বর্ণিল আয়োজনে আলীকদমে উদযাপিত হচ্ছে বিষু,বিজু,সাংগ্রাই উৎসব
॥ সুশান্ত কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাঁ, আলীকদম ॥
বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টি সম্প্রদায়ের জনসাধারণ পুরাতন বছরকে বিদায় আর নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে শুরু করেছে নানা কর্মসুচী।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) সকালে আলীকদম উপজেলার মাতামুহুরী নদীর তীরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টির তঞ্চঙ্গ্যাঁ ও চাকমা সম্প্রদায়ের তরুণ তরুনীরা পানিতে ফুল ভাসিয়ে শুরু করে ফুল বিঝু উৎসবের। এসময় বিভিন্ন পাড়া ও গ্রামের তঞ্চঙ্গ্যাঁ ও চাকমা সম্প্রদায়ের তরুণ তরুনী ও যুবক-যুবতীরা একত্রিত হয়ে পানিতে ফুল ভাসিয়ে পুরাতন গ্লাানি মুছে ফেলে নতুন বছরকে স্বাগত জানায়। পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর এই আনন্দ এখন বইছে পুরো উপজেলার আনাছে কানাছে ।
তঞ্চঙ্গ্যাঁ ও চাকমা সম্প্রদায়ের বিশ্বাস আদিকালে এক প্রেমিক যুগল এই ঘিলা খেলা খেলে তাদের ভালোবাসা পরিপূর্ণ করেছিল, আর এই বিশ্বাস থেকেই তঞ্চঙ্গ্যাঁ ও চাকমা সম্প্রদায়ের প্রতিবছরই এই ঘিলা খেলায় মেতে ওঠে। ঘিলা খেলা হলো জঙ্গলি লতায় জন্মানো এক প্রকার বীজ। এই বীজ দিয়ে তঞ্চঙ্গ্যাঁ ও চাকমারা খেলা করে।
তঞ্চঙ্গ্যাঁ ও চাকমা সম্প্রদায় বিশ্বাস করে, ঘিলার লতার ফুল থেকে এই বীজের জন্ম আর পৃথিবীতে যারা জন্ম গ্রহন করে তারাই এই বীজ দেখতে পায়। আর বীজের ব্যবহারে অপদেবতা সহ সকল দু:খ চলে যায়, আর নিজ নিজ পরিবারে সুখ শান্তি নেমে আসে, তাই প্রতিবছর বিঝুর দিনে তঞ্চঙ্গ্যাঁ ও চাকমা সম্প্রদায়ের পুরাতন বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরের আগমনে এই ঘিলা খেলার মাধ্যমে সুখ শান্তির প্রত্যাশা করে।
এছাড়া আরো বিভিন্ন অনুষ্টানের মাধ্যমে আলীকদমে বসবাসরত তঞ্চঙ্গ্যাঁ,চাকমা,মারমা ম্রো ত্রিপুরা সম্প্রদায় পুরাতন বছরকে বিদায় আর নববর্ষকে বরণ উদযাপন করবে। আগামী ১৬ এপ্রিল নানা ধর্মীয় অনুষ্টানের মধ্য দিয়ে এই আয়োজনের সফল সমাপ্তি ঘটবে।