[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
খাগড়াছড়ির উন্নয়নে ওয়াদুদ ভুঁইয়ার বিকল্প নেইরাঙ্গামাটি রাজস্থলী প্রেস ক্লাবের মাসিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিতরাজস্থলীতে উপজেলা তামাক আইন বাস্তবায়ন টাস্কফোর্সের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিতরোয়াংছড়িতে নারী, শিশুর প্রতি সহিংসতা ও মাদক বিরোধী আলোচনা সভাকাপ্তাই ১০আরই সেনাবাহিনীর ফ্রী চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণকাপ্তাই নতুন বাজারে দুই প্রতিষ্ঠানকে অর্থদন্ড, প্রকাশ্যে ধুমপান নয়লংগদু উপজেলার আইনসৃংখলা রক্ষায় সার্বিক সহযোগীতা কামনাকথা হইলো ডাক্তার-ই যদি নাই থাকে তয় রোগ লইয়া খালি বিছানায় শুইয়া থাকিলে কি হইবে, চিন্তায় আছি…অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যু আমরা চাই না, পর্যটকদের সচেতন করা জরুরীখাগড়াছড়ির পানছড়িতে ৩ বিজিবির নানামুখী সহায়তা
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

তদন্ত নির্দেশ দিয়েছেন আদালত

বান্দরবানে ইসলামী ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

৫৯

॥ বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি ॥

বান্দরবানের বিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে একাধিকবার ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মীর মুহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ বিরুদ্ধে। ঐ নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে তার আইনজীবির দায়ের করা মামলার শুনানিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোঃ সাইফুল রহমান সিদ্দিক সোমবার (২৩ মে) দুপুরে মামলা আমলে নিয়ে বান্দরবান ট্যুরিষ্ট পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

ধর্ষনের অভিযোগ এনে বান্দরবান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেন বলে তথ্যটি নিশ্চিত করেন বান্দরবান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের পেশকার এস এম মাইনুল ইসলাম।
বাদীর আইনজীবির দীপঙ্কর দাশ গুপ্ত এর তথ্যে মতে, ২৩ মে বান্দরবান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত বরাবর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২০০০(সংশোধিত ২০০৩) এর ৯(১) ধারা ও তৎসহ দন্ডবিধি ৫০৬ (২) ধারায় মামলা দায়ের করেন।

এদিকে এজাহার সুত্রে জানা যায়, ইসলামী ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা বিভিন্ন কায়দায় কথা বলেন এবং কোরআন শরিফ ছুঁয়ে শপথ করে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে পরে জোর করে শারিরীক সম্পর্ক করেন। এরপর ২০১৯ সালে ৪ জুলাই বিকালে ঐ নারীকে নিজের অফিসে ডেকে নিয়ে আসেন। পরে অফিসে এসে নিজ বেড রুমে নিয়ে এক প্রকার ধর্ষণের তান্ডব চালায়। এছাড়াও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক বার ধর্ষণ করে আসছেন।

পরে শারিরীক সম্পর্কে লীপ্ত হতে না চাইলে ঐ নারীকে নিজ মোবাইলে ইমো হতে ভিডিও কলের মাধ্যমে হুমকি দেন। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী বিয়ের জন্য মীর মুহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহকে আবারো চাপ প্রয়োগ এবং কোরআন শপথ নেওয়া কথা মনে করিয়ে দিলে ভুক্তভোগী নারীকে নিজের গোপন কক্ষ থেকে বের করে দেন। এ ঘটনা নিয়ে মুখ খুললে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন।

ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মীর মুহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ জানিয়েছে, এটা তার সম্পর্কে মামলার বাদীনির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এটি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে তিনি দাবি করেন।

এদিকে বান্দরবান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের পেশকার এস এম মাইনুল ইসলাম বলেন, গত ২৩ তারিখে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে আইজীবির মাধ্যমে করলে ২৫ মে বুধবার মামলা শুনানী শেষে ট্রাইব্যুনাল ট্যুরিষ্ট পুলিশকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।