খাগড়াছড়িতে বিশ্ব পরিবেশ
জনগণের সচেতনতা ও আইন প্রয়োগের মাধ্যমে দেশকে বাসযোগ্য রাখতে পারে
॥ খাগড়াছড়ি জলা প্রতিনিধি ॥
খাগড়াছড়িতে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বক্তারা বলেছেন, জনগণের সচেতনতা এবং কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতা ও আইন প্রয়োগের মাধ্যমে এদেশকে বাসযোগ্য রাখতে পারে।
রবিবার (৫জুন) সকালে শাপলা চত্বরে ’’একটাই পৃথিবী: একটাই দেশ’’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), খাগড়াছড়ি এর আয়োজনে মানববন্ধনে অংশ নিয়ে অতিথিরা এসব কথা বলেন। এতে জাবারাং কল্যাণ সমিতি, খাগড়াপুর মহিলা কল্যাণ সমিতি, কাবিদাং, তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা, আলো, খাগড়াছড়ি পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলন, রেডক্রিসেন্ট, টিএসএফ, গ্রীণ ভয়েসসহ অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
বক্তারা বলেন, অপরিকল্পিতভাবে বৃক্ষনিধন, বন উজাড়ের ফলে সহজে পাহাড় ধসে চেঙ্গি নদীতে পড়ে। নদী ভরাট হওয়ার ফলে এখন আর চেঙ্গি নদীতে স্রোত দেখা যায় না। পরিবেশ সুরক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষই কেবল পারে পরিবেশকে বিনষ্টের হাত থেকে রক্ষা করতে।
সনাক সভাপতি প্রফেসর বোধি সত্ত্ব দেওয়ানের সভাপতিত্বে খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক শ্রীলা তালুকদার, ত্রিনা চাকমা, প্রেসক্লাবের সভাপতি জীতেন বড়ুয়া, খাগড়াছড়ি পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলন ও সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী, সনাক সদস্য অংসুই মারমা প্রমুখ।
টিআইবি কো-অর্ডিনেটর আব্দুর রহমান এর সঞ্চালনায় স্বাগত্ব বক্তব্যে সনাক সদস্য অংসুই মারমা বলেন, আমরা হয়তো পৃথিবীর বা সমগ্র বাংলাদেশের জন্য হয়তো কাজ করতে পারবো না, কিন্ত খাগড়াছড়িকে বাঁচাতে পারবো। সকলে মিলে খাগড়াছড়ির পরিবেশকে বাঁচার দাবি তুলেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর বোধি সত্ত্ব দেওয়ান বলেন, আমরা কেবল রাস্তায় দাঁড়িয়ে পরিবেশ নিয়ে সোচ্চার হলে তেমন কাজ হবে বলে মনে হয় না। এ সংক্রান্ত আইনের প্রয়োগ ও সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহীতার আওতায় আনা না গেলে ক্রমাগত পরিবেশ বিপর্যয় হবে এবং মানব জীবন বিপন্ন হতে থাকবে।
মানববন্ধনে পরিবেশ সুরক্ষা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত কার্যক্রম প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের সকল পর্যায়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, আদিবাসী এবং নারীসহ ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্ঠীর কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিতের দাবি জানান টিআইবি।