আর্য্য মৈত্রী যুব ঐক্য পরিষদ ও বিহার পরিচালনা কমিটির দান অনুষ্ঠান
একমাত্র ধর্ম দ্বারাই ইহকাল ও পরকাল হবে শান্তির পথ; ভদন্ত পন্থক মহাস্থবির
॥ মিলটন বড়ুয়া ॥
নববর্ষ উপলক্ষ্যে বিশ্বের সকল প্রাণীর সুখ ও মঙ্গল কামনায় নানিয়ারচর উপজেলার ৪নং ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের জুরাছড়ি বেনুবন অরণ্য কুঠিরে মহাসতিপট্ঠান সুত্র ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্য্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও এ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে উপাসক-উপাসিকাদের দেয়া বিভিন্ন দানীয় সামগ্রী দান সহ অষ্টপরিস্কার দান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। গত শুক্রবার (২২এপ্রিল) জুরাছড়ি বেনুবন আর্য্য মৈত্রী যুব ঐক্য পরিষদ ও বিহার পরিচালনা কমিটি কর্তৃক আয়োজিত এ মাঙ্গলীক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এতে রাঙ্গামাটি শহরের সুকতা চাকমা ৪ফুট উচ্চতার (বুদ্ধ মূর্তি, সীবলী ও উপগুপ্ত ভান্তের মূর্তি) তিনটি বুদ্ধ মূর্তি দান করেন। এবং সংঘদান অষ্টপরিস্কার দান, হাজার বাতি দান রাজবন বিহারের বিশ্ব শান্তি পেগোডার জন্য অর্থ দান সহ নানাবিধ দানঅনুষ্ঠানে নিশা চাকমা (মুনিক্কো) সঞ্চালনা করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত জুরাছড়ি বেনুবন আর্য্য মৈত্রী যুব ঐক্য পরিষদ এর পক্ষ থেকে ভদন্ত সত্য প্রেম মহাস্থবির ভান্তেকে প্রথমে ক্রেষ্ট দিয়ে সম্মাননা জানান যুব পরিষদের সভাপতি যুবন্ত চাকমা, বেনুবন অরণ্য কুঠিরের বিহার অধ্যক্ষ ভদন্ত পন্থক মহাস্থবির ভান্তেকে ক্রেষ্ট প্রদান করে সম্মাননা জানান পরিষদের উপদেষ্টা ও তক্ষশিলা বৌদ্ধ যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি তন্টু বিকাশ চাকমা, রাষ্ট্রপাল স্থবির ভান্তেকে ক্রেষ্ট দিয়ে সম্মাননা জানান ৪নং ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের মহিলা সদস্য মিসেস রমিতা চাকমা, এছাড়াও ভদন্ত বিমল স্থবির ও সুদর্শন স্থবির ভান্তেকেও ক্রেষ্ট দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়।
পরে এক ধর্মদেশনায় ভদন্ত পন্থক মহাস্থবির বলেছেন, এ বিহারটি একটি ধর্মীয় তীর্থস্থান এখানে ৫৪ফুট উচ্চতার একটি বুদ্ধমূর্তি নির্মাণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন বৌদ্ধ, মুসলিম, হিন্দু ও খ্রীষ্টান যার যার ধর্ম সঠিকভাবে পালন করা হলে বিশ্বে সুখ শান্তি বয়ে আসবে। তাই মানুষের ধর্ম পালনেরও কোন বিকল্প পথ নেই। একমাত্র ধর্ম দ্বারাই ইহকাল ও পরকাল হবে শান্তির পথ। তিনি বিহারের উন্নয়নে কাজ চলমান রাখবেন বলেও উল্লেখ করেন।
রাজবন বিহারের ভদন্ত সত্য প্রেম স্থবির বলেছেন, জুরাছড়ি আর্য্য মৈত্রী যুব ঐক্য পরিষদ ও বিহার পরিচালনা কমিটি ধর্মীয় ও নানাবিধ দান অনুষ্ঠান আয়োজন করে ভালো কাজ করেছে। সবাই একতাবদ্ধ হয়ে ধর্মীয় এবং সামাজিক কাজ করলে সকলেই মঙ্গল হবে।
আয়োজিত মহতি এ দান অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে হাজারো পূর্ণার্থী দায়ক-দায়িকা, উপাসক-উপাসিকাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রত্যেকের সুখ-শান্তির জন্য জুরাছড়ি বেনুবন আর্য্য মৈত্রী যুব ঐক্য পরিষদ ও বিহার পরিচালনা কমিটি এ ধরনের মাঙ্গলিক কাজ সকলের সহযোগীতায় চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।