[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

রামহরি পাড়া মৈত্রী বৌদ্ধ বিহার উন্নয়নে সকলের সহযোগীতার আহ্বান

১৬১

॥ নিজস্ব প্রতিবেক ॥

রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলার ৪নং ঘিলাছড়িস্থ রামহরি পাড়া মৈত্রী বৌদ্ধ বিহার উন্নয়নে সকলের সহযোগীতার আহ্বান জানিয়েছেন বিহার পরিচালনা কমিটি এবং উপাসক-উপাসিকা ও দায়ক-দায়িকাবৃন্দ। ইতিমধ্যে স্থানীয়দের সহায়তায় প্রাচীন এই বিহারটির উন্নয়ন কাজ চলছে।

এদিকে বিহার নির্মাণ কাজের বিষয়ে সরকার অনুমোদিত তক্ষশীলা বৌদ্ধ যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি তন্টু বিকাশ চাকমা জানিয়েছেন, রামহরি পাড়া গ্রামবাসীর পূর্বপুরুষের প্রতিষ্ঠিত মৈত্রী বৌদ্ধ বিহার বিহার এক সময় মাটির ঘর ছিল। বর্তমানে স্থানীয়দের সহযোগীতায় বিহারটির নির্মাণ কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। মহালছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বিপিন দেওয়ান বিহারটির উন্নয়নে পাকা করণ কাজের জন্য এক লক্ষ টাকা এবং গ্রামবাসীর দানের দেড় লক্ষ টাকা সহ বর্তমানে আড়াই লক্ষ টাকার কাজ করা হয়েছে। ঐতির্হ্যরে এ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়নে সকলের সহযোগীতা প্রয়োজন বলে তিনি জানান।

বিহারের সভাপতি অম্বিকা চরণ দেওয়ান এর তত্বাবধানে বর্তমানের বিহারের কাজ চলছে। কাজের শুরুতেই তাঁর ছেলে  বিপিন দেওয়ান ( সহ শিক্ষক ) এক লক্ষ টাকা প্রদান করেন। পরে ৪নং ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড এর সদস্য দীপায়ন খীসার সহযোগীতায় পাকিস্তান আমলের জরাজীর্ণ বিহারটির উন্নয়নের কাজে হাত দেন বিহারের সভাপতি। তিনি জানান, বিহারটির বাকী কাজগুলো সম্পুন্ন করতে আরো দুই লক্ষ টাকার প্রয়োজন। ইতিমধ্যে বিহার এর উন্নয়নে যারা সার্বক্ষনিক খোঁজ খবর নিয়েছেন এবং সহযোগীতা করছেন তাদের মধ্যে সাবেক মেম্বার লতিফ চাকমা, এছাড়াও জেকেন্টু চাকমা, চন্দ্র দাশ খীসা, মনিময় চাকমা, কিরণ চাকমা, মিসেস প্রনতি দেওয়ান, বিখ্যাত দেওয়ান, জীবন্ত চাকমা ও রূপায়ন চাকমা অনেকে। এলাকার যুব সমাজ এবং সর্বস্তরের মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ। বিহারের কাজে যারা শ্রম দিচ্ছেন তাঁদেরও এ সহযোগীতার কারনে বিহারটির উন্নয়ন কাজ চলছে।

রামহরি পাড়া গ্রামের মহিলা কার্বারী (গ্রাম প্রধান) মিসেস শান্তনা খীসা বিহারটির উন্নয়নে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ধর্মই সকলের নিরাপদ আশ্রয়স্থল। তাই আমরা একসাথেই বিহারটি নির্মাণ করবো।