজ্ঞ আদালতের রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। দুই আসামির একজনকে ৮ বছর এবং আরেকজনকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। একইসাথে যথাক্রমে ১ লাখ ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানাসহ অনাদায়ে এক বছর ও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।