লামায় ৭ম শ্রেণির ছাত্রী নিখোঁজ, থানায় ডায়েরি
॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥
লামায় স্কুলে গিয়ে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি ৭ম শ্রেণির ছাত্রী পূর্ণিমা শীল (১৪)। গতকাল মঙ্গলবার সকালে লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হায়দারনাশী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ স্কুল ছাত্রী পূর্ণিমা শীল হায়দারনাশী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী ও হায়দারনাশী এলাকার সুজন শীল এর মেয়ে।
এদিকে নিখোঁজের পরিবার আশপাশে ও স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে মঙ্গলবার রাতে লামা থানায় পূর্ণিমা শীলের মা লাকী রাণী শীল নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
নিখোঁজ ডায়েরি সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (০৮ মার্চ) সকাল অনুমান ৮টায় পূর্ণিমা শীল (১৪) বাড়ি হতে স্কুল ড্রেস পরে স্কুলের ব্যাগসহ স্কুলের যেতে বের হয়। স্কুল ছুটি হওয়ার পরেও মেয়ে বাড়ীতে ফেরত না আসায় লাকী রাণী শীল স্কুল শিক্ষকসহ তাহার সহপাঠীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। স্কুল শিক্ষকসহ সহপাঠীরা জানান, আমার মেয়ে স্কুলে যায়নি। আমি ও আমার স্বামী আমার মেয়েকে আত্মীয় স্বজনের বাড়ীসহ সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুজি করি। কিন্তু আমার মেয়ের কোন সন্ধান পাইনি। বর্তমানেও খোঁজাখুঁজি অব্যাহত আছে। মেয়েকে না পেয়ে আইনী সহায়তা পেয়ে ও ভবিষ্যতের জন্য অত্র লামা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করি।
নিখোঁজের বর্ণনাঃ উচ্চতা অনুমান ৫ ফুট ১ইঞ্চি, মুখমন্ডল গোলাকার, গায়ের রং ফর্সা, পরণে ছিল-নেভী ব্লু স্কুল ড্রেস ও সাদা পায়জামা, চুলের রং-কালো, সে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা ও চলিত কথা বলে। শারীরিক গঠন-চিকন।
এ বিষয়ে হায়দারনাশী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমায়ন কবির বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে পূর্ণিমা শীলের মা লাকী রাণী শীল মেয়েকে খুঁজতে স্কুলে আসে। গত দুইদিন যাবৎ মেয়েটি স্কুলে আসেনি।
লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, নিখোঁজ স্কুল ছাত্রীর মা লাকী রাণী শীল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে। আমরাও মেয়েটিকে খুঁজছি।