[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
সীমান্তে পুশইন ও চোরাচালান ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বাঘাইহাট বিজিবিলংগদু উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবির টহল জোরদার: লে. কর্ণেল নাহিদ হাসানরাঙ্গামাটিতে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক আটকপুশইন ও চামড়া পাচার রোধে রামগড় ৪৩ বিজিবির নিরাপত্তা জোরদাররাজস্থলীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালনচামড়া পাচার ও সীমান্ত দিয়ে পুশইন ঠেকাতে বিজিবি টহল বাড়িয়েছেমাটিরাঙ্গা সেনা জোন কর্তৃক ঈদ উপহার ও মানবিক সহায়তা প্রদানউন্নয়ন কর্মকান্ডে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের প্রশ্রয় দেওয়া হবে না: বিজিবি রাজনগর জোন কমান্ডারবান্দরবানের লামা হাসপাতালে প্রথম সাপে কামড়ানো রোগীকে বাঁচালো চিকিৎসকদুর্যোগকালীন ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১০আরই ব্যাটালিয়নের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

৩১

রাঙ্গমাটি জেলা শহর এবং উপজেলাগুলোর আনাচে কানাচে বাঁধাহীনভাবেই চলছে নানান প্রজাতের গাড়ি। ফিটনেসবিহীন গাড়ি এবং লাইসেন্সবিহীন চালকরা এসব গাড়ী সড়কে হাঁকালেও এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার যেন কেউ নেই অবস্থা। বিশেষ করে যাত্রী পরিবহনে নিয়োজিত নানান প্রকারের গড়িগুরো যেন বেপরোয়াই। মালিকপক্ষ অনেকেই তাদের গাড়িগুলো ভাড়ায় বা দৈনিক আয়ের ভিত্তিতে সড়কে নামালেও এসব গাড়ির বহু চালকের নেই কোন লাইসেন্সও। যার কারনে সড়কে কোন না কোন দূর্ঘটনা লেগেই রয়েছে। আবার কোথাও কোথাও দূর্ঘটনা হয়ে যাওয়ার পর এসব গাড়ীর চালকদের খুঁজেও পাওয়া যায় না। আবার খুঁজে পাওয়া গেলেও লাইসেন্স না থাকায় ক্ষতিগ্রস্তরা আইনী সহায়তা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন।

দেখা যায় খোদ রাঙ্গামাটি শহরেও একই অবস্থা। শহরবাসীর একমাত্র ভরসা সিএনজি আটো রিক্সা। শত শত এসব গাড়ী চললেও অনেক গাড়ীর নেই ফিটনেস। আবার অনেক গাড়ী চলছে লাইসেন্সবিহীন চালকদের হাতে। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে সুবিধাভোগীরা পিছন থেকে নানান কলকাঠি নাড়িয়ে তাদেরই পকেট ভারী করেই চলেছে। অভিযোগ রয়েছে রাজনৈতিক এসব ছত্রছায়ায় ব্যবহারকারীদের হাতে প্রশাসনও যেন নিরুপায়। তাই ফিটনেসবিহীন গড়ি যেমন চলছে তেমন লাইসেন্সবিহীন চালকরাও তাদের ইচ্ছেমতই গাড়ি চালাচ্ছেন। ঠিক এভবেই জেলার উপজেলাগুলোতেও চলছে। আবার দূর্ঘটনা হলেই এসব চালকদের খুঁজে পাওয়া মুশকিল। অনেকটা নেতা, সমিতি, লাইসেন্সবিহীন চালকদের হাতেই যাত্রী এবং প্রশাসন যেন জিম্মিীই থাকছে। এসব নিয়ে সড়কে যাত্রী ও চালকদের মাঝে নিত্য বাকবিতন্ডাও লেগে রয়েছে।

অপরদিকে রাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলায় বৈধ কাগজপত্রছাড়াই দেদারসে চলছে যানবাহন। নানান প্রকারের যানবাহনগুলো সড়ক আইন না মেনেই যাত্রী পরিবহন করে চলেছে। ফিটনেস বিহীন গাড়ি, অনবিজ্ঞ আর লাইসেন্স ছাড়া চালকের কারনে নিত্য দূর্ঘটনা লেগেই রয়েছে। রাজস্থলী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সড়ক পরিবহন আইনের কোন তোয়াক্কাই করছে না যাত্রী পরিবহন গাড়িগুলোরর চালক মারিকপক্ষ। চলাচলরত অধিকাংশই জীপ, মিনি ট্রাক, টি এস যানবাহনের নেই কোন বৈধ কাগজপত্র। কোনরকম নীতিমালা ছাড়াই এসব গাড়ি উপজেলার বিভিন্ন সড়কে মালামাল নিয়ে চলাচল করছে। তারমধ্যে গাড়ির মালিকরা আবার গাড়ির চাবি তুলে দিচ্ছেন অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের হাতে। ফলে প্রায় সময় দূর্ঘটনা ঘটছে। ফিটনেস এবং লাইসেন্সবিহীন গাড়িগুলোর চালকদের বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর খেসারত দিচ্ছে অনেকে। সড়ক দূর্ঘটনা এড়াতে স্থানীয়রা প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপও কামনা করেছেন।

ঠিক এভাবেই খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান জেলা উপজেলারও একই অবস্থা। গাড়ীর মারিকরা অতি লাভের আশায় পুরাতন গাড়ি কিনে এনে ব্যবসায় নামিয়েছেন। তাঁদের জীপ (চাঁদের গাড়ী) মিনি ট্রাক গাড়িগুলো বিভিন্ন পাহাড়ি সড়কে মালামাল পরিবহন করে চলেছে। এসব গাড়ির কোন বৈধ কাগজপত্রও নেই। কোন রকম বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই এসব গাড়ি চলছেই। তার মধ্যে বহু চালকের নেই লাইসেন্সও। মালিকপক্ষ তাদের গাড়ি থেকে আয়ের আশায় লাইসেন্সবিহীন চালকদের হাতেই তুলে দিচ্ছে গাড়ির চাবি। অথচ দূর্ঘটনা হলে ক্ষতি হচ্ছে সবরাই। আবার কিছু অসাধু চক্র বেশী লাভের আশায় কোন প্রতিষ্ঠান বা মালিকের কাছ থেকে অচল ও পুরাতন গাড়ি কম দামে কিনে নিয়ে পরে সেই মেয়াদহীন ও ফিটনেসবিহীন গাড়িগুলোকে কোন রকম ঘষামাজা করে তার উপরে রঙ লাগিয়ে নতুনের মত চকচকে বানিয়ে ব্যবসার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সড়কে যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের জন্য ভাড়ায় দিচ্ছে। সুতরাং সবক্ষেত্রেই নিরাপত্তার স্বার্থে এসব ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।