লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে
যুবককে তুলে নিতে এসে গণপিটুনির শিকার, আহত ৫
॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥
লামায় যুবককে তুলে নিতে এসে গণপিটুনির শিকার হয়ে দুইপক্ষের ৫ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৫ মে) সকাল ১০টায় উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ঘিলাতলী এলাকায় এহসানের বাড়ির উঠানে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে লামা থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে আহত চার যুবককে লামা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে পুলিশ। আহতরা লামা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানা যায়, মাস খানেক আগে ঘিলাতলী এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে হুমায়ন কবির (১৭) পার্শ্ববর্তী অংসাঝিরির মোঃ ছাবের এর ছেলে মোঃ বাবুল (২৫) এর মোটর সাইকেল চালাতে এনে দুর্ঘটনা করে ভেঙ্গে ফেলে। এসময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মোটর সাইকেলের ক্ষতিপূরণ বাবদ ৮ হাজার টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত দেয়। হুমায়ন কবির ৮ হাজার টাকা দিয়ে দেয়। কিন্তু এতদিন পরে হঠাৎ বুধবার সকালে মোঃ বাবুল বহিরাগত ইব্রাহিম, মনির, মিয়া ও অজ্ঞাত আরো ১ জন সহ মোট ৫ যুবককে নিয়ে এসে মোটর সাইকেলের ক্ষতিপূরণ বাবদ আরো ৪ হাজার টাকা দাবী করে। টাকা দিতে অপারগতা জানালে মোঃ বাবুল ভাড়া করা লোক দিয়ে হুমায়ন কবিরকে তুলে নিয়ে যেতে চায়।
হুমায়ন কবিরের পিতা আব্দুল মালেক বলেন, আমার ছেলে তুলে নিয়ে যেতে চাইলে তার চিৎকারে স্বজন ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। আগত স্থানীয় লোকজনের সাথে বহিরাগতদের হাতাহাতি হলে বাবুলের ভাড়াটিয়াদের কাছে ইয়াবা ও ছুরি পাওয়া যায়। ইয়াবা ও ছুরি পাওয়ার পরে স্থানীয় তাদের গণপিটুনি দেয়। স্থানীয়রা এগিয়ে আসার আগে বাবুল ও তার ভাড়াটিয়ারা তার ছেলেকে মেরে আহত করে।
প্রত্যেক্ষদর্শী ও প্রতিবেশী মোঃ এহসান বলেন, ঘটনাটি আমার বাড়ির উঠানে হয়। আমাদের কারণে হুমায়ন কবির কে তুলে নিতে না পারায় বাবুল ও বহিরাহতরা আমাকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। এই বিষয়ে মোঃ বাবুল বলেন, আমি মোটর সাইকেল ভাঙ্গার ক্ষতিপূরণ চাইতে গেলে হুমায়ন কবির ও স্বজনরা সংঘবদ্ধ হয়ে আমাদের মারধর করে।
লামা থানা পুলিশের অফিসার উপ-পরিদর্শক সুধন কান্তি দাশ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ১৬ পিস ইয়াবা ও একটি ছোট ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের আইনী সহায়তা প্রয়োজন হলে থানায় আসার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।