রাঙ্গামাটিতে ঝুঁকি নিয়ে হাজারো মানুষের ভাঙ্গা সাঁকো পারাপার
॥ মোঃ কবির হোসেন, কাপ্তাই ॥
চলমান কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ী ঢলে ভেঙে গেছে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলার ২ নম্বর রাইখালী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের নারানগিরিমুখে হাজারো মানুষের পারাপারের একমাত্র সাঁকোটি। এ ভাঙ্গা সাঁকোটি দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই স্কুল শিক্ষার্থীরা হামাগুড়ি দিয়ে পার হচ্ছে। যার ফলে বেড়েছে দূর্ঘটনার আশঙ্খা। কেউ অসুস্থ হলে তাকে নিয়ে যাওয়ার মত বিকল্প কোন পথ নেই।
সরেজমিনে দেখা যায়, কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলের ফলে বাঁশের সাঁকোর মাঝখানে অংশ ভেঙে গেছে। ফলে দুই পাড়ের জনগণ এ সাঁকো দিয়ে পার হতে পারছে না। বিশেষ করে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা পরেছে বিপাকে। ইতপূর্বে বাঁশের সাঁকোটির দুর্দশা চিত্র নিয়ে কাপ্তাইয়ের স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রতিবেদন হয়েছিলো। যার ফলে সাঁকোর জায়গায় নতুন ব্রীজ নির্মানের জন্য সরকারি অনুমোদন হওয়ার কথা শোনা গিয়েছিলো। কিন্তু এখনো ব্রীজটি নির্মিত কাজ শুরু না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শৈবাল সরকার জানান, সম্প্রতি নতুন ব্রীজটির নির্মানের কাজ রাঙামাটি জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে টেন্ডারের অপেক্ষায় আছে। তবে বর্তমানে দেশের বাজারে রড সিমেন্টের দাম বেড়ে যাওয়ায় থমকে গেছে কাজটি। তবে আগামী জুনের পরে এ ব্রীজের টেন্ডার কাজ শুরু হতে পারে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। ২নম্বর রাইখালী ইউপি চেয়ারম্যান মংক্য মারমা বলেন, এ বাঁশের সাকোঁটি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি পারাপার করে স্থানীয় বাসিন্দারা। এখানে সাঁকোর জায়গায় একটি ব্রীজ নির্মিত হওয়া অনেক জরুরী।
এবিষয়ে কাপ্তাই এলজিইডির সিনিয়র প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, করোনার কারণে সেতু নির্মানের কাজটি পিছিয়ে পড়ার ফলে সেতুটির নির্মান কাজ এখনো অনুমোদন হয়নি। তবে তিনি এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত সময়ে ব্রীজটি নির্মাণে ব্যবস্থা করার আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।