[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় গার্ল গাইডস এসোসিয়েশনের ৫দিনব্যাপি বিজ্ঞপাখি মৌলিক প্রশিক্ষণ সম্পন্নখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বাড়ির সদস্যদের অজ্ঞান করে দূর্ধষ চুরিগুণগত শিক্ষা জাতিগত ভেদাভেদ ভুলিয়ে দিতে পারবে: রাঙ্গামাটিতে জলখেলি অনুষ্ঠানে সুপ্রদীপনৃ-গোষ্ঠীর আগে ক্ষুদ্র শব্দটি ব্যবহার করতে চাই না: জলকেলীতে উপদেষ্টা সুপ্রদীপবান্দরবানের আলীকদমে মার্মা সম্প্রদায়ের মাহাঃ সাংগ্রাই পোয়েঃ-২০২৫ উৎসব পালনপুরোনো দিনের গ্লানি মুছে যাক সাংগ্রাইয়ের মৈত্রীময় জলেবান্দরবানের থানচিতে খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের গুড ফ্রাইডের উপহার দিলেন সেনাবাহিনীদীঘিনালায় রাতের আধাঁরে পাহাড় কাটার অভিযোগে ২লাখ টাকা জরিমানাখাগড়াছড়ির রামগড়ে গরু ঘাঁস খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ৮অক্সিজেনের অভাবে বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ মাস বয়সের শিশুর মৃত্যু
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

পালিয়ে যাওয়া ত্রিপুরা, মারমা ও তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠির অনিশ্চিত জীবন

কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট এর সন্ত্রাসীদের হুমকিতে পালিয়েছে ৪টি গ্রামের মানুষ

১১১

॥ বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি ॥

গত ২১ জুন রাঙ্গামাটি সিমান্তে বিলাইছড়ি উপজেলার সাইজাম পাড়া গ্রামে ত্রিপুরাবাসী উপর অত্যচার চালায় কুকি-চীন ন্যাশনাল (কেএনএফ) সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় তিনজন নিহন হন। এছাড়াও ২ বছরে শিশু গুরুতর আহত হন। এরপর থেকে ঐ এলাকাসহ আশেপাশের গ্রাম থেকে প্রাণের ভয়ে পালিয়ে আসে ৪টি পাড়ার ত্রিপুরা, মারমা ও তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠির।

এব্যাপার নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক পাংপুরি পাড়া বাসিন্দার সাথে কথা বলে জানা যায়, কুকি-চীন ন্যাশনাল (কেএনএফ) সন্ত্রাসীদের আতঙ্কে ৪টি গ্রামের পরিবার সবাই প্রাণের ভয়ে পালিয়ে এসেছেন। পালিয়ের আসার আগে জুমের চাষ করা ধান, আদা, হলুদ ও মরিচসহ বিভিন্ন রকমারী গুলো ফেলে চলে এসেছেন। যেটি কয়েকদিন পর কাটানো কিংবা ছেড়ার শুরু হবে। এখন অর্থনৈতিক ভাবে খুব দুর্বল হলেও প্রয়োজনের দিনমজুরি করে এক বেলা খেয়ে বেঁচে থাকতে পারবেন।

তিনি আরো জানিয়েছেন, সাইজাম পাড়ায় যে তিনজন কুকি-চীন ন্যাশনাল (কেএনএফ) সন্ত্রাসীদের কর্তৃক খুন হয়েছেন তাদের লাশ এখনো পড়ে আছে। কবর দেওয়া দুরের কথা তাদের ৩০ হতে ৩৫ জন কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সন্ত্রাসীদের হুমকিতে একদিনে হেটে পালিয়ে এসেছেন তিন বছরের শিশুও। এ ঘটনার পর ঐ এলাকারসহ আশে পাশের ৪টি গ্রামের মোট পরিবার ৭০-৮০ জন নিজ গ্রাম ছেড়ে বান্দরবান শহরে আশে পাশে আশ্রয় নিয়েছেন। শুধু তাই নয় তাদের অত্যাচারে মাথায় বোঝাই করে যতটুকু পেয়েছেন ততটুকু নিয়ে এসেছেন। প্রত্যেক পরিবারের সোলার ছিল ৪০টির মতো সেগুলোও তারা আনতে পারেননি।

তিনি বলেন, এ ঘটনাটি নিয়ে রোয়াংছড়ি উপজেলার ৩নং আলেক্ষ্যং ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ তঞ্চঙ্গ্যাকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান সেটিকে গুরুত্বপূর্ণ না ভেবে হাসি ঠাট্টা উড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। শনিবার (২ জুলাই) পাংপুরি পাড়ার বাসিন্দা অলক তঞ্চঙ্গ্যা (ছন্দ নাম) সাথে কথা হলে তিনি এ ঘটনা বিবরণ গুলো আতঙ্ক ও ভয় নিয়ে তথ্য গুলো জানান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২১ জুন রাঙ্গামাটি জেলার বড়থলি এলাকার সাইজাম পাড়ায় কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সন্ত্রাসী হামলায় তিনজন নিহত ও দুই শিশু আহতের ঘটনায় পর থেকে পাড়ার লোকজন রাঙ্গামাটির বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে আশ্রয় নিলেও শুশীল তঞ্চঙ্গ্যার পরিবার তাদের পাংপুরি পাড়ায় চলে আসে। শুধু তাই নয় ঐ এলাকার কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সন্ত্রাসীদের আতঙ্কে রাঙ্গামাটির বিল পাড়ার ২৫ হতে ৩০ পরিবার, সাইজাম পাড়ার ২৩ পরিবার, খাইগ্য ছড়া পাড়ার ৮ থেকে ১০ পরিবার ও সর্বশেষ বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার আলেক্ষ্যং ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড পাংপুরি পাড়ার ৫ পরিবার প্রাণে বাঁচতে শহরে আশেপাশে আশ্রয় নিয়েছে ৪টি গ্রামের মানুষজন।

আলেক্ষ্যং ইউনিয়ন চেয়রম্যান বিশ্বনাথ তঞ্চঙ্গ্যা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সন্ত্রাসীদের হুমকির কারনে পাংপুরি পাড়ার লোকজন পাড়া ছেড়ে চলে গেছেন বলে শুনেছেন। তবে পাড়া ছেড়ে চলে আসা গ্রামবাসীদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বলেও জানিয়েছেন।

এদিকে বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি শুনেছেন। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ করলে আইনানুগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে।