[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

দীঘিনালায় তামাক চাষীদের মাঝে ঈদ আনন্দ বইছে

৬২

॥ মোঃ সোহেল রানা দীঘিনালা ॥

পার্বত্য অঞ্চলে মেইল ফ্যাক্টরি না থাকায় বনের কাঠ বাঁশ বিক্রি করে আর কৃষি উৎপাদিত ফসলের উপর নির্ভরশীল করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে পাহাড় অঞ্চলের বসবাসরত মানুষগুলো। খাগড়াছড়ি দীঘিনালায় তামাক চাষীদের মাঝে ঈদ আনন্দ বইতে শুরু করেছে।

আনন্দের কারন হলো চাষীদের উৎপাদিত তামাক পাতা স্ব স্ব কোম্পানি কাছে বিক্রয় করতে পেরেছে। চাষীদের স্ব স্ব একাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করে ঋনের টাকা, লেবারের টাকা পরিশোধ করে চাষী লাভবান হয়েছে।

এবছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় তামাক পাতা ভাল হয়েছে। তামাক পাতা ভালো দামও পেয়েছে স্বস্ব কোম্পানির কাছ থেকে এতে তামাক চাষীরা লাভবান হয়েছে। তামাক চাষী এবং তামাক চাষের সাথে জড়িত লেবারদের মাঝেও ঈদ আনন্দ বইছে। লেবারা তামাক চাষীদের সাথে ৪/৫মাসের সময় শুধু খোরাকির টাকার বিনিময় কাজ করে থাকে, বাকি টাকা তামাক পাতা বেঁচা-কিনার পরে এক সাথে দিয়ে থাকেন। তাই ঈদের আগে লেবারা তাদের মুজুরী টাকা একসাথে পেয়ে খ্বু খুশি। পরিবারে সবাই সুন্দর ভাবে ঈদ করার জন্য মাকের্টে নতুন পোশাক কিনা নিয়েছে। সেমাই চিনি কিনার বাকি আছে। অপরদিকে তামাক চাষীরাও তাদের ছেলে মেয়েদের নিয়ে নতুন পোশাক কিনা জন্য দোকানে দোকানে ভিড় করছে। এলাকার লেবার ছাড়াও সমতলের রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগ্রাও এলাকার লেবারা এসে তামাক চাষীদের বাড়িতে বছর চুক্তি কাজ করে থাকে।

ঠাকুরগাঁও থেকে বছর চুক্তি কাজ করতে আসা মোঃ রাব্বানি বলেন, আমাদের এলাকায় কাজকর্ম কম এবং মুজুরীও কম তাই আমারা পার্বত্য অঞ্চলে বছর চুক্তি কাজ করতে আসি। ঈদের আগে মুজুরী পেয়ে আমি অনেক খুশি বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঈদ করতে পাবর।

মোছাঃ নুর বানু বেগম ও মোছাঃ পাখি আক্তার বলেন, আমার আগে ঈদ করতে অনেক কষ্ট হত সরকারী সাহায্যে উপর নির্ভর করতে হত। এখন আমার তামাক খেতে কাজ করে মুজুরী পেয়ে পরিবারের সবাইকে সুন্দর ভাবে ঈদ করতে পারি।

তামাক চাষী আয়নাল হক বলেন, এই এলাকায় কলকারখানা নাই কৃষি কাজের উপর নির্ভর করে আমাদের চলতে হয়। আমাদের উৎপাদিত পন্য বিক্রিয়ের নিশ্চয়তা পাওয়ার কারনে তামাক চাষ করি। তামাক চাষ করতে প্রতিদিন লেবার থেকে শুরু করে বছর চুক্তি লেবার লাগে, সমতলের রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও থেকে প্রতিবছর অনেক লেবার আসে আমাদের এখানে কাজ করা জন্য। এবছর তামাক উৎপাদন ভাল হয়েছে এবং দামও ভাল পেয়েছি। ঈদের আগের পাতা বিক্রি করতে পেরে লেবার পরিশোধ করতে পেরেছি। তারা ভাল করে ঈদ আনন্দ করতে পারবে।

কবাখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও তামাক চাষী মোঃ আঃ হান্নান বলেন, কৃষরা তামাক বিকল্প অন্যান্য ফসর চাষ করে কিন্তু উৎপাদিত পন্য বিক্রয় করা নিশ্চয়তা না থাকার কারনে তামাক চাষে দিকে আগ্রহ বেশি। পার্বত্য অঞ্চলে কৃষদের উৎপাদিত সফল সংরক্ষনের জন্য হিমাগার প্রয়োজন। তবে তামাক চাষ করে এলাকার চাষীরা অনেক লাভবান।