[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

সুপেয় পানির তীব্র সংকটে মাটিরাঙ্গার হাজাপাড়াবাসী

৬৯

॥ মোঃ আবুল হাসেম, মাটিরাঙ্গা ॥

প্রচণ্ড তাপদাহ আর অনাবৃষ্টির কারণে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় মাটিরাঙ্গার ধলিয়া হাজাপাড়ায় দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির তীব্র সংকট। গ্রামটি মাটিরাঙ্গায় সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দুর্গম পাহাড়ের গহীনে অবস্থিত। যাতায়াত ব্যাবস্থা একেবারেই নেই, শুধুমাত্র ফুটপাত দিয়েই নিজেদের চলাফেরা নিত্যকর্ম সম্পাদন করেন তারা। এ গ্রামে প্রায় দেড় শতাধিক ত্রিপুরা সম্প্রদায় দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস। দূর্গম হবার দরুন এলাকায় গভীর নলকুপ বা টিউবওয়েল স্থাপন করা সম্ভব না হওয়ায় বছরের পর বছর তাদের খাবার পানির সংকটে পড়তে হয়। ভূগর্ভস্থ পানির অতিমাত্রায় ব্যবহারের ফলে পানির স্তর নীচে নেমে গেছে বলে ধরনা করেন অনেকে। সংকট নিরসনে কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের সহযোগীতা চান স্থানীয়রা।

গ্রীষ্মের খরতাপে এ এলাকায় প্রতিবছর তীব্র সুপেয় পানির সংকট দেখা দেয়। পানি সংগ্রহে দুর দূরান্তে ছুটছেন ভুক্তভোগীরা পার্শ্ববর্তী ছড়া বা ঝিড়ি থেকে পানি নিয়ে আসেন সবাই। শুষ্ক মৌসুমে যেটুকু পানি ঝিড়ি, কুপ বা ছড়ায় জমাট অবস্থায় পাওয়া গেলেও সেসব খাবার অযোগ্য। এছাড়াও এ এলাকার পানি লবনাক্ত। ফলে এই অপরিছন্ন ও লবনাক্ত পানি পান করে প্রতিবছরের ন্যায় এবারেও ডায়েরিয়াসহ নানা অজানা রোগে আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে জনস্বাস্থ্য। এলাকাটি অতি দূর্গম ও যাতায়াত ব্যাবস্থা না থাকায় এ এলাকায় সরকারি কোন উন্নয়ন পৌঁছানো সম্ভব হয় নি।

মাটিরাঙ্গার ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ধলিয়া হাজা পাড়ায় মেম্বার শান্তিময় ত্রিপুরা জানান, প্রতি বছর মার্চ ও এপ্রিল এই দুই মাসে এসব দুর্গম এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট ভয়াবহ রূপ নেয়। পানির কোন স্থায়ী ব্যাবস্থা না নেয়ার দরুন এবারও এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র পানির সংকট। ফলে চরম ভোগান্তিতে এলাকাবাসি।  তিনি আরো বলেন, তীব্র বিশুদ্ধ পানি সংকট দেখে নিজ উদ্যোগে এলাকায় মাসে দুইবার করে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের কাজ করছি। এ ব্যাপারে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পাশাপাশি পার্বত্য জেলা পরিষদ যদি কাজ করে তাহলে পানির কষ্ট কিছুটা লাঘব হবে বলে তিনি মনে করেন।

প্রত্যন্ত অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় সরকারী উন্নয়ন কর্মকান্ড গুলো সহসা পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না বলে মন্তব্য করে, মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেমেন্দ্র ত্রিপুরা বলেন, প্রথমত পর্যায়ক্রমে এসব এলাকায় যোগাযোগ ব্যাবস্থার উন্নতি করতে হবে এতে করে বঞ্চিত সেবাখাতগুলো প্রসারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।