দীঘিনালায় এবার মেয়েদের বিরুদ্ধে পিতার সংবাদ সম্মেলন
॥ মোঃ সোহেল রানা, দীঘিনালা ॥
খাগড়াছড়ির দীঘিনালার চংড়াছড়ি এলাকায় সৎ মায়ের কুপরামর্শে পিতা কর্তৃক চার কন্যাকে নির্যাতন, হয়রানি, মামলা ও ঘর থেকে বের করে দেওয়ার প্রতিবাদে গতকাল (১১ মে) সংবাদ সম্মেলন করে চার কন্যা।
এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১২ মে) দীঘিনালা বাস টার্মিনাল সংলগ্ন হোটেল ইউনিটি কনফারেন্স হল রুমে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে অভিযুক্তকারী পিতা সোহরাফ হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শুনান তার দ্বিতীয় সংসারের পুত্র ইস্তিয়াজ হাসান তামিম। পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সোহরাফ হোসেন বলেন, আমার প্রথম সংসারের ছোট তিন মেয়ে বড় মেয়ে ও জামাতার কুপরামর্শে আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করে আসছে ৷ আমি তাদের সন্তান হিসেবে স্বীকার করলেও আমার জীবদ্দশায় আমার সয় সম্পত্তির ভাগ কোন সন্তানকেই দিবোনা ৷
তিনি অভিযোগ করে বলেন, তার বড় মেয়ে মারুফা আক্তারের স্বামী ফজলুল করিমকে বিভিন্ন সময়ে ব্যবসা করার জন্য তিনি ৫ লক্ষ টাকা প্রদান করেন। একপর্যায়ে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিলে সে তার স্ত্রীসহ আমার বাকি তিন মেয়েকে সাথে নিয়ে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও নানা প্রকার নির্যাতন শুরু করে। তার মেঝো মেয়ে খাদিজা আক্তারকে কয়েকবছর পূর্বে ভূইয়াছড়ির আমজাদ হোসেন’র সাথে বিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বড়মেয়ে মারুফা আক্তার ও জামাতা ফজলুল করিমের প্ররোচনায় সে তার স্বামীকে মারধর করে ডিভোর্স দেয়। এতে তিনি সামাজিক ভাবে লাঞ্চিত হই। তাছাড়া মারধর নয় তার ৩ নং মেয়ে জেসমিন আক্তার স্বাভাবিক ভাবেই রোগে আক্রান্ত হয়ে পিঠের একটি রগ শুকিয়ে যায়। এতে তার একহাত চিকন হয়ে যায়। তিনি গতকাল অনুষ্ঠিত মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদ জানান।