[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

রাঙ্গামাটির বরকলে ভূমি ও গৃহ প্রদান বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং

১০৯

॥ বরকল উপজেলা প্রতিনিধি॥ 

রাঙ্গামাটি বরকলে মুজিবর্ষ উপলক্ষে উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ৩য় পর্যায়ে গৃহ ও জমি প্রদানের বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করা হয়েছে। রবিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে উপজেলা প্রশাসন এর উদ্যোগে বরকল প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের নিয়ে উপজেলা পরিষদের কনফারেন্স কক্ষে এ প্রেস ব্রিফিং আয়োজন করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুয়েল রানা প্রেস ব্রিফিং এ বলেন, বরকল উপজেলা একটি দুর্গম ও পাহাড়ি উপজেলা। এ উপজেলার একমাত্র যাতায়াত মাধ্যম নদী পথ। এ উপজেলায় ৫টি ইউনিয়ন যথাক্রমে সুবলং, বরকল, আইমাছড়া, ভূষণছড়া ও বড় হরিণা ইউনিয়ন। বলতে গেলে উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়ন দুর্গম। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার বিচক্ষণতায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য যখন থেকে প্রকল্প গ্রহণ করেন তখন থেকেই এ উপজেলার মানুষের মাঝে ভূমিহীন ও গৃহহীন হিসেবে ঘর পাওয়ার আকুলতা লক্ষ্য করা যায়। এ প্রেক্ষিতে উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১ম পর্যায়ে ১৯ টি ঘর ও জমি পায় বরকল উপজেলার ১৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। তার ঘর পেয়ে ভীষণ খুশি ও তাদের পারিবারিক মর্যাদা ও স্বচ্ছলতা বেড়েছে। কেননা তাদের আর ঘর নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হয় না। বর্তমানে চলমান ৩য় পর্যায়ে গৃহ নির্মাণের ক্ষেত্রে উপজেলার টাস্কফোর্স কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মোট ৬০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের ঘর নির্মাণের প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছিল। প্রস্তাব প্রেরণ পূর্ববর্তী উপকারভোগী যাচাই-বাছাই এর নিমিত্ত কমিটি গঠন করে জনপ্রতিনিধি, প্রথাগত নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ পিআইসি কমিটিকে নিয়ে সরেজমিনে

উপকারভোগীদের ঘর পরিদর্শন ও নির্বাচন করা হয়। যারমধ্যে ১নং সুবলং ইউনিয়নে ১৬ টি, ২নং বরকল ইউনিয়নে ১০টি,৩নং আইমাছড়া ইউনিয়ন ১০ টি, ৪নং ভূষণছড়া ইউনিয়ন ২১টি ও ৫নং বড় হরিণা ইউনিয়ন ৩ পরিবার সহ সর্বমোট ৬০টি পরিবারকে নির্বাচন করা হয়।এসব ঘর নির্মাণ কাজ চলাকালীন গুণগত মান ঠিক রাখতে পিআইসি কমিটিকে নিয়ে যথাযথ তদারকির মাধ্যমে কাজ সম্পাদন করা হয়েছে। ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ তথা আশ্রয়ন প্রকল্প মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ উদ্যোগটি অত্যন্ত মহতী ও সৎ উদ্যোগ। এ উদ্যোগকে একটি জনকল্যাণমূলক ইবাদতের সামিল বলে মনে করা হয়। বাস্তবিকপক্ষে বরকলের মতো দূর্গম জায়গায় এসব ঘর নির্মাণ করা সহজ ছিল না। তবে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলে দূর্গমতাকে জয় করে ৩য় পর্যায়ের ৬০টি ঘর নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে। উল্লিখিত ঘরের মধ্যে এ পর্যায়ে আগামী ২৬ এপ্রিল বরকল উপজেলায় মোট ৫৫টি ঘর  প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। এদিন উক্ত ৫৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে নতুন নির্মিত গৃহ ও জমি হস্তান্তর করা হবে বলে প্রেস ব্রিফিং এ জানানো হয়।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিধান চাকমা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণের মহতী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান। আর প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজ আগামী জুন মাসের মধ্যে শেষ হতে যাচ্ছে। তাই ভৌগোলিক অবস্থা মূল্যায়ন করে পার্বত্য এলাকার জনসাধারণের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সত্যিকারের ভালোবাসা রেখে বিশেষ প্রকল্পের সুব্যবস্থার করার সুদৃষ্টি কামনা করেন উপজেলা চেয়ারম্যান বিধান চাকমা।

এসময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিধান চাকমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুচরিতা চাকমা, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মংক্যছিং সাগর, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সুলতান আহমদ সহ জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন।