[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানের লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর বেহাল দশা, মাত্র ২ জন চিকিৎসকবাঘাইছড়িতে বায়তুশ শরফ মাদ্রাসায় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণগৌতম বুদ্ধ ২৫৬০ বছর আগে জগতে আবির্ভূত হয়েছিলেনহৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জসিম মারা গেছেনখাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়িতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ (মূল) দলের সদস্য আটকখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বোরো ধানের বাম্পার ফলনলুটেরার দল আচমকা গন্ডোগোল আবোল তাবোল দল বাঁধাইয়া হগ্গল হাতাইয়া নিতে গোল পাকাইয়াছে, চিন্তায় আছি….দিন-মাস বছর ধরেই অবৈধ দখলে সংকুচিত কাপ্তাই হ্রদ, মুক্ত করতে হবেদেশে বর্তমানে যথেষ্ট খাদ্য মজুদ রয়েছে: উপদেষ্টা আলী ইমামমানুষের জীবন-কর্ম জ্ঞান, মৃত্যু, পুনঃর্জন্ম সবকিছুই ন্যাচারাল: পার্বত্য উপদেষ্টা
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

চিকিৎসক টিমের সদস্যরাই বাচ্চাটির দায়িত্ব নিলেন

কাপ্তাই চন্দ্রঘোনা হাসপাতালে জন্মের পর সন্তানকে ফেলে চলে গেল মা-বাবা

৪৬

॥ কবির হোসেন, কাপ্তাই ॥

চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালে অস্বাভাবিক একটি শিশু জন্ম নেওয়ায় পর হাসপাতালে ফেলে চলে গেলেন মা-বাবা। ঘটনাটি ঘটেছে রাঙ্গামাটি কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালে। গত (২৮ মার্চ) বিলাইছড়ি উপজেলার ৩নম্বর ফারুয়া ইউনিয়নের ধোপাছড়ি গ্রাম হতে এক গর্ভবতী মহিলা রাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়। এবং ওইদিন রাত সাড়ে ৯টায় সিজারের মাধ্যমে অস্বাভাবিক ভাবে একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। জন্মনেয়া শিশু মাথা অস্বাভাবিক মোটা, ঠোঁট আর তালু কাটা। চিকিৎসা ভাষায় যাকে বলে হাইড্রোক্যাফালাস, ক্লেপ্ট লিফ ও ক্লেপ্ট পেলেট।

জন্মের পরই শিশুটিকে হাসপাতালের নার্সিরাতে রাখা হয়। তাঁর এ অস্বাভাবিকের কথা শুনে তাঁর পিতা মাতা একটি বারের জন্যও তাঁকে দেখতে আসেননি। বরং সন্তানকে নিতে অস্বীকৃতি জানান পিতা-মাতা। তারা চিকিৎসকদেরকে জানান এ বাচ্চা দেখলে তাদের অকল্যান ও অমঙ্গল হবে। শিশু জন্মের ৪ দিন পরও তার মা হাসপাতালে তাঁর নিজের চিকিৎসা নিলেও পাশাপাশি ওয়ার্ডে থেকেও তাঁকে একটিবার দেখতে যায়নি। এবং গত ১ এপ্রিল বাচ্চাটির মা হাসপাতাল ত্যাগ করে নিজ গ্রামে চলে যায়।

এ অবস্থায় এগিয়ে আসেন চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালে কর্মরত বিদেশী চিকিৎসক টিম সদস্যরা। হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ প্রবীর খিয়াং জানান, এ ঘটনা জানার পর বিদেশী চিকিৎসক টিমের সদস্যরা হাসপাতালে বাচ্চাটিকে দেখতে আসেন এবং বাচ্চাটির দায়িত্ব নেন। জন্মের দিন সরারাত শিশুটিকে কোলে নিয়ে বসে থাকেন চিকিৎসক দলের এক গৃহীনি সারা নুল। এ দলের অন্যতম চিকিৎসক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ আমেরিকার চিকিৎসক ডাঃ এলিজাবেথের তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে।

হাসপাতালের ৭ নং ক্যাবিনে ডাঃ এলিজাবেথ তাঁর চিকিৎসা দিচ্ছেন। তিনি জানান, অত্যন্ত মানবিক কারনে আমরা তাঁর দায়িত্ব নিয়েছি। ইতিমধ্যে তাঁর অপারেশনের জন্য আমরা পরীক্ষা নীরিক্ষা করেছি। রিপোর্ট হাতে আসলে আমরা অপারেশনের ব্যবস্থা করবো। এটা একটি জটিল অপারেশন। তবে তিন মাসের আগে এ চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব না। আমরা আশা করছি অপারেশনের পর শিশুটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারে।

ইতিমধ্যে হাসপাতালের নার্সদের মাধ্যমে জানা যায়, শিশুটির দায়িত্ব নিতে হাসপাতালে ছুটে আসেন চট্টগ্রামের ব্যাটারি গলির মিনু বারিকদার। তিনি নিজে সন্তানের মত শিশুটিকে লালন পালন করবে বলে হাসপাতাল কতৃপক্ষকে জানান।