[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

অমরাও চাই মনোনীত না হয়ে নির্বাচিত হয়ে আসতে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের বেদনাকে বোঝেন: মন্ত্রী বীর বাহাদুর

৪৮

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

বীর বাহাদুর উশৈসিং, এমপি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী বলেছেন, কারো মুখাপেক্ষি না হয়ে নিজ নিজ জেলার পরিত্যক্ত ভুমি ও জলাশয় উন্নয়নের কাজে লাগাতে হবে। পিছু পড়া জনগোষ্টি এবং অবহেলিত এলাকার উন্নয়নে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্প নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের বেদনাকে যেমন বোঝেন তেমনি পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের বেদনাকেও বোঝেন। তিনি স্থায়ী শান্তির জন্য জনসংহতি সমিতির সাথে চুক্তি করেছিলেন। তাই পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে এখানে ভিন্ন কিছু ভাবার দরকার নেই। উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে কোন গড়িমসি চাই না। বুধবার (২৫মে) দুপুরে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের আয়োজনে হস্তান্তরিত বিভাগের প্রধানগনদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী এর সভাপতিত্বে সকাল ১১টায় আয়োজিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, সচিন্দ্র নাথ রায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব, মোঃ আশরাফুল ইসলাম, জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, ডা. বিপাশ খীসা, জেলা সিভিল সার্জন, জেলা পরিষদের সকল সদস্য ও সদস্যা এবং হস্তান্তরিত বিভাগের প্রধানগন ও কর্মকর্তা সহ সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বিশ্বের কাছেও প্রমান করেছেন হত্যার বিনিময়ে হত্যা, গুলির বিনিময়ে গুলি নয়, সমস্যা সমাধান করতে হলে মনখুলে কথা বলতে হবে। একজন আরেক জনের পতি আস্থা অর্জন করতে হবে। রক্তারক্তি পরিবেশে কেউ সুখী নয়। নিজের আপন জন হারানো, নিজের জায়গা ছেড়ে অন্য জায়গায় থাকার কি কষ্ট আমার চাইতে বেশি বুঝবেন না। বাবা-মাকে হারানোর ব্যাথা আমি বুঝি। প্রধানমন্ত্রী সকলের কাছে আস্থা বিশ্বাস স্থাপন করতে পেরেছেন তাই আজকে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যেক খাতের উন্নয়ন হচ্ছে অগনিত। পার্বত্য চুক্তি অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়ন হবে। আমরা উদ্যোগ নিয়েছি আঞ্চলিক পরিষদ সহ সকলের সমন্বয়ে কাজ করা হবে। চুক্তি নিয়ে কোন হতাশ বা সন্দেহ থাকার কোন সুযোগ নেই। পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে চলমান প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়েই দ্রুত শেষ করার নির্দেশন প্রদান করেন। তিনি বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যাকে রাজনৈতিক সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করতে পেরেছেন বলে আজকের পার্বত্য চট্টগ্রাম সার্বিক উন্নয়নে এগিয়ে। উন্নয়নের কাজ ধারাবাহিক থাকার জন্য অবশ্যই প্রকল্প নিতে হবে। এখানে পিছুপড়া জনগোষ্টি তথা এলাকার উন্নয়নে অগ্রাধিকার হিসেবে নিতে হবে।

পরিষদের সদস্য সবির কুমরা চাকমা বলেছেন, চলমান উন্নয়ন কাজগুলো যথা সময়ে বাস্তবায়ন করা হবে বলে মন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন। তিনি বলেন জেলা পরিষদে মনোনীত নিয়ে আনেকে অনেক কিছু বলেন। কিন্তু অমরাও চাই মনোনীত না হয়ে নির্বাচিত হয়ে আসতে, তাই তিনি জেলা পরিষদের নির্বাচন দেওয়ার জন্য মন্ত্রীর নিকট দাবি জানান।