[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

২৩৩১.৯৮ হেক্টর জায়গা গেজেটভুক্ত হয় ২০১০ সালে

‘সাংগু বন্যপ্রানী অভয়ারণ্য’ বাস্তবায়ন হচ্ছে লামায়

৯৩

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥

বাংলাদেশ বন অধিদপ্তরের উপ-প্রধান বন সংরক্ষক ও CHTWCA প্রকল্পের সমন্বয়ক মোঃ মঈনুদ্দিন খান বলেছেন, গত ৫ মে ১৯৯৬ইং তারিখে বন আইনের ৪ ধারামতে বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার ২৮৫নং সাঙ্গু মৌজার ২৩৩১.৯৮ হেক্টর জায়গা নিয়ে “সাংগু বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য” ঘোষণা করা হয়। এরপর ২০১০ সালের ৬ এপ্রিল সাংগু বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যটি গেজেটভুক্ত হয়। দেরীতে হলেও খুব শীঘ্রই অভয়ারণ্যটির কার্যক্রম শুরু হবে। CHTWCA- SID-CHT, UNDP প্রকল্পের সহায়তায় আজ সাংগু বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যটির ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা প্রণয়ণের লক্ষ্যে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে কক্সবাজার জেলার দক্ষিণ ও উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন ৪টি অভয়ারণ্য শুরু করা হয়েছে। সেই প্রকল্প গুলো সফল, আশা করি সাংগু বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য প্রকল্পে আমরা সফল হবো।

তিনি আরো বলেন, পার্বত্য এলাকায় আইনী কিছু জটিলতা থাকলেও অচিরে হিল ট্র্যাক্টস ট্রানজিট রুল ১৯৭৩ সময়োপযোগী করতে উদ্যোগ নেয়া হবে। বন বিভাগের কার্যক্রম পরিচালনায় ১৯০০ সালের হিল ট্র্যাক্টস ম্যানুয়েল আইন ও আঞ্চলিক পরিষদ আইন সাংঘর্ষিক। এইসব আইন সহজ করা দরকার। তিনি তিন পার্বত্য জেলায় বন বিভাগের কার্যক্রম সম্প্রসারণে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও আঞ্চলিক পরিষদের সহযোগীতা কামনা করেন।

মোঃ মঈনুদ্দিন খান বলেন, হাতি সংরক্ষণ ও চলাচলের জন্য অচিরে আর্ন্তজাতিক মানের বঙ্গবন্ধু করিডোর নামে একটি প্রকল্প নেয়ার চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। বন বিভাগ বর্তমানে ১৫ দিনের মধ্যে বন্য হাতির দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করছে। সংরক্ষিত বনাঞ্চলে মানুষ প্রবেশ না করলেই বন আবার পুনর্জীবিত হবে। প্রকল্পে স্থানীয় জনগণের জন্য বিকল্প জীবিকার ব্যবস্থা করা হবে। পার্বত্য অঞ্চলের জন্য ইকো ট্যুরিজম আয়ের আরেকটি মাধ্যম হতে পারে।

সোমবার (২৭ জুন) কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলা শহরের অভিজাত রেস্টুরেন্ট এরিস্টো ডাইন হলরুমে “সাংগু বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা প্রণয়ন” বিষয়ক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে তিনি এইসব কথা বলেছেন। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন, লামা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আরিফুুল হক বেলাল। বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো উপস্থিত ছিলেন, বন বিভাগের চট্টগ্রাম বন সংরক্ষক বিপুল কৃষ্ণ দাস, CHTWCA- SID-CHT, UNDP প্রকল্পের চীফ টেকনিক্যাল এডভাইজার ড. রাম শর্মা, লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তফা জাবেদ কায়সার, বান্দরবান জেলা পরিষদ সদস্য শেখ মাহবুবুর রহমান ও ফাতেমা পারুল সহ প্রমূখ। দিনব্যাপী কর্মশালায় হেডম্যান, কারবারি, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক-সুশীল সমাজ ও এনজিও কর্মিরা অংশ নেন। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন প্রকল্পের চীফ টেকনিক্যাল এডভাইজার ড. রাম শর্মা।

ড. রাম শর্মা বলেন, বন, পাহাড়, পাথর, মাটি, পানিসহ নানান সংকটে আজকে জীব বৈচিত্র হুমকির মুখে। এই অঞ্চলের পরিবেশ রক্ষায় স্থানীয়দের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহন করে পরিবেশ প্রকৃতি রক্ষা সম্ভব। সেমিনারে বৈশ্বিক জলবায়ু ও পরিবেশ সুরক্ষায় একই সাথে মানুষের জীবন জীবিকার দিক গুরুত্ব আরোপ করার তাগিদ অনুধ্বাবন করার জন্য বলা হয়।

ডিএফও আরিফুল হক বেলাল বলেন, লামা বন বিভাগের দু’টি বনাঞ্চল রয়েছে। এর মধ্যে একটি লামা বন বিভাগ অপরটি সাংগু বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। সাংগু অভয়ারণ্যের কার্যকরী পদক্ষেপ চলমান। পার্বত্য অঞ্চলের আইনি জটিলতা উৎরিয়ে ইতোমধ্যে সাংগু বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের শুরুটা শুভ উদ্যােগ। এখানকার বন্যপ্রাণী টিকিয়ে রাখতে হলে পার্শ্ববর্তী দেশের সাথেও পরিকল্পনা শেয়ার করতে হবে।