[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

লামায় সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

৩২

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥

বান্দরবানের লামায় সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। লামা সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের গত ২১জুন সকাল ৮টায় এই ঘটনা ঘটে।

চিকিৎসা শেষে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ২৪ জুন দুপুরে লামা থানায় দুইজনকে আসামী করে অভিযোগ দায়ের করেন। আসামীরা হলো- ফরিদুল আলম (৩২) পিতা- আবু শামা, মোঃ নুর কবির (৩২) পিতা- সৈয়দ আহমদ, সর্ব সাং পোয়াং পাড়া, ৪নং ওয়ার্ড লামা সদর ইউরিয়ন, লামা- বান্দরবান।

থানায় এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ জুন বাড়ির পিছনে ঘাসের একটি জায়গায় সকাল ৭টার সময় তাদের পালিত একটি ছাগল ঘাস খাওয়ার জন্য বেঁধে দিয়ে আসে। কিছুক্ষণ পরে আকাশ অন্ধকার করে বৃষ্টি আসতে দেখে তাড়াহুড়া করে সকাল ৮টার সময় ঐ ছাত্রী ঘাসের মাঠ থেকে ছাগলটি আনতে গেলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা ফরিদুল আলম ঐ ছাত্রীকে ঝাপটে ধরে পাশের কলা গাছের ঝোঁপে নিয়ে গিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। পরে ছাত্রী চিৎকার দিয়ে ছুটে চলে আসার চেষ্টা করলে ফরিদুল আলম ছাত্রীর বুকের জামা ধরে জামা ছিড়ে ফেলে স্পর্শকাতর স্থানে কামড় দিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময়ের মধ্যে ছাত্রীর চিৎকার শুনে তার মা ও স্বজনরা ঘটনা স্থলে গিয়ে ফরিদুল আলমের কাছ থেকে ছাত্রীকে উদ্ধার করে। বাড়িতে আনার সময় তার বন্ধু মোঃ নুর কবির পুণরায় আক্রমন করে তাদের মারধর করে। ঐ সময় তাদের চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে উভয়ই পালিয়ে যায়। পরে ছাত্রীর বুকের স্পর্শকাতর স্থান থেকে রক্ত ঝরতে দেখে ছাত্রীকে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করায়। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ওই ছাত্রীকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়।

ছাত্রীর মা অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, তার মেয়ে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে। ঘটনার কিছু দিন ধরে উল্লেখিত আসামিরা সপ্তম শ্রেণীর এ ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার সময় উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এ বিষয়টি ছাত্রী তার মাকে জানান। পরে ছাত্রীর মা মান সম্মানের কথা বিবেচনা করে উল্লেখিত যুবকদের কাছে গিয়ে বিনয়ের সহিত বুঝিয়ে উত্ত্যক্ত না করার জন্য অনুরোধ করেন। তারপরও তারা বিভিন্ন সময়ে তার মেয়েকে উত্যক্ত করে আসছিল।

এ ব্যাপারে লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) শিবেন বিশ্বাস বলেন, স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে শুক্রবার দুপুরে দুইজনকে দায়ী করে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। এ ঘটনায় তদন্ত করে সত্যতা পেলে মামলা নেওয়া হবে বলে জানান ।