[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

থানচিতে বিশ্ব মাসিক স্বাস্থ্য দিবস পালিত

৩২

॥ চিংথোয়াই অং মার্মা,থানচি ॥

“২০৩০ সালের মধ্যে মাসিক বা ঋতুস্রাব কে জীবনের একটি স্বাভাবিক বিষয়ে পরিনত করা” এর এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বান্দরবানে থানচিতে সারাদেশের মতো যথাযথভাবে বিশ্ব মাসিক স্বাস্থ্য দিবস পালিত হয়েছে। শনিবার (২৮ মে) দুপুর ১ টায় থানচি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মিলনায়তন রুমে তহ্জিংডং বেসরকারি সংস্থার এর আমাদের জীবন, আমাদের স্বাস্থ্য, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রকল্পের আয়োজনে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, প্রকল্প সমন্বয়কারী রমেশ তংচংঙ্গ্যাঁ, মনিটরিং অফিসার নুহাই মারমা, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বকুলি মারমা, প্রেসক্লাবের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক সুজন ভট্টাচার্য্য, থানচি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা মেখ্যাইনু মারমা প্রমূখ।

এছাড়াও স্থানীয় সাংবাদিক, সহকারী শিক্ষক মংক্যওয়াং মারমা, লিজন রায় ত্রিপুরাসহ প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট্য কর্মকর্তা কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভা অনুষ্ঠানে শেষে মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে রচনা প্রতিযোগীতা বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্যে থানচি প্রেসক্লাবের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক সুজন ভট্টাচার্য্য নারীদের ঋতুস্রাব বিষয়ে শেয়ার করে তিনি বলেন, নারীদের মাসিক কিংবা ঋতুস্রাব বিষয়ে সাম্যক ধারণা না থাকায় ও সমাজের নানান কুসংস্কারের কারণে প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন স্হানে অনেক নারী জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। এ রোগের পরিত্রাণে সকলে একযোগে কাজ করি।

এসময় বক্তারা বলেন, মাসিক কোনো রোগ নয়। প্রতিটি নারীর জীবন চক্রের এটি একটি অংশ। তাই প্রতিটা মেয়ে যাহাতে মাসিক কিংবা ঋতুস্রাবের বিষয়ে আতঙ্কিত না হয়ে স্বাভাবিক ও সচেতনতার বৃদ্ধির পরিবারের মা, দিদিসহ সকলে অবদান ভূমিকা রাখার খুবই জরুরি দরকার।

বক্তারা আরো বলেন, ঋতুস্রাবের সময়ে খুব বেশি রক্তক্ষয় হলে ক্লান্তিবোধ থাকবে, বিশ্রাম নিতে হবে। জোর করে কাজ করতে যাবেন না। মাসিক খুব বেশি রক্তপাত ঘটলে কোষগুলো যথেষ্ট অক্সিজেন না পেলে শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই নারীদের মাসিক চক্রের অতিরিক্ত রক্তক্ষয়ী হলে স্বাস্থ্য কেন্দ্র কিংবা অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার আহব্বান জানান বক্তারা।