[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
নারীবান্ধব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবেশান্তি সম্প্রতি ও উন্নয়নে রামগড় ৪৩ বিজিবি’র মানবিক সহায়তা প্রদানবাঘাইছড়ির সাজেক সড়কে ৮ঘন্টা পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিকখাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা সেনা জোনের নিরাপত্তা সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিতদীঘিনালায় পার্টনার ফিন্ড স্কুল কংগ্রেস’র কৃষক সমাবেশনিহত ছাত্র উক্যাচিং মারমার পরিবারের খোঁজ নিলেন তারেক রহমানখাগড়াছড়ির রামগড়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট ও সনদ প্রদানবান্দরবানের লামার মিরিঞ্জা কটেজে গলায় ফাঁস দিয়ে পর্যটকের মৃত্যুঋতুপর্ণা’র মায়ের জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রানলয়ের অর্থিক সহায়তা প্রদানরাজস্থলীর বাঙ্গালহালিয়াতে উক্য চিং মারমার সৎকার সম্পন্ন
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

দীঘিনালায় মাচাং এ ঝুলছে আঙুর ফল

৪১

॥ মোঃ সোহেল রানা দীঘিনালা ॥

খাগড়াছড়ির দীঘিনালার মায়াফাপাড়া এলাকার বিভাস ত্রিপুরা (৪৮) শখের করে ২০১২ সালে নিজ বসতবাড়ির পেছনে একটি আঙুরগাছ লাগিয়েছিলেন। সে আঙুরগাছে পাঁচ বছর পর থেকে ফলন আসছে। একটি গাছে প্রতিবছর ১৫ থেকে ২০ কেজি আঙুর হয়। এ বছরও তাঁর গাছে বেশ আঙুর ধরেছে।

উপজেলা সদর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে মায়াফাপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, বিভাস ত্রিপুরার বসতবাড়ির পেছনে মাচাংয়ে থোকায় থোকায় আঙুর ঝুলে আছে। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে ঝুলে থাকা আঙুরগুলো দেখতে বেশ বড় ও সুন্দর।

বিভাস ত্রিপুরা বলেন, ‘আমি ২০১২ সালে শখের করেই বসতবাড়ির পেছনে আঙুরগাছটি লাগিয়েছিলাম। প্রথম প্রথম খুব পরিচর্যা করতাম। পাঁচ বছর পর গাছে প্রচুর পরিমাণ আঙুরের ফলন আসে। খেতে বেশ টক, তবে যেগুলো গাছে পাকে, সেগুলো মিষ্টি লাগে। প্রতিবছর গাছে ১৫ থেকে ২০ কেজি আঙুর ধরে। টক হওয়ায় এখন আর আমি গাছের যত্ন করি না। তবে যখন আঙুরের ফলন আসে, তখন মাচাংয়ে ঝুলে থাকা আঙুরগুলো দেখতে ভালো লাগে।’
বিভাস ত্রিপুরা আরো জানান, তিনি কৃষি বিভাগের সঙ্গে পরামর্শ করে এ বছর থেকে কীভাবে আঙুরের মিষ্টতা আনা যায়, সে চেষ্টা করছেন। কৃষি কর্মকর্তাও গাছটি সরেজমিন পরিদর্শন করে বেশি পরিমাণ জৈব সার ব্যবহারসহ বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। এখন কৃষি বিভাগের পরামর্শে আঙুরের মিষ্টতা আনার উদ্যোগ নিয়েছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘ হরিকুমার মহাজনপাড়ার বিভাস ত্রিপুরার আঙুরগাছটি দেখেছি। গাছে প্রচুর পরিমাণ ফলনও এসেছে। মূলত, আমাদের দেশের মাটি ও আবহাওয়া আঙুরের জন্য উপযোগী নয়। তাই আঙুর ফল টক বেশি হয়। আঙুর ফলের মিষ্টতা আনার জন্য দেশের কৃষিবিজ্ঞানীরা কাজ করে যাচ্ছেন। আর বিভাস ত্রিপুরার আঙুর গাছে পাকলে নাকি মিষ্টতা আসে। সে আমি তাঁকে বেশিসংখ্যক জৈব সার ব্যবহারসহ বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছি। যদি আঙুরে মিষ্টতা আসে, তাহলে এ এলাকার মাটি আঙুর চাষের জন্য উপযোগী হবে।