[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
খাগড়াছড়িতে অপহৃত ৫শিক্ষার্থীর মধ্যে লংঙি ম্রো বান্দরবান উপজেলা আলীকদমেরখাগড়াছড়ির রামগড়ে দুই কোচিং সেন্টারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাখাগড়াছড়ির রামগড়ে দুই বসতবাড়ি আগুনে ভষ্মিভুতদীঘিনালায় গার্ল গাইডস এসোসিয়েশনের ৫দিনব্যাপি বিজ্ঞপাখি মৌলিক প্রশিক্ষণ সম্পন্নখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বাড়ির সদস্যদের অজ্ঞান করে দূর্ধষ চুরিগুণগত শিক্ষা জাতিগত ভেদাভেদ ভুলিয়ে দিতে পারবে: রাঙ্গামাটিতে জলখেলি অনুষ্ঠানে সুপ্রদীপনৃ-গোষ্ঠীর আগে ক্ষুদ্র শব্দটি ব্যবহার করতে চাই না: জলকেলীতে উপদেষ্টা সুপ্রদীপবান্দরবানের আলীকদমে মার্মা সম্প্রদায়ের মাহাঃ সাংগ্রাই পোয়েঃ-২০২৫ উৎসব পালনপুরোনো দিনের গ্লানি মুছে যাক সাংগ্রাইয়ের মৈত্রীময় জলেবান্দরবানের থানচিতে খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের গুড ফ্রাইডের উপহার দিলেন সেনাবাহিনী
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

মহালছড়িতে ৫ গ্রামের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো

৪৭

॥ মিল্টন চাকমা, মহালছড়ি ॥

খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়ন ও ক্যায়াংঘাট ইউনিয়নের ৫ গ্রামবাসীর পারাপারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা। এলাকাবাসীর উদ্যোগে চেঙ্গী নদীর উপর দিয়ে এলাকাবাসীর উদ্যেগে নির্মিত বাঁশের সাঁকোটি এখন ক্যায়াংঘাট ইউনিয়নের দাবা ফাদা পাড়া, ধনপাতা পাড়া, রাঙ্গাপানি ছড়া, ক্যায়াংঘাট গুচ্ছগ্রাম ও মহাজন পাড়া গ্রামের জনসাধারনের পারাপারের একমাত্র ভরসা হয়ে দাড়িয়েছে।

সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে স্থানীয় ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মহালছড়ি সদর ও জেলা সদরে যেতে হলে এ ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোটি উপড় দিয়েই যেতে হয়। এছাড়া স্কুল-কলেজে পড়ূয়া শিক্ষার্থী, সরকারী-বেসরকারি চাকুরীজীবি, এলাকার কৃষকদের উৎপাদিত তরিতরকারি নিয়ে হাট-বাজারে যেতে হলে এ ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোটি ছাড়া পারাপারের বিকল্প কোন রাস্তা নেই এই ৫ গ্রামবাসীর। বিশেষ করে জরুরী অবস্থায় কোন রোগী হাসপাতালে নিতে হলে মহা বিপদের সম্মূখীন হতে হয়।

দাবা ফাদা পাড়া গ্রামের এক সরকারি চাকুরিজীবি নিক্কন খীসা সমস্যার কথা তুলে ধরে বলেন, এই এলাকার জনসাধারণে জন্য এটি দীর্ঘ দিনের সমস্যা। এলাকার এ সমস্যাটি নিরসনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ গ্রহনের কোন লক্ষন নেই। অথচ বর্তমান সরকার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করে চলেছেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় পাড়া কার্বারি শিশির বিন্দু চাকমা বলেন, এ এলাকায় বর্ষা মৌসুমে চেঙ্গী নদীর উপড়ে পারাপারের জন্য কোন সেতু না থাকায় দীর্ঘদিন যাবত এলাকাবাসী চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। এছাড়া উৎপাদিত ফসলাদি সঠিক সময়ে বাজারজাত করতে পারছেন না কৃষকেরা। এলাকার যে কোন রোগী জরুরী ভিত্তিতে উপজেলা সদর হাসপাতাল কিংবা জেলা সদর হাসপাতালে নিতে হলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। কোনমতে চলাচলের জন্য একটি ফুটব্রিজ হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী করেছেন তিনি।

দাবা ফাদা গ্রামের বাসিন্দা গরুর দুগ্ধ খামারের মালিক ত্রিশঙ্কু খীসা বলেন, চেঙ্গী নদীর উপড় সেতু না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো পার হতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে অনেকবার দুধ নষ্ট হয়েছে। এরকম অনেক কৃষকের উৎপাদিত তরিতরকারি কাঁধে বহন করে বাজারে নিতে গিয়ে বাঁশের সাঁকো থেকে পিছলে পড়ে যাওয়ার কথা সবার জানা আছে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে মহালছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান রতন কুমার শীল ও ক্যায়াংঘাট ইউপি চেয়ারম্যান রুপেন্দু দেওয়ান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে, ওই এলাকায় অন্তত একটি ফুট ব্রিজের প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করে তাঁরা বলেন, চেঙ্গী নদীর উপড় দিয়ে ফুট ব্রিজ নির্মাণ করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এত টাকা বরাদ্দ দেয়া সম্ভব নয়। এখানে একমাত্র পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, পার্বত্য জেলা পরিষদ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ফুট ব্রিজ নির্মাণের অর্থ বরাদ্দ দিতে পারে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।