[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় গার্ল গাইডস এসোসিয়েশনের ৫দিনব্যাপি বিজ্ঞপাখি মৌলিক প্রশিক্ষণ সম্পন্নখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বাড়ির সদস্যদের অজ্ঞান করে দূর্ধষ চুরিগুণগত শিক্ষা জাতিগত ভেদাভেদ ভুলিয়ে দিতে পারবে: রাঙ্গামাটিতে জলখেলি অনুষ্ঠানে সুপ্রদীপনৃ-গোষ্ঠীর আগে ক্ষুদ্র শব্দটি ব্যবহার করতে চাই না: জলকেলীতে উপদেষ্টা সুপ্রদীপবান্দরবানের আলীকদমে মার্মা সম্প্রদায়ের মাহাঃ সাংগ্রাই পোয়েঃ-২০২৫ উৎসব পালনপুরোনো দিনের গ্লানি মুছে যাক সাংগ্রাইয়ের মৈত্রীময় জলেবান্দরবানের থানচিতে খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের গুড ফ্রাইডের উপহার দিলেন সেনাবাহিনীদীঘিনালায় রাতের আধাঁরে পাহাড় কাটার অভিযোগে ২লাখ টাকা জরিমানাখাগড়াছড়ির রামগড়ে গরু ঘাঁস খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ৮অক্সিজেনের অভাবে বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ মাস বয়সের শিশুর মৃত্যু
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

লামায় বিএডিসি’র শতবর্ষী ১৬টি গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ

৭৬

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥

বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর পঞ্চাশ থেকে শতবর্ষী সরকারি ১৬টি গাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে উপ-পরিচালক মোঃ মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে। ১০টি কড়ই গাছসহ মোট ১৬টি বিভিন্ন জাতের গাছ সরকারী নিয়মের তোয়াক্কা না করে কেটে ফেলেছে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা নিজেই। তবে এবিষয়ে লামা বন বিভাগ জানিয়েছেন, তারা বন বিভাগ থেকে গাছ কাটার কোন অনুমতি দেননি।

লামা কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, ঝড়ে পড়া বেশি বয়সি গাছ গুলি কেটে ফেলা হচ্ছে। গাছ গুলি থাকলে ফলজ বাগান গুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই, বন বাগানের বেশি বয়সি ১০টি গাছ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। গাছ গুলি কাটার সরকারি নিয়ম মানা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে বিএডিসি উপপরিচালক মোঃ মাহফুজুর রহমান বলেন, গাছ গুলি নষ্ট হয়ে গেছে, তাই শতভাগ আইন মানা হয়নি। তবে, আমাদের উর্ধবতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

শনিবার লামা কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর উপপরিচালক কার্যালয়ে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অফিসের পিছনে পশ্চিম ও দক্ষিনের পাহাড় থেকে দশজন শ্রমিক মিলে গাছ কাটছে । এছাড়া কেটে ফেলা গাছ গুলো কেটে বিভিন্ন সাইজ করছে শ্রমিকরা। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গাছ গুলো ঝড়ে পড়া নাই। তাদের কে দেখিয়ে দেয়া হয়েছে, তাই তারা গাছ গুলো কাটছে। এসময় শ্রমিকদের সাথে দেখা হয় লামা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ কামাল উদ্দিনের সাথে। তিনি জানিয়েছেন, গাছ গুলি আমি লামা কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর উপপরিচালক মাহফুজুর রহমান স্যারের কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছি।

লামা পরিবেশ রক্ষা পরিষদের সভাপতি এম রুহুল আমিন জানিয়েছেন, গাছ গুলো অনেক বড় হয়েছে। প্রতিটি গাছ নিলাম দিলে গাছের মূল অংশ ছাড়া শুধু লাকড়ি বিক্রি করলেও ৪০ হাজার টাকার লাকড়ি বিক্রি করতে পারবে। বিএডিসির কর্তৃপক্ষ গাছ গুলি বিক্রি করে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করেছেন। এছাড়া গাছ গুলি সঠিক ভাবে নিলামে দিলে সরকার অন্তত পাঁচ লাখ টাকার অধিক রাজস্ব পেত।

এ বিষয়ে লামা বন বিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, লামা কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)’র গাছ কাটার বিষয়টি আমরা জেনেছি। তবে, তারা বন বিভাগ থেকে গাছ কাটার কোন অনুমতি নেননি।

গাছ গুলির বিষয়ে সরকারি নিয়ম মানা হয়েছে কিনা প্রশ্ন করা হলে বিএডিসি’র উপপরিচালক মোঃ মাহফুজুর রহমানকে আরো জানান, গাছ গুলি কাটার বিষয়ে অফিসিয়াল কাগজপত্র জুন মাস শেষে আমরা দিতে পারবো। তবে এখন দিতে পারবোনা বলে মুঠোফোনটি কেটে দেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তফা জাবেদ কায়সার জানান, বিষয়টি এখন জানলাম। বিএডিসি উপপরিচালকের সাথে কথা বলবো। আপনারাও বিষয়টি ঊনার উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেন। এই বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর সচিব মোঃ আশরাফুজ্জামান এর মুঠোফোনে (০১৯৯৮৭৭০০০৬) এ অনেকবার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।