বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে মনেপ্রাণে ধারণ করতে হবে: অংসুইপ্রু চৌধুরী
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে মনেপ্রাণে ধারণ করতে পারিনি বলেই পরবর্তীতে ধর্মীয় উগ্রবাদ, সম্প্রদায়গত উগ্রবাদের সৃষ্টি হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে বুকে ধারণ করে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে সামনে এগিয়ে যাবো। বুহস্পতিবার (১৭মার্চ) সকালে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতি বক্তব্যে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী এসব কথা বলেন।
এর আগে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কেক কাটা, আলোচনাসভা ও পুরস্কার বিতরণীর মধ্য দিয়ে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২২ উদযাপন করেছে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ।
এ সময় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাঃ আশরাফুল ইসলাম, পরিষদের সদস্যবৃন্দ, কর্মকর্তা ও হস্তান্তরিত বিভাগের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর মুর্যালে পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে পরিষদের সভাকক্ষে সকলে কেক কাটা, আলোচনাসভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। প্রথমে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষ্যে কেক কাটা হয় এবং পরে সকলে চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় অংশ নেন।
আলোচনাসভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিষদ সদস্য সবির কুমার চাকমা। বক্তব্য রাখেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাঃ আশরাফুল ইসলাম, পরিষদ সদস্য অংসুইছাইন চৌধুরী, সিভিল সার্জন ডাঃ বিপাশ খীসা, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ এবং কৃষি সম্প্রসারণের উপপরিচালক তপন কুমার পাল।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী প্রথমেই ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের যেসমস্ত সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল তাদের সকলের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫২ সাল থেকে পর পর যতগুলো ঐতিহাসিক আন্দোলন হয়েছে সবগুলোর সাথে তিনি গভীরভাবে জড়িত ছিলেন। বাংলাদেশের অভ্যূদয়ের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান অপরিসীম এবং তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি বলেন, আমার এখনো পুরোপুরি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে মনেপ্রাণে ধারণ করতে পারিনি বলেই পরবর্তীতে ধর্মীয় উগ্রবাদ, সম্প্রদায়গত উগ্রবাদের সৃষ্টি হয়েছে। এইসব উগ্রবাদী গোষ্ঠী স্বাধীনতার সময়েও জাতির পিতার ওপর বিভিন্ন অপবাদ দিয়ে স্বাধীনতার সংগ্রামকে নস্যাৎ করার চেষ্টা করেছে। সেসব উপেক্ষা করে আমরা স্বাধীনতা লাভ করেছি। আজকে আমরা বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে বুকে ধারণ করে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে সামনে এগিয়ে যাবো। দেশকে ভালোবাসতে হলে বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে। পরবর্তী প্রজন্মের কাছে জাতির পিতার আদর্শ এবং অবদানকে তুলে ধরতে হবে। তাহলেই আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে একসঙ্গে ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা মুক্ত, দারিদ্র মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবো।
এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২২ উপলক্ষ্যে সরকারি শিশু পরিবারের বালিকাদের রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।