[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

মাটিরাঙ্গায় যৌথ অভিযানে তক্ষকসহ একজন আটক

৩৬

॥ মোঃ আবুল হাসেম, মাটিরাঙ্গা ॥

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় সেনাবাহিনী ও বন বীভাগের যোথ অভিযানে ৭টি বন্যপ্রাণী তক্ষকসহ মোঃ রবিউল ইসলাম রুবেল (৪০) নামের এক পাচারকারীকে আটক করেছে। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) রাতে তাকে আটক করা হয়। এসময় তল্লাশী চালিয়ে তার ঘরে থাকা ৭টি তক্ষক উদ্ধার করা হয়। যৌথ অভিযানে আটক মোঃ রবিউল ইসলাম রুবেল মাটিরাঙ্গা পৌরসভার রসুলপুর গ্রামের ইসলাক মীরের ছেলে।

বন বিভাগ সুত্রে জানা যায়, রুবেল সংঘবদ্ধ তক্ষক পাচারকারী দলের সক্রিয় সদস্য। তিনি অত্যন্ত সুকৌশলে অতি উচ্চ মূল্যে তক্ষক পাচার করে আসছেন। এমন গোপন ও বিশ্বস্ত সংবাদের ভিত্তিতে মাটিরাঙ্গা সেনা জোনের জোন অধিনায়কের দিকনির্দেশনায় মাটিরাঙ্গা সেনা জোনের জোন এনসিও সার্জেন্ট মোঃ হানিফুর রহমান ও মাটিরাঙ্গা বন বিভাগের ফরেষ্টার মোঃ রোকনুজ্জামান ও মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে রসুলপুর গ্রামে ইসরাক মীরের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে মোঃ রবিউল ইসলাম রুবেল (৪০) নামের এক পাচারকারীকে আটক করা হয়। একই সাথে তার ঘরে থাকা ৭টি তক্ষক উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় মাটিরাঙ্গা বনবিভাগের ফরেষ্টার মোঃ রোকনুজ্জামান আসামীর বিরুদ্ধে বন আইনে খাগড়াছড়ির চীফ জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সেজুতি জান্নাত এর আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে বিজ্ঞ চীফজুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সেজুতি জান্নাত আসামীকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

মাটিরাঙ্গা ফরেষ্ট রেঞ্জার জিএম আলমগীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তক্ষক গিরগিটি প্রজাতির নির্বিষ নিরীহ বন্যপ্রাণী। সাধারণত পুরাতন বাড়ির ইটের দেয়াল, ফাঁক-ফোকর ও বয়স্ক গাছে এরা বসবাস করে। বর্তমানে তক্ষকের দাম ও তক্ষক দিয়ে তৈরি ওষুধ নিয়ে ব্যাপক গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আর গুজবে বিশ্বাস করে এক শ্রেণির লোক রাতারাতি ধনী হবার স্বপ্নে তক্ষক শিকারে নেমেছে। এসব অসাধু ব্যক্তির জন্য দেশের জীববৈচিত্র্য আজ হুমকির মুখে। প্রাণিগুলো রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।

পরে খাগড়াছড়ি চীফ জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সেজুতি জান্নাত ও বনবিভাগের উপস্থিতিতে জনসম্মুখে উদ্ধারকৃত তক্ষক গুলো অবমুক্ত করা হয়েছে।