[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

যা মনে হইতেছে এই খড়া মৌসুমে হেইখানের বহু পাহাড়ের জেঠা-জেঠিগোর গলায় বড়াও আটকিয়া যাইবে

৮২

ক্রিং ক্রিং, এ্যঁ…লো, কি গো জেঠা তুমি ঠিক আছোতো, গত সপ্তাহের খবরাখবর লইয়া তোমাগোর দরবারে-দরবারে, টেবিলে-টেবিলে কারেন্ট হাজির হইয়াছি। আমাগো শেখ হাসিনা জেঠি ব্যাটা করোনার টুঁটি চাপিয়া ধরিয়াছে। এই বজ্জাতের হাড্ডি গোটা পৃথিবীর জেঠা-জেঠির অস্থিমজ্জাও চুষিয়া খাইতেছে। লাখ লাখ জেঠা-জেঠিগোর জীবন সাঙ্গ করিয়া বন্ধন ছিন্ন করিয়াছে। এইবার নাকি জোট বাধিঁয়াছে ওমিক্রন। তার মইধ্যে সমাজের দু¯ৃ‹তকারী, ধর্ষক, বখাটে, ইভটিজার, লুটপাটকারী, মাদক বিক্রেতা, টেন্ডারবাজ, তেলবাজ, অস্ত্রবাজ, দালালবাজ, ভুমিদস্যু, চাঁপাবাজগোর বিষয়ে দু-চারটি কথা লিখিয়াই যাইতেছি। ভাই পো-রে, আইন আছে, কঠোর দমন নাই, নিপীড়ণ, নির্যাতন, বিতারণ আছে ভালো শাসন নাই। পাহাড়ের চুড়ায়, খাদে, চিপায়, নালায়, ঝিড়িতে, হ্রদের ধারের অভাগা জেঠা জেঠিরা কোন দুনিয়ায় তাইনেরা বসবাস করিতেছে বলিয়া খালি আপুত্তি-বিপত্তি। আমি জেঠাও সর্ব বেকায়দায়। ভক্তরাও খালি কহেন অ-জেঠা আমরা বাঁচি, মরি আর ঝুলিয়া থাকি আপনে অন্তত ভালা থাকিবেন। ঐ জেঠা জেঠিগোরে কি বলিব আমিও বিপদ সামলাইতেই পারিতেছিনা। বুড়ো বুড়িরাই কহিত যে নাকি সহে সে নাকি বরকত পাইয়া থাকে। বহু হর্তাকর্তা আইজ দিতাছি কাইল দিতাছি বলিয়া চড়কার মতন ঘুরাইতেছে, আবার দুই চাইর কলম লেখিলেই খালি কহেন অ জেঠা, গা তো পোড়াইতেছে। আমিওযে পুড়িয়া মরিতেছি, সইতেও পারিতেছি না, বরকতও পাইতেছি না, কিছু বলিতেও পারিতেছিনা, জমাজাটিও করিতে পারিতেছিনা, খালি চিন্তা, আর চিন্তা….

ভাই পো-রে পুরানে বুড়ো-বুড়িরা কহিতো ওজন বুঝে ভোজন দে, মন বুঝে ধন দে, লা-আ-ভ বুঝে ঝাঁপ দে। এক দিকে জেঠা জেঠিগোর ঠেলাগুতো অন্য দিকে ভাই পো আর জেঠা-জেঠিগোর ওয়েটিং, এইসব চিন্তা লইয়া অধিক সময় চোখের পাতা রাইতেও খাড়াইয়া থাকে। আবার ফিজিসিয়ান কহিলেন জেঠির প্রেসার নাকি এখন হাই, তয় তাইনের চিল্লা-ফাল্লাও হাইফাই। আমি কি সমাজের জেটা জেঠিগোর সুখ দুঃখের বয়ান লিখিব নাকি জেঠিরে সামাল দিব ঐ হিসাবও মিলাইতে পারিতেছি না। প্রতিদিনই ভোর সকালেও দেখি জেঠি বুকে হাত দুইখান লইয়া ঘুমের ঘোরেও যেন জেঠারে ঘায়েল করিতে পরিকল্পনা করিতেছে। জেঠাও হ¹ল মানুষ-আমানুষগোর খবরাখবর লইয়া বাড়ি ফিরিলেও রাইতে তাইনের সেবাও করিতে হইতেছে। আবার বহুত জেঠা-জেঠি কহিলো তাইনেগোরে নাকি প্রেসক্রাইব করিতে, জেঠি হইতে কিভাবে রক্ষা পাওন যায়। এই হইলো কাটা ঘা’এ নুন ছিটানো। আরে জেঠার নিজের প্রেসক্রাইব কারে জমা করিবো হেই চিন্তা লইয়া উপর ওয়ালার দেয়া ব্ল্যাক চুল হোয়াইট হইতেছে তার মইধ্যে জেঠা-জেঠিগোর যত তালিমালি। রাইতে জেঠিরে দুই চাইর কথা শুনাইয়া দিলেই পেট্রোল বোমার মতন ঢাস ঢাস করিতে করিতে জীবনটারে ঠাঁসা বানাইয়া দেয়। হেই সময় মনে হয় লাইফটা রেস্টুরেন্টের পরটার মতন হইতেছে। সকালে বিছানা ছাড়িতে দেরি। পাহাড় পর্বতের মানুষ অ-মানুষগোর সুখ দুঃখের বয়ান উত্তাপন করিতে হিমশিমও খাইতেছি। করোনা-১৯তো কারো কথাই হুনিতে চাহে না। বহু ভাইরাসের মানবতা কিছুটা থাকিলেও এই ভাইরাসের দেখি মানবতার মা-ও নাই, বাপও নাই। আবার কুঞ্জ হইতে বাহির হইলেই ভাইপোগোর নজরবন্দি, তার মইধ্যে বিনা বেতনে চাকুরী ব্যাটা ছোট্ট জেঠার পাঠশালায় কামিং গোইং আপাতত শুরু। বেকার এই ছোট্ট জেঠাও দেখি করোনার বান লইয়া খালি প্রশ্নের রান করিতে ওস্তাদ, বায়না ধরে জঙ্গল দেখিবো, পাহাড়-নদী-নালা দেখিবো, আমি জেঠা যে কোন খানে লুকাইবো, খুবই চিন্তায় আছি… যাউ¹া…

মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এবং হ¹ল শহীদদের জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। বীরের জাতি, সমাজ, পাড়া-মহল্লার হ¹ল জেঠা-জেঠিরে জানাই স্বাধীনতার শুভেচ্ছা। বহু ত্যাগ আর প্রানের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতারে হ¹ল সময় স্মরণ করিয়া চলনের দরকার। উন্নয়ন আর দেশের জেঠা জেঠির কল্যাণে একে অন্যের বিপদ আপদে খেয়াল রাখনের দরকার। অন্যের কল্যানের চিন্তায় যাঁর ত্যাগ তাইনেই স্বাধীনতার রক্ষক হইবেন।

দহ জেঠা কহিলো, খাগড়াছড়ি পাহাড়ে সতের বছরের এক কিশোরী মারে ধর্ষণ করনের দায়ে আমাগো আদালত দুইজনরে যাবৎজীবন কারাদন্ড লগে দশ লক্ষ টাকা করিয়া জরিমানাও করিয়াছেন। বিরাকি রায়ের টাইমে আদালতে আসামী রেজাউইল্লা আর সাবু মিয়া উপস্থিত আছিল। ধর্ষণের শিকার ঐ কিশোরী জেঠি পরে লজ্জা শরমে নিজের শরীলে আগুন দিয়া আত্মহত্যা করিয়াছে। গেল বিশুধবার দুপুরে জেলার নারী নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এই কঠিন রায় ঘোষনা করিয়াছেন। কথা হইলো আমাগো দেশে যেইভাবে নারী ধর্ষণের শিকার হইতেছে পত্রপুত্রিকা ওপেন করিলেই চোখে পড়ে। এই দুই ধর্ষক জেঠারে ঝুলাইয়া দেওনের রায় করিলে ভালা হইতো, চিন্তায় আছি…

আথি জেঠা কহিলো, আমামীলীগের যইন সেক্রেটারী হানিফ জেঠা আভিযোগ করিয়াছেন মেজর জিয়া পারবইত্য চট্টুগেরামে আশান্তীর বীজ লাগাইয়াছিল। তাইনের কারনে মহা অশান্তির মইধ্যে পাহাড়ের মানুষ। আমাগো শেখ হাসিনা বহুত কষ্টে চুক্তি করিয়া শান্তি আনিয়াছেন। এখুন বহুতে আমামীলীগ না করিতে বাঁধা হুমকী দেখাইতেছে, নেতাকর্মীরে হত্যা করিতেছে। গেল সমবার মরনিংএ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টী ইনষ্টিটিউট মাঠে জেলা আমামীলীগের তৃণমুল প্রতিনিধি সভায় তাইনে এই আভিযোগ করিয়াছেন। আমাগো অবৈধ অস্ত্রধারীগোর উদ্দেশ্যে তাইনে কহিলেন রাষ্ট্রের সহিত সংঘাতে জড়াইয়া যাওনের চেষ্টা করিলে মহা সমস্যা বাড়িয়া যাইবে। অবৈধ অস্ত্রছাড়িয়া স্বাভাবিক জীবনে ফিরিতে হইবে। না হইলে যান মালের নিরাপত্তায় পাহাড়ে কঠিন আভিযানও চালাইবে। কথা হইলো এইসব অবৈধ মারণাস্ত্র পাহাড়ে কারাইবা ঢুকাইতেছে হেইডাও চিহ্নিত করনের রদকার, চিন্তায় আছি…

সুশান্ত জেঠা কহিলেন, পাহাড়ের জিরি ঝর্ণা হুগাইয়া গিয়া বান্দরবনের বহু পাহাড়ী গাঁও গেরামে পানির অভাব দেখা দিয়াছে। গাছের পাতাও ঝড়িতে ঝড়িতে বহুতে বস্তায় ভরিয়া চুলা গরম করিতেছে। ঝিরি ঝর্ণা নির্ভর জলজপ্রাণীরাও ছটফট করিতেছে। ঝিরি ঝর্ণার পানি খাইয়া জীবন ধারনের টাইমও কঠিন হইয়া পড়িয়াছে। তার মইধ্যে ফ্রন্টে আসিতেছে আরো কঠিন চাঁন্দি আর চাম ফাঠার টাইম। হেইখানের চান্দি গরম জেঠা-জেঠিরা কহিলো চোরের দল পাহাড় হইতে পাথর আর গাছ চুরি করিয়া কেনা বেচা করিতে করিতে বন-ঝিরি-ঝর্ণার নির্ভর পানির উৎস কমিতে কমিতে খাওনের পানিও নাই। যা মনে হইতেছে এই খড়া মৌসুমে হেইখানের বহু পাহাড়ের জেঠা-জেঠিগোর গলায় বড়াও আটকিয়া যাইবে, চিন্তায় আছি…

খান জেঠা কহিলো, রাজস্থুলি-বান্দরবানেরসীমানা এলাকায় অবৈধ অস্ত্রধারী প্রতিপক্ষের ব্রাশ ফায়ারে মগ লিবারেশন পার্টির তিন সদস্য পরপারে গিয়াছে। হেই ঘটনা লইয়া হেইখানের নানান পাহাগে অশান্তির চিহ্ন বাড়িয়া গিয়াছে। গেল মঙ্গলবার ঘটনার পর হইতে সেনা-পুলিশ-বিজিবি যৌথ টিম কাজ চালাইয়া যাইতেছে। কথা হইলো যদি আরো আগেভাগে কাজ চালাইতেন তাইলে এই আকাম করিতে সাহস পাইতো না। হেইখানের বহু জেঠা কহিলো মগ পার্টি আমাগো ভিটে মাটিতে কেমনে চলিতেছে। যা মনে হইতেছে পাহাড়ের সীমানার ঘেরা বেড়া আছে নাই অবুস্থা তয় অস্ত্রধারীরা মহা বড়ু বড়ু ফদং দিয়া ঢুকিয়া আকাম করিয়া চিৎপটং করিতেছে। পাহাড়ের শান্তির জইন্য আগে অবৈধ অস্ত্র ঢুকনের ব্যবস্থা বন্ধ করিতে হইবে, না হইলে আরো বহুত অঘটন ঘটিবে, চিন্তায় আছি…

হোসেন জেঠা কহিলো, পারবইত্য চট্টুগেরামের জেলা উপুজিলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখুন আর ছনের ছাউনীর ঘর দেখন যায় না। ঐতির্হ্যের এই হ¹ল ঘর দিন দিন বিলুপ্ত হইতে বসিয়াছে। আধুনিক জগতের দুনিয়ায় এখুন হেই ঐতির্হ্য এখুন সো-পিসের আইটম হইয়াছে। রড সিমেন্টের ঠেলায় ঐতির্হ্যরে ঘর এখন নাই হইতেছে। বাজারেতো কাগুজের মতন টইনও পাওন যায়। তয় এইহ¹ল টইন কাগজের মতনই। কথা হইলো দেশের কিছু কিছু অতীত ঐতির্হ্য ধরিয়া রাখিতে পারিলে ঐতির্হ্যও বাঁচিবে ছন জন্মাইবে, চিন্তায় আছি…

আবার আমাগো মাত্তাল লেদু জেঠা গান চির দিনই তুমি যে তুমার আমি কেন তোন হইতে গেলাম হুম। লেদু কহিলো অপক্ষমতার অধিকারীরাতো রাজনৈতিক লেজুরবৃত্তি করিয়া শহরের অসহায় জেঠা জেঠি বহুতেরে ছেঁচড়াইতেছে। বহুতের ফিরিকশন লাগাইয়া দিয়া চুইংগামের মতন লম্বা করিতেছে। বহুতে নানান কিছিমের আকাম লইয়াও দৌড়াইতেছে। চলিতেছে ইউপিতেও ফটাফাটি। যোগ হইয়াছে মনিকা। লেদু কহিলো খালি জনগনরে ল্যাং মারনের তালে। ক্ষেমতারে ললিপপ ভাবিয়া লুটপাট-সুবিধা চালাইতে বহুতেরে পাঁটায় তুলিয়া ছেঁচিতেছে। লুটেরার দল আছমকা গন্ডোগোল আর আবোল তাবোল দল বাঁধাইয়া হ¹লই হাতাইয়া নিতে গোল পাকাইতেছে। তয় কি ভালোভাসা, বহুতেতো বাসাবাড়িও দখল করিতেছে। যা মনে হইতেছে মাত্তাল লেদু মধু খাইলেও হুঁস জ্ঞান ঠিকই আছে, চিন্তায় আছি…

ভাইপো-রে পার্বত্য এলাকায় আর কতো রকম-বেরকমের কান্ডকারখানা দেখিতে হুনিতে হইবো বুঝিতে পারিতেছিনা। রাজনীতির মাঠতো হঠাৎ করিয়া চুড়ান্ত গরম হইয়া পড়িবে। ঐ গরমে কে পোড়া আর কে আধপোড়া হইবে পাবলিক জেঠারা ডরে ভয়ে দিনাতিপাত করিতেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক জেঠা জেঠি কহিলেন সন্ধ্যার পর অনেকে ডরে ভয়ে স্থান ত্যাগ করিয়াও রাত্রি যাপন করিতেছে। আধিপত্য, চাঁন্দাপত্য, ঘায়েলপত্য, খাদ্যপত্য নানান অপকর্মপত্যর বিস্তার লইয়া কয়েক গ্রুপতো ফটর ফটর করিয়া খালি মানুষ মারিতে ওস্তাদ, ভাই-পো রে খালি দুঃখ আর দুঃখ আমি জেঠাও কখন জেলে ঢুকি এই চিন্তা লইয়া আরো বহুত ঘটনা বাকি থাকিলেও আইজ এই পর্যন্ত লিখিয়া ইতি টানিতেছি, তবুও চিন্তায় আছি….

ইতি-

পা.স.চি.জে.মি.ব.

২৭ মার্চ, ২০২২ খ্রিঃ