গুইমারায় দুই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ
॥ মাইন উদ্দিন বাবলু,গুইমারা ॥
খাগড়াছড়ির গুইমারা সরকারি কলেজে,কলেজ চলাকালীন সময় প্রভাষকের বিরুদ্ধে দুই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। ওই শিক্ষক একই কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক অর্জুন কুমার নার্থ। ভুক্তভোগী ছাত্রী একজন গুইমারা কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী আর একজন ব্যাবসাশিক্ষা ২য় বর্ষের ছাত্রী। গত বৃহস্পতিবার(৩ মার্চ) গুইমারা সরকারি কলেজ অডিটোরিয়ামের ইংরেজি ক্লাস শেষে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়,বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় বর্ষের ইংরেজি ক্লাস শেষে ওই ছাত্রীরা একসাথে গ্রুপ স্টাডি করছিলো। ওই সময় প্রভাষক অর্জুন কুমার নাথ ৭মার্চ রচনা প্রতিযোগীতার প্রস্তুতি নিয়ে হলে ঘোষণা শেষে ফেরার সময় ওই দুই ছাত্রীকে নানাভাবে শ্লীলতাহানি করেন ওই শিক্ষক।
ওই ছাত্রীরা তাৎক্ষণিক কোন প্রতিবাদ না করে বাড়ি চলে যান। বাড়িতে গিয়ে তারা পরিবারকে সব ঘটনা জানালে শুক্রবার মুঠোফোনে ও আজ শনিবার পরিবারের সদস্যরা কলেজ অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ করেন। পরে সকাল১০ থেকে ১১টা পর্যন্ত গুইমারা সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ তার নিজ কার্যালয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক ও ভুক্তভোগী ছাত্রীদেরকে নিয়ে মুখোমুখি করে অভিযোগ সম্পর্কে শোনেন। ওই সময় কলেজের অন্যান্য সিনিয়র শিক্ষকদের জেরার মুখে প্রভাষক অর্জুন দেবনার্থ ওই ছাত্রীর শরীরে হাত দেওয়া ও অশালীন কথা বলার কথা স্বীকার করেন।
এ ঘটনায় গুইমারা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ নাজিম উদ্দীন বলেন, গুইমারা সরকারি কলেজে এমন ঘটনা মেনে নেয়া যায় না। তবে প্রভাষক অর্জুন কুমার নাথ সকল দোষ শিকার করেছে। এবং এই ঘটনার জন্য অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চেয়েছেন সকল শিক্ষার্থীদের সামনে। এর পর শিক্ষার্থীদের সকল দাবি মেনে নিয়ে প্রভাষক অর্জুন কুমার নাথ কে সাময়িক ভাবে ১ মাসের জন্য কলেজের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেন। আগামি দশ দিনের মধ্যেই জীববিজ্ঞানের নতুন প্রভাষক নিয়োগ দিবেন বলে শিক্ষার্থীদের আস্বাস দেন।
অভিযোগকারী মেয়ের বাবা বলেন, মেয়ের শ্লীলতাহানির বিচার চাই। একজন শিক্ষক এতবড় নেক্কারজনক কাজ করতে পারেন এটা অবিশ্বাস্য। আমাদের মেয়েদের নিরাপত্তার ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা শংকিত।
শুক্রবার শিক্ষক অর্জুন কুমার নাথ এর কাছে সাংবাদিকরা বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি প্রথমে অভিযোগটি সত্য নয় বলে জানান। আজ শনিবার ছাত্রছাত্রী ও সিনিয়র শিক্ষকদের জেরার মুখে বলে আমি ওদের মজা করে থাপ্পর দিয়েছি। আমার কোন খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না।