[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় গার্ল গাইডস এসোসিয়েশনের ৫দিনব্যাপি বিজ্ঞপাখি মৌলিক প্রশিক্ষণ সম্পন্নখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বাড়ির সদস্যদের অজ্ঞান করে দূর্ধষ চুরিগুণগত শিক্ষা জাতিগত ভেদাভেদ ভুলিয়ে দিতে পারবে: রাঙ্গামাটিতে জলখেলি অনুষ্ঠানে সুপ্রদীপনৃ-গোষ্ঠীর আগে ক্ষুদ্র শব্দটি ব্যবহার করতে চাই না: জলকেলীতে উপদেষ্টা সুপ্রদীপবান্দরবানের আলীকদমে মার্মা সম্প্রদায়ের মাহাঃ সাংগ্রাই পোয়েঃ-২০২৫ উৎসব পালনপুরোনো দিনের গ্লানি মুছে যাক সাংগ্রাইয়ের মৈত্রীময় জলেবান্দরবানের থানচিতে খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের গুড ফ্রাইডের উপহার দিলেন সেনাবাহিনীদীঘিনালায় রাতের আধাঁরে পাহাড় কাটার অভিযোগে ২লাখ টাকা জরিমানাখাগড়াছড়ির রামগড়ে গরু ঘাঁস খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ৮অক্সিজেনের অভাবে বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ মাস বয়সের শিশুর মৃত্যু
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

লামায় ইয়াবা টাকার জন্য যুবককে মারধর

৩৭

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥

লামায় ইয়াবা বিক্রি পাওনা টাকার জন্য মধ্যযুগীয় কায়দায় আকরাম হোসেন (৩২) নামে যুবককে বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত ১০টায় মুমূর্ষু অবস্থায় নির্যাতনের শিকার যুবক ইয়াবা কারবারীর টর্চার সেল থেকে পালিয়ে আসলে স্বজনরা তাকে লামা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। নির্যাতনের শিকার যুবক আকরাম হোসেন লামা পৌরসভার বাজার পাড়ার বাসিন্দা মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে।

এবিষয়ে কথা হয় আকরাম হোসেনের সাথে। সে বলে, শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাত ৮টায় লামা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের মৃত আব্দুর রশীদের ছেলে বেলাল হোসেন তার লামা বাজারের পান বাজারস্থ দোকানে আমাকে ডাকে। বেলাল আমার কাছে ইয়াবা বিক্রির ২২ হাজার টাকা পায়। আমি মাদক মামলায় জামিন পেয়ে সদ্য জেল থেকে বেরিয়ে আসছি। সে আমার কাছে টাকা দাবী করে অন্যথায় ইয়াবা বিক্রি করে টাকা পরিশোধের জন্য চাপ দেয়। আমি টাকা পরিশোধে সময় চাই ও ইয়াবা বিক্রি করতে অনিহা প্রকাশ করি। আমি সুস্থ জীবনে ফিরতে চাই। আমি তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বেলালের আরেক সহযোগী জাহাঙ্গীর হোসেন তার সাথে আমাকে বেলালের দোকানে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পরপরই বেলাল, জাহাঙ্গীর ও মং মার্মা নামে তিনজন রশি দিয়ে আমাকে বেঁধে ফেলে। পরে পান বাজারস্থ বেলালের দোকানের পিছনে টর্চার সেলে আমাকে নিয়ে রড দিয়ে ঘন্টাব্যাপী মারধর করে। আমি অবচেতন হয়ে পড়লে তারা আমাকে বাথরুমে আটকে রেখে। পরে আমার জ্ঞান ফিরে এলে আমি টয়লেটের ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে পালিয়ে আসি।

আকরাম আরো বলে, বেলাল হোসেন একজন বড় ইয়াবা ব্যবসায়ী। আমার মত অসংখ্য খুচরা ইয়াবা বিক্রেতা তার আছে। কেউ তার কথায় রাজি না হলে তাকে ধরে এনে টর্চার করা হয়। পান বাজারে রাইস মিলের পিছনে ছোট ছোট কিছু রুম আছে। সেখানে নিয়মিত ইয়াবা সেবন, বিক্রি ও লেনদেন হয়। এইসব রুম গুলো টর্চারসেল হিসাবে ব্যবহার করা হয়।

এ বিষয়ে কথা হয় বেলাল হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, ইয়াবা বিক্রেতা আকরাম হোসেন এর সাথে জাহাঙ্গীর হোসেন এর টাকার লেনদেন ছিল। তারা টাকা নিয়ে ঝগড়া করলে আমি সমাধান করে দিব বলি এবং আমার অফিসে আসতে বলি। এখানে আসার পর জাহাঙ্গীর তাকে মারধর করে। তাদের মধ্যে কিসের লেনদেন আমি জানিনা। এছাড়া আকরাম হোসেনের বক্তব্য সত্য নয়।

লামা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ রোবিন বলেন, আকরামের সারা শরীরে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিষয়টি রাতে আহতের স্বজনরা অবহিত করলে হাসপাতালে আহত ব্যক্তিতে দেখতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, মারধরের শিকার আকরাম হোসেন একজন চিহ্নিত ইয়াবা বিক্রেতা। তার নামে লামা থানায় ৯টি মাদক মামলা রয়েছে।