[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
সীমান্তে পুশইন ও চোরাচালান ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বাঘাইহাট বিজিবিলংগদু উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবির টহল জোরদার: লে. কর্ণেল নাহিদ হাসানরাঙ্গামাটিতে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক আটকপুশইন ও চামড়া পাচার রোধে রামগড় ৪৩ বিজিবির নিরাপত্তা জোরদাররাজস্থলীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালনচামড়া পাচার ও সীমান্ত দিয়ে পুশইন ঠেকাতে বিজিবি টহল বাড়িয়েছেমাটিরাঙ্গা সেনা জোন কর্তৃক ঈদ উপহার ও মানবিক সহায়তা প্রদানউন্নয়ন কর্মকান্ডে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের প্রশ্রয় দেওয়া হবে না: বিজিবি রাজনগর জোন কমান্ডারবান্দরবানের লামা হাসপাতালে প্রথম সাপে কামড়ানো রোগীকে বাঁচালো চিকিৎসকদুর্যোগকালীন ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১০আরই ব্যাটালিয়নের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বান্দরবানে সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নেওয়া অভিযোগ বিআরটিএ পরিদর্শকের বিরুদ্ধে

১০৯

॥ বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি ॥

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) বান্দরবান কার্যালয়ের অনিয়মের অভিযোগের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক হয়রানী ও মোবাইল কেড়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বান্দরবান বিআরটিএ এর মোটরযান পরিদর্শক মোহাম্মদ মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে।

বুধবার (১৮মে) সকাল বিআরটিএ বান্দরবান সার্কেল অফিসে গ্রাহকের হয়রানীর সত্যতা যাচাই করতে গেলে জাগো নিউজের বান্দরবান প্রতিনিধি নয়ন চক্রবর্তী কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে সেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও, ছবিও ডিলেট করে দেয়ার অভিযোগ উঠে। সাংবাদিক নয়ন চক্রবর্তী জানায়, একটি ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য একজন ভুক্তভোগী কে ২বছর ধরে হয়রানি করছে। ইতিমধ্যে তার কাছ থেকে বাড়তি ৩হাজার টাকাও নেয়া হয়েছে, তারপরও লাইসেন্স দেয়া হচ্ছেনা। এমন অভিযোগ পেয়ে বিআরটিএ এর অফিসে তথ্য সংগ্রহে যাই। পরে আমার মোবাইলটি হাতে নিলে বিআরটিএ এর উক্ত কর্মকর্তা মোবাইলটি কেড়ে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও ডিলেট করে দেয়। শুধু তাই নয় কর্মকর্তা নিজেকে বাঁচাতে পুলিশকেও খবর দেয়।

ভুক্তভোগী মং হাই সিং মার্মা জানান, ২০১৯ সালে তার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করতে দেন। লাইসেন্স পেতে ব্যংক জমা ছাড়া অফিস খরচের কথা বলে অতিরিক্ত ১০ হাজার টাকা দাবি করে। পরে বুঝিয়ে শুনিয়ে ৩ হাজার টাকায় দিতে হয় খসরু মোল্লাকে। তিনি আরো জানান, ২০১৯ সালের ২৩ শে মে রেজিস্ট্রেশন তারিখ লিপিবদ্ধ করে পরবর্তীতে কয়েকবার লাইসেন্স প্রদানের তারিখ প্রদান করা হয়। আবেদনের প্রায় তিন বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও বান্দরবান বিআরটিএ এর অফিস কর্মকর্তারা অদ্যাবধি ড্রাইভিং লাইসেন্সটি না দিয়ে বিভিন্ন তারিখ প্রদান করতে থাকে।

বিআরটিএ বান্দরবান সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ বলেন, অফিসে এসে পরিচয় না দিয়ে কারোর অনুমতি না নিয়েই ভিডিও ধারন করার সময় তার মোবাইল কেড়ে নেয়া হয়েছে। পরে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে তাকে থানায় আনা হয়।

এ বিষয়ে বান্দরবান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল বলেন, বিআরটিএ এর কর্মকর্তা পুলিশকে খবর দিলে নয়ন চক্রবর্তী নামের একজনকে ধরে আনা হয়। কিন্তু তার মোবাইলে গুরুত্বপূর্ণ কোন ভিডিও না পাওয়ায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

এবিষয়ে বান্দরবান বিআরটিএ সহকারী পরিচালক ইঞ্জিঃ মোঃ আনোয়ার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আগামীকাল অফিসে আসলে তার সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।

বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভিন তিবিরীজি জানান, তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বলে আশ্বস্ত করেন।