দীঘিনালায় মাতা বিহীন লাশ উদ্ধার
॥ মোঃ সোহেল রানা দীঘিনালা ॥
খাগড়াছড়ি দীঘিনালায় একজনের মস্তক বিহীন লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের নাম জাহাঙ্গীর আলম (৫০) সে মৃত সফি উল্লাহর ছেলে। তার বাড়ী উপজেলার পূর্ব হাজাছড়া গ্রামে। গত বৃহস্পতিবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ী ফেরার পথে ডেবার পাড় এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও নিহতের মাথা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে হাজাছড়া যাওয়ার পথে ডেবার পাড়ে নিহতের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মস্তক বিহীন লাশ উদ্ধার করেন। এসময় তার সাথে আলু ডাল, বিস্কুট ইত্যাদি বাজার সদাই হাতে ছিলো। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান, বাজার থেকে ফেরার পথে মধ্যরাতে এঘটনা ঘটতে পারে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, খাগড়াছড়ি সদর সার্কেল জিনিয়া চাকমা এবং দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম পেয়ার আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিহতের স্ত্রী খাদিজা বিবি (৩৫) জানান, তার স্বামী উদ্দীনের দোকানে কারিগর হিসেবে চাকুরি করতো। সেখানে বেতন বাড়ানো নিয়ে দুজনের সাথে ঝগড়া হয়। পরে সেখানে চাকুরী ছেড়ে দিয়ে ৯ মাস আগে নতুন করে নিজেই দোকান দেয়।
নিহতের শ্বশুর জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমার মেয়ে জামাই জাহাঙ্গীর আলম খুবই সহজ সরল মানুষ। কেনই বা তাকে নির্মমভাবে খুন করা হলো জানিনা! এব্যাপার জাহাঙ্গীর আলম দুলাল (সাবেক মেম্বার) জানান, নিহতের মাথা উদ্ধার করার জন্যে আমার পুকুরে জাল টেনেছি। কিন্ত মাথা খুজে পাওয়া যায়নি। ১নং মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহামুদা বেগম লাকী জানান, সবার কাছে শুনেছি, তিনি খুবই ভালো লোক ছিলেন, তার স্ত্রী ছাড়াও সাদিয়া আক্তার (১১) ফাহিমা আক্তার (৬) এবং মহিমা আক্তার (১) তিন কন্যা সন্তান রয়েছে। মেরুং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতের মাথা এখনো উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।