খাগড়াছড়িতে ধর্ষণ মামলায় সোহেল গ্রেফতার
॥ খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি ॥
খাগড়াছড়িতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মোঃ সোহেল মিয়া নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শনিবার (১৪মে) সকালে খাগড়াছড়ি সদর মডেল থানায় দুই জনের নাম উল্লেখ করে মামলার পর একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেফতারের অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) জাহিদ হাসান।
পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার (১৩ মে) রাতে ঘর থেকে বাড়ির অদূরে দোকানে বাজার করতে যাওয়ার পথে ভিকটিমের গতিরোধ করে অভিযুক্তরা। পরে খাগড়াছড়ি গেইট সংলগ্ন বন বিভাগের সদর রেঞ্জ কার্যালয়ের সীমানা প্রাচীরের ভেতরে পরিত্যক্ত একটি আধা পাকা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।
এ সময় মোবাইলে ভিডিও ধারণ করা হয়। ধর্ষকরা এ বিষয়ে কাউকে জানালে ইন্টারনেটে ভিডিও ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে তার হাতের মোবাইলটিও কেড়ে নেয়া হয়। ঘটনার কয়েক ঘন্টা পর ভিকটিম থানায় এসে অভিযোগ করার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয় পুলিশ।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ জানান, গ্রেফতারের পর আসামিকে শনিবার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত অপর আসামি আটকের অভিযান চলছে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার (১২ মে) বিকেলে রামগড় উপজেলার রামগড় ইউনিয়নের থানাচন্দ্র পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে শিক্ষক বেলায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কিন্তু এখন ঐ শিক্ষক পলাতক রয়েছে।
রামগড়ের ঘটনার সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক এর আগেও এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করে। সামাজিক কারনে বিষয়টি গোপন রেখেছে ছাত্রীর পরিবার। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিলে তাদের ছেলে মেয়েকে স্কুলে পাঠাবে না। স্কুল বয়কটেরও ঘোষণা দেন তারা।
এ ঘটনায় রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শামসুজ্জামান জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক রয়েছে।
এ ব্যাপারে রামগড় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।