[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

দুর্গম ম্রো পাড়ায় ডায়রিয়ার প্রকোপ

লামায় শতাধিক আক্রান্ত একজনের মৃত্যু

৫৩

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥

বান্দরবানের লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের দুর্গম মিনতুই পাড়া ও কমপং পাড়া নামে দুইটি ম্রো পাড়ায় ডায়রিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে ডায়রিয়া রোগে ১ জনের মৃত্যু ও শতাধিক শিশু, নারী ও পুরুষ আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার লংক্রাত ম্রো ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এক শিশু মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সোমবার স্থানীয়দের মাধ্যমে রূপসীপাড়া আর্মি ক্যাম্প অবহিত হয়ে বিষয়টি আলীকদম সেনা জোনকে জানায়। পরে আলীকদম সেনা জোনের একটি মেডিকেল টিম সোমবার দুপুরে রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বড় কলারঝিরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প করে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে।

মেডিকেল ক্যাম্পে মিনতুই ও কমপং ম্রো পাড়া সহ আশপাশের মোট ১২৫ জন রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং বিনামুল্যে ঔষধ বিতরন করা হয়। আলীকদম জোনের ক্যাপ্টেন নুরুজ্জামান তুর্যের নেতৃত্বে মেডিকেল টিম এই স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে। এসময় দুইটি ম্রো পাড়ার ৩৩ জন শিশু, ৪৬ জন নারী, ৩৬ জন পুরুষকে চিকিৎসা দেয়া হয়। যাদের ৬০ শতাংশ ডায়রিয়ার রোগী। পাশাপাশি ১০ জন বাঙ্গালী নারী পুরুষ মেডিকেল ক্যাম্প থেকে চিকিৎসা সেবা নেয়।

এদিকে অবস্থার অবনতি হলে দুইটি ম্রো পাড়ার ৩৩ জনকে লামা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যার মধ্যে ২০ জনই ডায়রিয়ার রোগী বলে জানান লামা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ রোবিন। তিনি আরো বলেন, হাসপাতালের আন্তঃবিভাগে ভর্তি রোগীদের নিবিড় চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে মিনতুই ও কমপং ম্রো পাড়ার অধিকাংশ ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়ে সুস্থ হয়ে চলে গেছে। বর্তমানে দুইটি ম্রো পাড়ার ৮ জন ডায়রিয়া রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছে। এছাড়া এখন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা অধিকাংশ রোগী ডায়রিয়া আক্রান্ত। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি।

লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মাইনুদ্দিন মাজেদ চৌধুরী বলেন, হাসপাতালের ইনডোর ও আউটডোরে প্রতিদিন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিতে ভিড় জমাচ্ছেন। গত ১ সপ্তাহ ধরে ডায়রিয়া রোগীর চাপ বেড়েছে। এই মুহূর্তে হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগের ঔষধের কোন সংকট নেই। হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা ৫০টি হলেও অতিরিক্ত রোগী ভর্তি হওয়ায় অনেককে মেঝেতে রেখেও চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে একটি মেডিকেল টিম স্বাস্থ্য সেবা দিতে মিনতুই পাড়া ও কমপং পাড়া গেছে। এদিকে হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীদের সেবা বাড়াতে আরো একটি মেডিকেল টিম করা হয়েছে। দিন-রাত ২৪ ঘন্টা আমাদের স্বাস্থ্য সেবা প্রদান অব্যাহত রয়েছে।

লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তফা জাবেদ কায়সার বলেন, দুর্গম হতে আগত ডায়রিয়া রোগীদের বাড়তি সেবা দিতে বলা হয়েছে। যে কোন সমস্যায় আমরা উপজেলা প্রশাসন পাশে আছি।