হেড কোয়াটার্স থাকবে রাঙ্গামাটিতে
পার্বত্য চট্টগ্রামে পরিত্যক্ত অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পে পুলিশ ব্যাটালিয়ন মোতায়ন করা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
আসাদুজ্জামান খান, এমপি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা বাহিনীর পরিত্যক্ত ক্যাম্পগুলোতে সরকার পুলিশ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের অনুরোধ এবং তাদের কল্যাণে এখানে সরকারের একটাই লক্ষ্য শান্তি ও উন্নয়ন। এটি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির একটি শর্ত। তাই পরিত্যক্ত ৩০টি অস্থায়ী ক্যাম্পে পুলিশ মোতায়ন করা হচ্ছে। সেই লক্ষ্যে তিন জেলায় তিনটি আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন থাকবে যার হেড কোয়াটার্স থাকবে রাঙ্গামাটিতে। বুধবার (২৫মে) রাত ৮ ঘটিকায় রাঙ্গামাটিতে অনুষ্ঠিত বিশেষ আইনসৃংখলা সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত বিশেষ আইনসৃংখলা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বীর বাহাদু ঊশৈসিং, এমপি, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, এমপি, ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী পূনর্বাসন টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান, জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা প্রকাশ সন্তু লারমা, চেয়ারম্যান পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, দীপংকর তালুকদার, এমপি, সভাপতি খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি, বাসন্তি চাকমা, এমপি, জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য, খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, সচিব, মন্ত্রী পরিষদ, ড. বেনজির আহমদ, আইজপি, বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার এর মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম ২৪পদাতিক ডিভিশনের জিওসি, এনএসআই ও ডিজিএফআই এর মহাপরিচালক, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, পুলিশ সুপারবৃন্দ সহ সেনা, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর পদস্ত কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন। মোঃ মিজানুর রহমান, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক এ বিশেষ আইনসৃংখলা সভার সার্বিক তত্ববধান করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, বিগত দু’বছর আগে রাঙ্গামাটিতে এসে স্থানীয়, জনপ্রতিনিধি, হেডম্যান কারর্বারী ও রাজাদের সাথে আলোচনার মধ্যে সকলেই অনুরোধ ছিল চাঁদাবাজী, সন্ত্রাসী দল উপদলের মারামারি অত্যাচার থেকে রক্ষা এবং সকলের শান্তির জন্য ব্যবস্থা গ্রহনের। এখানে শান্তির জন্য সেনা বাহিনী দীর্ঘকাল ধরেই কাজ করছেন। তিনি বলেন, সরকার সকল জনগোষ্টির কল্যাণ এবং শান্তির জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা বহিনীর পরিত্যক্ত ক্যাম্পগুলোতে পুলিশ মোতায়েন করছে। এটি পার্বত্য চুক্তিরও একটি শর্ত। শান্তি ও উন্নয়নের জন্য ধীরে ধীরে তিন জেলাতে পরিত্যক্ত সেনা ক্যাম্পগুলোতে পুলিশ ব্যাটালিয়ন মোতায়েন করতে যাচ্ছি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের জনগনের কল্যাণে জলদস্যু ও চরমপন্থি মুক্ত করেছি। পার্বত্য চট্টগ্রামেও সকলের সহযোগীতায় শান্তি প্রতিষ্ঠিত করব। আপাতত ৩০টি পরিত্যাক্ত ক্যাম্পে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়েছে এর মধ্রে প্রথম ধাপে তিনটি ক্যাম্প বসানো হবে। তিনি বলেন, তিন জেলায় তিনটি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন আসবে এবং এর সদর দপ্তর হবে রাঙ্গামাটিতে। চুক্তি বাস্তবায়ন, ভুমি কমিশন কার্যকর সহ উন্নয়নের বিভিন্ন বিষয়গুলো নিয়ে সন্তু লারমার বলেছেন আমরা সব নোট নিয়েছে। ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন করা হবে তাঁর সাথে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তির জন্য যেখানে যা প্রয়োজন সরকার তার জন্য ব্যবস্থা নেবেন। সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। এসময় সন্তু লারমা উপস্থিত ছিলেন।