[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
সীমান্তে পুশইন ও চোরাচালান ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বাঘাইহাট বিজিবিলংগদু উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবির টহল জোরদার: লে. কর্ণেল নাহিদ হাসানরাঙ্গামাটিতে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক আটকপুশইন ও চামড়া পাচার রোধে রামগড় ৪৩ বিজিবির নিরাপত্তা জোরদাররাজস্থলীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালনচামড়া পাচার ও সীমান্ত দিয়ে পুশইন ঠেকাতে বিজিবি টহল বাড়িয়েছেমাটিরাঙ্গা সেনা জোন কর্তৃক ঈদ উপহার ও মানবিক সহায়তা প্রদানউন্নয়ন কর্মকান্ডে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের প্রশ্রয় দেওয়া হবে না: বিজিবি রাজনগর জোন কমান্ডারবান্দরবানের লামা হাসপাতালে প্রথম সাপে কামড়ানো রোগীকে বাঁচালো চিকিৎসকদুর্যোগকালীন ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১০আরই ব্যাটালিয়নের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

স্বাস্থ্য খাতে মানুষের কল্যাণেই যে যার অবস্থান থেকে সেবা-উন্নয়ন করে যেতে হবে

৩৬

অবশেষে রাঙ্গামাটি স্বাস্থ্য বিভাগে একসঙ্গে নতুন যোগ দিলেন ৭৫জন চিকিৎসক। মানুষের বহু দিনের দাবি এবং প্রত্যাশার আরো একধাপ পুরণ হলো। জেলা উপজেলার মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লে এখন আগের চেয়ে দ্রুত চিকিৎসাও পাবেন। যোগদানকৃত সকল চিকিৎসকই ৪২তম বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার। জেলার নানান শ্রেণী পেশার মানুষের কষ্ট লাঘব হবে। ঐতিহাসিক ৭মার্চ এর দিনেই যোগদানকৃত সকল চিকিৎসকদের সংবর্ধনা দিয়েছেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ এবং স্বাস্থ্য বিভাগ। যারা সংবর্ধনা দিয়েছেন আর যারা সংবর্ধিত হয়েছেন তাদেরও প্রত্যেকের কল্যাণের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে সকলের।

সরকারের ঐকান্তিক সদিচ্ছায় রাঙ্গামাটি জেলায় ৭৫জন চিকিৎসক যোগদান করায় জেলার স্বাস্থ্যখাতে গুণগত পরিবর্তন হবে বলে অনেকেরই আশা। স্বাস্থ্য বিভাগে একাধিক সমস্যা থাকলেও স্থানীয় পর্যায়ে জেলা পরিষদের উদ্যোগে সেসমস্ত সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ে ডাক্তারদের আবাসন সমস্যা, নার্স, স্বাস্থ্য সহকারি এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মী সংকটের বিষয়গুলো ওঠে এসেছে। সমস্যাগুলো যেন দ্রুততার সাথে সমাধান হয় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হোক এ প্রত্যাশাও মানুষের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের দোড়গোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য কাজ করে চলেছেন। কভিড-১৯ চলাকালীন সময়ে জেলা উপজেলার মানুষের মাঝে আতংকের মধ্যে ছিল তবে কম হলেও চিকিৎসকদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। শুধু চিকিৎসক নয় স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নার্স, স্বাস্থ্য কর্মী, স্বাস্থ্য বিভাগীয় কর্মচারী সকলের ঐকান্তিক চেষ্টা এবং পরিশ্রমে সে আতংকের দিনগুলো কাটথে সক্ষম হয়েছে। যোগদানকৃত চিকিৎসকরা রাঙ্গামাটি স্বাস্থ্য বিভাগের অতীতের সাফল্যকে আরো বলিষ্ট ভুমিকা রাখতে ইতিবাচক হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের মধ্যে রাঙ্গামাটিকে মাদার ডিস্ট্রিক্ট বলা হয়। পার্বত্য চুক্তির পর রাঙ্গামাটিকে অন্য দুই জেলার চেয়ে বেশী গুরুত্ব দিয়েছেন মন্ত্রী এমপিরাও। তাই রাঙ্গামাটির অনেক সেক্টরে মানুষের কল্যাণে নানান পদক্ষেপ নিয়েই উন্নয়ন এগিয়েছে। তবে নানান জটিলতার কারনে জেলা উপজেলার মানুষের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে কিছুটা দুরত্বও রয়েছে। এখানে প্রচলিত রয়েছে ডাক্তাররা এ জেলা উপজেলায় যোগদান করলেও পরে নানান তদবির করে স্থান ত্যাগ করেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর আদেশ এর পর অনেকেই রাঙ্গামাটিতে বদলী হয়ে আসলে যাবার তেমন সুযোগ নেই। আবার অনেকে আসার পর বলতে শোনা গেছে অক্সিজেনের ভান্ডারে এসেছেন। আবার কেউ কেউ বলেছেন একসময়ের দমবন্ধের ভান্ডার এখন আর নেই। কিছু কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা মানুষকে নানান চিন্তায় ফেললেও সেটিও অল্পতেই কেটে যায়। যাই হোক মানুষের কল্যাণেই যে যার অবস্থান থেকে সেবা-উন্নয়ন করে যেতে হবে। আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যার যার অবস্থা-অবস্থান হোক কল্যাণ এবং উন্নয়ন। বিশেষ করে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল তথা দুর পাল্লার মানুষের যাহাতে কষ্ট না হয় সে দিকেই সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে কেননা তারাই সব চেয়ে অবহেলার শিকার।