[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

ঝিরির পানিই যাদের একমাত্র ভরসা

৮৯

॥ মোঃ ইসমাইল হোসেন, মানিকছড়ি ॥

বাড়িতে মেহমান এলে বেশির ভাগ মানুষই খুুশি হয়। তাছাড়া সাধ্যানুযায়ী আপ্পায়নও করতে কোনো প্রকার কার্পণ্য করে না কেউ। তবে ব্যতিক্রম দেখা যায় খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি জনপদ আগা ওয়াকছড়ি এলাকায়। প্রায় পাঁচ-সাত কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় চল্লিশ পরিবারের বসবাস। প্রতিটি টিলার প্রাদদেশে বসবাসরত আছেন তারা। আর সকলে পানির চাহিদা মেটান তারা একটি ঝিরি থেকে। ঝিরির ময়লা আবর্জনাযুক্ত পানি গরু, ছাগল ও মানুষের রান্নাবান্না ও খাওয়ার কাজে ব্যবহার করে থাকেন। একটি ঝিরিই যেন ঐ পাড়ার লোকে একমাত্র ভরসা!

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুর্গম এ জনপদের বেশি ভাগ পরিবারের বসবাস ছন ও বাশের তৈরি ঘরে। কারে ঘরে চালা নেই, আবার কারো বেড়া নেই। আবার কারো ঘরের চালা থেকে বিশাল আকাশ দেখা যায়। রাতের বেলা আকাশের তারা গুনতে পারেন তারা। মানিকছড়ি উপজেলার জামতলা থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে গুইমারা উপজেলাধীণ আগা ওয়াকছড়ি পাড়া। বিশাল জনপড়ে বসবাসরত অর্ধশতাধিক পরিবারের নেই কোনো ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা। শুকনা মৌসুমে মোটরসাইকেল যোগে আসা-যাওয়া করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে হেটেই আসা যাওয়া করতে হয় তাদের। বর্তমান সরকারে আমলে সারা দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও সেখানকার জনপদের কোথাও কোনো সরকারি উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। কারো ভাগ্যেই জোটেনি সরকারি কোনো ঘর।

এরাকার পাইম্রাউ মারমা জানান, অভাব অনটনের কারণে ঠিক মত তিন বেলা খাবার জোগাড় করাই কঠিন। এলাকায় তেমন কাজ-কর্মও নেই। পরিবার পরিজন নিয়ে বসাবার করাই কঠিন। তার উপর পানির কষ্টে এলাকা ছাড়তে মন চায়। কেননা একমাত্র ঝিরিই তাদের পানি সরবরাহের ভরসা। সেখান থেকে গরু-মানুষ সকলেই পানি খেয়ে থাকি।

এলাকার আরেক বাসিন্দা অংহ্লাপ্রু মারমা জানান, বাড়িতে মেহমান এলে সবাই আনন্দ লাগে। কিন্তু এই এলাকার মানুষের আনন্দ লাগে না। কেননা ভালো-মন্দ খাওয়াতে আগ্রহ থাকলেও, পানি দিতে মন চায় না। কেননা পানির কষ্টে আর ভালো লাগে না।

উপালী বুদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি জানান, বিহারের পার্শবর্তি ৫-৭ পরিবারের লোকজনের পানির চাহিদা মন্দিরের টিউবওয়েল থেকে মেটালেও বাকিদের একমাত্র ভরসা একটিমাত্র ঝিরি। তাই রাস্তা-ঘাট উন্নয়নসহ সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত এলাকবাসী দুর্বিসহ জীবযাপনের কথা চিন্তা করে প্রশাসন যাতে আগা ওয়াকছড়ি পাড়াবাসীর দিকে সুদৃষ্টি রাখেন।

দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে অচিরেই তাদের সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার আওতায় আনার আশ^াস দিলেন ইউপি সদস্য অগ্য মারমা।

গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুষার আহমেদ জানান, লোকমুখে উপজেলাধীন আগা ওয়াকছড়ি পাড়ার মানবেতর জীবনযাপনের কথা শুনেছি কিন্তু যাতায়াত ব্যবস্থা অনুন্নত হওয়ার কারণে সেখানে যেতে পারিনি। তবে খুব শীগ্রই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে এলাকা পরিদর্শন শেষে সুপেয় পানির ব্যবস্থাসহ যাদের সরকারি ঘর মত আছেন তাদেরকে সরকারি ঘরের ব্যবস্থা করা হবে।