[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
মানিকছড়িতে নৈতিকতার আলো শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিতরাঙ্গামাটিতে ৩৫ কাঠুরিয়া সহ পাহাড়ের সকল গণহত্যার বিচার দাবিরাঙ্গামাটির লংগদুতে ৩৫ কাঠুরিয়া হত্যার বিচারের দাবীতে আলোচনাসভাবাঘাইছড়িতে জেন্ডার ভিত্তিক জনসচেতনতা কার্যক্রম সভা অনুষ্ঠিতরাঙ্গামাটি ফাউন্ডেশন এর কাপ্তাইয়ে অবহিতকরণ সভারাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের ১ সদস্য সহ ৯জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানারামগড়ে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা সামগ্রী ও অভিভাবকদের গরু বিতরণরামগড়ে সীমা হোটেলের মালিককে জরিমানাকাপ্তাই চিৎমরম মুসলিম পাড়ায় ঈদ এ মিলাদুন্নবী পালনদীঘিনালায় সেনাবাহিনীর কর্তৃক চিকিৎসাসেবা ও বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

তদন্ত নির্দেশ দিয়েছেন আদালত

বান্দরবানে ইসলামী ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

৬০

॥ বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি ॥

বান্দরবানের বিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে একাধিকবার ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মীর মুহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ বিরুদ্ধে। ঐ নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে তার আইনজীবির দায়ের করা মামলার শুনানিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোঃ সাইফুল রহমান সিদ্দিক সোমবার (২৩ মে) দুপুরে মামলা আমলে নিয়ে বান্দরবান ট্যুরিষ্ট পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

ধর্ষনের অভিযোগ এনে বান্দরবান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেন বলে তথ্যটি নিশ্চিত করেন বান্দরবান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের পেশকার এস এম মাইনুল ইসলাম।
বাদীর আইনজীবির দীপঙ্কর দাশ গুপ্ত এর তথ্যে মতে, ২৩ মে বান্দরবান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত বরাবর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২০০০(সংশোধিত ২০০৩) এর ৯(১) ধারা ও তৎসহ দন্ডবিধি ৫০৬ (২) ধারায় মামলা দায়ের করেন।

এদিকে এজাহার সুত্রে জানা যায়, ইসলামী ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা বিভিন্ন কায়দায় কথা বলেন এবং কোরআন শরিফ ছুঁয়ে শপথ করে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে পরে জোর করে শারিরীক সম্পর্ক করেন। এরপর ২০১৯ সালে ৪ জুলাই বিকালে ঐ নারীকে নিজের অফিসে ডেকে নিয়ে আসেন। পরে অফিসে এসে নিজ বেড রুমে নিয়ে এক প্রকার ধর্ষণের তান্ডব চালায়। এছাড়াও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক বার ধর্ষণ করে আসছেন।

পরে শারিরীক সম্পর্কে লীপ্ত হতে না চাইলে ঐ নারীকে নিজ মোবাইলে ইমো হতে ভিডিও কলের মাধ্যমে হুমকি দেন। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী বিয়ের জন্য মীর মুহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহকে আবারো চাপ প্রয়োগ এবং কোরআন শপথ নেওয়া কথা মনে করিয়ে দিলে ভুক্তভোগী নারীকে নিজের গোপন কক্ষ থেকে বের করে দেন। এ ঘটনা নিয়ে মুখ খুললে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন।

ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মীর মুহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ জানিয়েছে, এটা তার সম্পর্কে মামলার বাদীনির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এটি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে তিনি দাবি করেন।

এদিকে বান্দরবান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের পেশকার এস এম মাইনুল ইসলাম বলেন, গত ২৩ তারিখে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে আইজীবির মাধ্যমে করলে ২৫ মে বুধবার মামলা শুনানী শেষে ট্রাইব্যুনাল ট্যুরিষ্ট পুলিশকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।