[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় গার্ল গাইডস এসোসিয়েশনের ৫দিনব্যাপি বিজ্ঞপাখি মৌলিক প্রশিক্ষণ সম্পন্নখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বাড়ির সদস্যদের অজ্ঞান করে দূর্ধষ চুরিগুণগত শিক্ষা জাতিগত ভেদাভেদ ভুলিয়ে দিতে পারবে: রাঙ্গামাটিতে জলখেলি অনুষ্ঠানে সুপ্রদীপনৃ-গোষ্ঠীর আগে ক্ষুদ্র শব্দটি ব্যবহার করতে চাই না: জলকেলীতে উপদেষ্টা সুপ্রদীপবান্দরবানের আলীকদমে মার্মা সম্প্রদায়ের মাহাঃ সাংগ্রাই পোয়েঃ-২০২৫ উৎসব পালনপুরোনো দিনের গ্লানি মুছে যাক সাংগ্রাইয়ের মৈত্রীময় জলেবান্দরবানের থানচিতে খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের গুড ফ্রাইডের উপহার দিলেন সেনাবাহিনীদীঘিনালায় রাতের আধাঁরে পাহাড় কাটার অভিযোগে ২লাখ টাকা জরিমানাখাগড়াছড়ির রামগড়ে গরু ঘাঁস খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ৮অক্সিজেনের অভাবে বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ মাস বয়সের শিশুর মৃত্যু
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

পাথর গুলো নিলামে বিক্রি না করে স্ব-স্ব স্থানে রেখে দেওয়ার দাবি

লামায় পাথরের নিলাম নিয়ে খনিজসম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর লুকোচুরিতে বিব্রত প্রশাসন

৪৭

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥

বান্দরবানের লামার ফাঁসিয়াখালীর বনপুর ও আলীকদমের আবাসিক এলাকা নামক স্থানে অবৈধভাবে আহরিত আড়াই লক্ষাধিক ঘনফুট পাথর গোপনে সিন্ডিকেটের নিকট বিক্রি করে দিয়েছেন খনিজসম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর মহা-পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ নুরুন্নবী। এ ঘটনায় চরম বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে স্থানীয় জেলা এবং উপজেলা প্রশাসন। পাথর গুলো নিলামে বিক্রি না করে স্ব-স্ব স্থানে রেখে দেওয়ার দাবি জনসাধারণের।

স্থানীয় প্রশাসনের অভিযোগ, জব্দকৃত পাথর প্রকৃত পরিমান গোপন করা হয়েছে কথিত এই নিলাম কার্যক্রমে। বিধি মোতাবেক নিলামের বিষয়টিও জানানো হয়নি স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীদেরকে। যার কারণে বিপুল পরিমান রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে সরকার।

খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর কথিত এই নিলামের সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি। তিনি বলেন, বিষয়টি খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। যদিও খনিজসম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর মহা-পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ নুরুন্নবী এই নিলাম কার্যক্রম পরিচালনাকে ভুল বোঝাবুঝি বলে দাবি করছেন। তিনি বলেন, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের চারটি জায়গায় ১ লক্ষ ১৬ হাজার ২০০ শত ঘনফুট পাথর নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। তবে অভিযোগ উঠায় পার্শ্ববর্তী আলীকদম উপজেলার ৪৫ হাজার ঘনফুট পাথরের নিলাম কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গত বছর ৭ মার্চ লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৫টি জায়গা থেকে ২ লক্ষ ১৭ হাজার ৫ শত ঘনফুট পাথরজব্দ করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (১১ বিজিবি)। এরমধ্যে বড় মার্মা পাড়ায় ৬৯ হাজার, ওয়াক্রা পাড়ায় ১ লক্ষ, রামগতি পাড়ায় ২৩ হাজার ৫ শত, কড়ইতলী ১৫ হাজার এবং গয়াল মারায় ১০ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়। একইভাবে পার্শ্ববর্তী আলীকদমের আবাসিক এলাকায় ৪৫ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়েছে। কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী এসব পাথর পাহাড় কেটে এবং ঝিরি খননকরে অবৈধভাবে উত্তোলনপূর্বক পাচারের জন্য সেখানে জমা করে। যার আনুমানিক মূল্য ৩ কোটি ৮০ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা বলে বিজিবি সূত্র জানিয়েছে। জব্দকৃত পাথরের মামলা বিধি মোতাবেক নিষ্পত্তি করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে গত বছর ০৮ মার্চ বান্দরবান জেলা প্রশাসককে লিখিত পত্র পাঠায় বিজিবি নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন’র উপ-পরিচালক মু. জাহিদুল ইসলাম ভূঁঞা। পরে বান্দরবান জেলা প্রশাসক ২৮ সেপ্টেম্বর এক পত্র মূলে এসব পাথর নিলামে বিক্রয় করার জন্য লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে দায়িত্বদেন।

 

লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার আপ্রুচিং মার্মা ও সাংগু মৌজার হেডম্যান চংপাত ম্রো জানান, খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর এক কর্মকর্তা গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বনপুর এলাকায় গিয়ে একটি সিন্ডিকেটের কাছে পাথরগুলো বিক্রি করে দিয়েছেন। একই দিন বিকালে আলীকদমে গিয়ে সেখানকার ৪৫ হাজার ঘনফুট পাথরও সমঝোতার মাধ্যমে কথিত নিলাম প্রদান করেন। তবে জব্দকৃত পাথরের পরিমাণ কম দেখানো, স্থানীয় ব্যবসায়িরা না জানা এবং প্রতিযোগিতামূলক নিলাম না হওয়ার কারণে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
এদিকে স্থানীয় পরিবেশবাদী,সচেতন মহল,জনপ্রতিনিধি ও গ্রামবাসীরা দাবি করেছেন পাথর চোরাকার্বারীরা পাহাড়ের যেখান থেকেই হউক পাথর আহরণ করার পর প্রশাসন জব্দ করছেন। কিন্তু পাথর গুলো নিলামে বিক্রি না করে স্ব-স্ব স্থানে পূঃর্ণবার রেখে দেওয়া হউক। কেননা পাথরগুলো পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি এর নির্ভর পানির উৎস গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে মানব সমাজে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তফা জাবেদ কায়সার জানান, খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর পরিচালক ফাঁসিয়াখালীর বনপুর এলাকায় পরিদর্শনকালে তাকে বিধি মোতাবেক প্রটোকল দেওয়া হয়েছে। তবে পাথর নিলামের বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবগত না করেই সম্পন্ন করে। পরে বিষয়টি জেনে বান্দরবান জেলা প্রশাসক এর নির্দেশে খনিজসম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর বিতর্কিত এই নিলাম কার্যক্রম বাতিল করা হয়েছে।