[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
কাপ্তাইয়ে ভোক্তা অধিকার এর অভিযানে ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানানৌবাহিনী স্কুল এন্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনাচুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদরাঙ্গামাটি শ্রী শ্রী লোকনাথ যোগাশ্রমের (মন্দির) ব্যবস্থাপনায় অনিয়মের অভিযোগরাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলাস্থ ভাইবোনছড়ায় বৃদ্ধ মজিবুর এর জায়গা দখলের অভিযোগকাপ্তাই বাংলা কলোনি মসজিদের মুয়াজ্জিনের ইন্তেকালআর পিছিয়ে থাকতে চাই না, দেশের মূলধারার সঙ্গে যুক্ত হতে চাই; পার্বত্য উপদেষ্টালামায় লোকালয়ে উদ্ধার লজ্জাবতী বানর, মাতামুহুরী রিজার্ভে অবমুক্তরাঙ্গামাটির রাজস্থলী-বাঙ্গালহালিয়া সড়কে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকগুলো যেন মরণফাঁদআলীকদমে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঢেউটিন ও অর্থ প্রদান
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা

স্বার্থান্বেষী প্রভাবশালী বিশেষ গোষ্ঠীর মদদপুষ্ট কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)

৮৮

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নামক কায়েমী স্বার্থান্বেষী প্রভাবশালী বিশেষ গোষ্ঠীর মদদপুষ্ট সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ কর্তৃক গত ২১ জুন ২০২২ রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি ইউনিয়নের সাইজাম পাড়ায় এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে তিনজন নিরীহ ত্রিপুরা গ্রামবাসীকে হত্যা ও দুই শিশুকে গুলিবিদ্ধ করার ঘটনা এবং উক্ত ঘটনার পর থেকে বিলাইছড়ির বড়থলি ইউনিয়ন এবং বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার আলেক্ষ্যং ইউনিয়নের অন্তর্গত তঞ্চঙ্গ্যা ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর ডজনখানেক গ্রামের হতদরিদ্র শতাধিক জুমচাষী পরিবারকে উচ্ছেদ করার ঘটনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে।

রবিবার (৩ জুলাই) তারদের প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় সহ তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সজীব চাকমা এর প্রেরিত প্রতিবাতে বলা হয়, বড়থলির সাইজাম পাড়ার হত্যাকান্ডের পর কেএনএফ সন্ত্রাসীরা বড়থলি ও আলেক্ষ্যং ইউনিয়নের দুর্গম এলাকার তঞ্চঙ্গ্যা ও ত্রিপুরা পাড়াবাসীদেরকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে অস্ত্রের মুখে হুমকি দিয়ে আসছিল। অন্যথায় সাইজাম পাড়ার ঘটনার মতো গুলি করে হত্যা এবং ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়ার হুমকি প্রদান করতে থাকে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ভীতসন্ত্রস্ত তঞ্চঙ্গ্যা ও ত্রিপুরা পাড়াবাসীরা গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে। শুধু তাই নয়, বিগত কয়েক মাস পূর্ব থেকে কেএনএফের সন্ত্রাসীরা গ্রামবাসীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী লুণ্ঠন করে আসছিল। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, কেএনএফ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কর্তৃক সাইজাম পাড়ার হত্যাকান্ডের দায় প্রকাশ্য স্বীকার করলেও এবং এরপর ঘোষণা দিয়ে তঞ্চঙ্গ্যা ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর একের পর এক গ্রাম উচ্ছেদ করার পরও সরকারের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক ও রহস্যজনকও বটে।

এমতাবস্থায় অচিরেই সন্ত্রাসী কেএনএফের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা, ভীতসন্ত্রস্ত তঞ্চঙ্গ্যা ও ত্রিপুরা গ্রামবাসীদেরকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা প্রদান এবং তাদেরকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদানপূর্বক স্ব-স্ব গ্রামে পুনর্বাসন করা, সাইজাম পাড়ায় নিহত ও আহত তঞ্চঙ্গ্যা পরিবারগুলোকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য জনসংহতি সমিতি জোর দাবি জানাচ্ছে। অন্যদিকে কেএনএফ নামক সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় প্রদানে জড়িত রয়েছে যথাযথ তদন্ত পূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি-